সুন্দরবনের অসহায় দরিদ্র মানুষের দ্বারে দ্বারে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে প্রতিবন্ধী যুবক
ক্যানিং|সারা বিশ্ব জুড়ে করোনা ভাইরাসের থাবা বসিয়েছে।ভারতে দিনের পর দিন করোনা ভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।বাড়ছে মৃত্যুরও সংখ্যা।এ রাজ্যেরও বাড়ছে করোনা ভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা।এমনকি বাদ যায়নি সুন্দরবনের ক্যানিং মহকুমাও।এদিকে সারা দেশ জুড়ে চলছে লকডাউন।ফলে বহু মানুষজন ঘরবন্দি।কাজ হারিয়েছে বহু মানুষজন।এমনি অবস্থায় দুঃস্থদের পাশে এসে দাঁড়ালেন সুন্দরবনের বিশিষ্ট সমাজসেবক প্রতিবন্ধী খোকন মন্ডল।তবে সে নিঃশব্দে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে অসহায় মানুষের দ্বারে দ্বারে।কাজল শীল পরিবারে তাঁর দ্বিতীয় আর কেউ নেই।একাই থাকেন বাড়িতে।পরিচারিকার কাজ করে দিন চলতো।বর্তমানে করোনার দাপটে কাজ হারিয়ে বাড়িতে রয়েছেন।
বাড়িতে কোন খাদ্য সামগ্রী না থাকায় গত দুদিন অনাহারে রয়েছেন।এছাড়াও অভাবের তাড়নায় মাঝে মাঝে শুধু শাক সিদ্ধ করে খেয়ে কোন রকমে প্রাণে বেঁচে রয়েছেন।সে গত ১১ মে বিকালে ঘুম থেকে উঠে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে দেখতে পায় একটি প্যাকেট রাখা আছে।কোন লোকজন নেই।ভয় ভয় করে প্যাকেটটি নিয়ে বাড়ির মধ্যে চলে যায় কাজল দেবী। প্যাকেট খুলতেই চক্ষু চড়ক গাছ!কি নেই প্যাকেটে!প্যাকেটে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ চাল, ডাল, আলু,সোয়াবিন।খুশিতে মন ভরে তার চোখে জল এসে যায়।একই ভাবে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে দরজার সামনে বাইরে খাদ্য সামগ্রী ভর্তি প্যাকেট পেয়ে আশ্চর্য হয়ে যায় অসহায় গৃহবধূ শম্পা,পূর্ণিমা,দিপালীদের মতো বেশ কিছু গৃহবধূ।আর এই খবর ছড়িয়ে পড়তে খোঁজ শুরু হয় যায় কে দিচ্ছে এই খাদ্য সামগ্রী।অবশেষে তারা জানতে পারে
লকডাউনের জেরে অসহায় দরিদ্র মানুষের দ্বারে দ্বারে এমন খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে প্রতিবন্ধী এক যুবক ও তার কয়েকজন বন্ধুবান্ধব।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলা থানার মঠেরদিঘীর এলাকায় “মঠেরদিঘী পল্লি সেবাসদন” নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রয়েছে।এই সংগঠনেরই কর্মকর্তা খোকন মন্ডল।তিনি শারীরিক ভাবে অক্ষম।কোন রকমে দুটি ক্রাচে ভর দিয়ে যাতায়াত করেন।করোনা আর লকডাউনের শুরু থেকেই বিভিন্ন জায়গায় উপস্থিত হয়ে দরিদ্র মানুষ কে ত্রাণ সামগ্রী দিয়ে সাহায্য করে আসছেন।খোকন মন্ডল ও তাঁর দুই সহযোগী বন্ধু সঞ্জীব মন্ডল ও তাপস দাস ক্যানিং কোড়াকাঠি, দুমকি,সাতমূখী এলাকায় প্রায় ১০০ টি অসহায় দরিদ্র পরিবারের বাড়ির দরজার সামনে পর্যাপ্ত পরিমাণ চাল,ডাল,আলু, সোয়াবিনের প্যাকেট রেখেদিয়ে চলে আসেন নিঃশব্দে।
সংকটময় মুহূর্তে বাড়ির দরজার সামনে আচমকা এমন খাদ্য সামগ্রী পেয়ে খুশি অসহায় দরিদ্র অসহায় পরিবার গুলি।এবিষয়ে প্রতিবন্ধী খোকন মন্ডল বলেন বর্তমানে মানুষ পরিস্থিতির স্বীকার।রাজ্য সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।আর এই সময়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরে খুব ভালো লাগছে।যা সামর্থ্য আছে তার মধ্যে সামান্য কিছু খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছি অসহায় মানুষগুলিকে।
