কান পাতলেই কান্নার আওয়াজ, পৃথিবীকে সুস্থ করো প্রভু
নিজস্ব প্রতিনিধি | বাসন্তী | কান পাতলেই বাসন্তী ব্লকের বিভিন্ন গ্রামের মানুষের করুণ দুঃখ দূর্দশার কথা শুনতে পাওয়া যায়। সুন্দরবনের সৌন্দর্য উপভোগ করেছেন হাজার হাজার মানুষ। ভীড় জমিয়ে পিকনিক করেছেন, আনন্দ করেছেন ডিজে বাজিয়ে, পরিবেষের উপর অত্যাচার চালিয়েছিলো থার্মকলের থালা, প্লাস্টিকের ঠোঙা ফেলে। এভাবেই অর্থশালী মানুষেরা অত্যাচার চালিয়েছিলো সুন্দরবনের উপর। কিন্তু সুন্দরবনের দারিদ্র অসহায় মানুষের কথা কেউ ভাবেনি। বারে বারে লাঞ্চিত হয়েছে সুন্দরবনের মানুষ। আজ বড় বিপদে সুন্দরবনের মানুষ।
কেউবা মুটে মজদূর,কেউবা পরিবহন কর্মী,কেউবা গ্রামের খেটে খাওয়া দরিদ্র চাষী,মৎস্যজীবী।সকলে অসহায় হয়ে পড়েছেন লকডাউনে।অসহায় হয়ে পড়বেন না বা কেন? করোনা ভাইরাসের দাপট চলছে যে! পাশাপাশি লকডাউনও তো চলছেই। আর এই জোড়া ফলায় বেধে বাসন্তী ব্লকের পিছিয়েপড়া মানুষজন গৃহবন্দী হয়ে রয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
কাজকর্ম লাটে। যতটুকু সঞ্চিত গচ্ছিত ছিল তা শেষের পথে।বর্তমানে অনাহারে কখনও বা অর্ধাহারে রয়েছে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত পিছিয়েপড়া এলাকা এই বাসন্তী ব্লকের দুঃস্থ দরিদ্ররা। এদিন বাসন্তী ব্লকের ভরতগড় ব্যাপ্টিস্ট চার্চের পক্ষ থেকে এলাকার দরিদ্র অসহায় পরিবারের পাশে এসে দাড়িয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
কাজকর্ম লাটে। যতটুকু সঞ্চিত গচ্ছিত ছিল তা শেষের পথে।বর্তমানে অনাহারে কখনও বা অর্ধাহারে রয়েছে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত পিছিয়েপড়া এলাকা এই বাসন্তী ব্লকের দুঃস্থ দরিদ্ররা। এদিন বাসন্তী ব্লকের ভরতগড় ব্যাপ্টিস্ট চার্চের পক্ষ থেকে এলাকার দরিদ্র অসহায় পরিবারের পাশে এসে দাড়িয়েছেন।
প্রত্যেকের হাতে ১০ কেজি চাল, ডাল, গোটা কুমড়ো একটি , তেল, আলু,সওয়াবিন, মাস্ক তুলে দেন ভরতগড় ব্যাপ্টিস্ট চার্চের সদস্যরা। লকডাউন শুরু হওয়ার থেকে এলাকার ভারসাম্যহীন ভবঘুরেদের জন্য খাবারের ব্যাবস্থা করেছেন চার্চের সদস্যরা। রান্নাকরা খাবার নিয়ে গ্রামে ঘুরে ঘুরে পৌঁছে দিচ্ছেন চার্চের সদস্যরা। ভরতগড় ব্যাপ্টিস্ট চার্চের সক্রিয় সদস্য সন্দীপ ভৌমিক জানান "আমারা এদিন ৭৮ টি দরিদ্র পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পেরেছি প্রভুর ইচ্ছায়। আগামী দিনেও আমরা সুন্দরবনের অবহেলিত মানুষের পাসে এগিয়ে যাবো সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে। "
0 Comments
Welcome