ক্যানিং|সারা বিশ্ব জুড়ে করোনা ভাইরাসের থাবা বসিয়েছে।ভারতে দিনের পর দিন করোনা ভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।বাড়ছে মৃত্যুরও সংখ্যা।এ রাজ্যেরও বাড়ছে করোনা ভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা।এমনকি বাদ যায়নি সুন্দরবনের ক্যানিং মহকুমাও।এদিকে সারা দেশ জুড়ে চলছে লকডাউন।ফলে বহু মানুষজন ঘরবন্দি।কাজ হারিয়েছে বহু মানুষজন।এমনি অবস্থায় দুঃস্থদের পাশে এসে দাঁড়ালেন সুন্দরবনের বিশিষ্ট সমাজসেবক প্রতিবন্ধী খোকন মন্ডল।তবে সে নিঃশব্দে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে অসহায় মানুষের দ্বারে দ্বারে।কাজল শীল পরিবারে তাঁর দ্বিতীয় আর কেউ নেই।একাই থাকেন বাড়িতে।পরিচারিকার কাজ করে দিন চলতো।বর্তমানে করোনার দাপটে কাজ হারিয়ে বাড়িতে রয়েছেন।
বাড়িতে কোন খাদ্য সামগ্রী না থাকায় গত দুদিন অনাহারে রয়েছেন।এছাড়াও অভাবের তাড়নায় মাঝে মাঝে শুধু শাক সিদ্ধ করে খেয়ে কোন রকমে প্রাণে বেঁচে রয়েছেন।সে গত ১১ মে বিকালে ঘুম থেকে উঠে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে দেখতে পায় একটি প্যাকেট রাখা আছে।কোন লোকজন নেই।ভয় ভয় করে প্যাকেটটি নিয়ে বাড়ির মধ্যে চলে যায় কাজল দেবী। প্যাকেট খুলতেই চক্ষু চড়ক গাছ!কি নেই প্যাকেটে!প্যাকেটে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ চাল, ডাল, আলু,সোয়াবিন।খুশিতে মন ভরে তার চোখে জল এসে যায়।একই ভাবে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে দরজার সামনে বাইরে খাদ্য সামগ্রী ভর্তি প্যাকেট পেয়ে আশ্চর্য হয়ে যায় অসহায় গৃহবধূ শম্পা,পূর্ণিমা,দিপালীদের মতো বেশ কিছু গৃহবধূ।আর এই খবর ছড়িয়ে পড়তে খোঁজ শুরু হয় যায় কে দিচ্ছে এই খাদ্য সামগ্রী।অবশেষে তারা জানতে পারে
লকডাউনের জেরে অসহায় দরিদ্র মানুষের দ্বারে দ্বারে এমন খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে প্রতিবন্ধী এক যুবক ও তার কয়েকজন বন্ধুবান্ধব।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলা থানার মঠেরদিঘীর এলাকায় “মঠেরদিঘী পল্লি সেবাসদন” নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রয়েছে।এই সংগঠনেরই কর্মকর্তা খোকন মন্ডল।তিনি শারীরিক ভাবে অক্ষম।কোন রকমে দুটি ক্রাচে ভর দিয়ে যাতায়াত করেন।করোনা আর লকডাউনের শুরু থেকেই বিভিন্ন জায়গায় উপস্থিত হয়ে দরিদ্র মানুষ কে ত্রাণ সামগ্রী দিয়ে সাহায্য করে আসছেন।খোকন মন্ডল ও তাঁর দুই সহযোগী বন্ধু সঞ্জীব মন্ডল ও তাপস দাস ক্যানিং কোড়াকাঠি, দুমকি,সাতমূখী এলাকায় প্রায় ১০০ টি অসহায় দরিদ্র পরিবারের বাড়ির দরজার সামনে পর্যাপ্ত পরিমাণ চাল,ডাল,আলু, সোয়াবিনের প্যাকেট রেখেদিয়ে চলে আসেন নিঃশব্দে।
সংকটময় মুহূর্তে বাড়ির দরজার সামনে আচমকা এমন খাদ্য সামগ্রী পেয়ে খুশি অসহায় দরিদ্র অসহায় পরিবার গুলি।এবিষয়ে প্রতিবন্ধী খোকন মন্ডল বলেন বর্তমানে মানুষ পরিস্থিতির স্বীকার।রাজ্য সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।আর এই সময়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরে খুব ভালো লাগছে।যা সামর্থ্য আছে তার মধ্যে সামান্য কিছু খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছি অসহায় মানুষগুলিকে।
0 Comments
Welcome