সব কিছুর মধ্যেও একটা দুঃখের খবর কি জানেন
পাঠকের চিঠি
লিখেছেন সৌমিত্র মণ্ডল - বালি, গোসাবা
বাবা গত মাসের সামান্য বেতনটা পেলো না। যা প্রতি মাসের ১০ তারিখে বাবার একাউন্টে চলে আসে।কোম্পানির মালিক সকল কর্মচারী দের বলেছিলেন লক ডাউনের মধ্যে এসে কোম্পানিতে থেকে কাজ করতে । বাকি কর্মচারীদের বাসস্থান সোনারপুর , বারুইপুর লাগোয়া বা কোম্পানির নিকটবর্তী হওয়ায় প্রত্যেকে এই অবস্থায় হেঁটে গিয়ে কোম্পানিতে থেকে কাজ করেছে। বাবা ও আমি লক ডাউনের একদিন আগে সুন্দরবনের বাড়িতে এসেছিলাম দীর্ঘ দিন বাদে বাবার দু-দিনের ছুটি নিয়ে। তবে হঠাৎ সারাদেশ জুড়ে লকডাউন ঘোষণা হওয়ায় আমরা আর ফিরতে পারিনি। এদিকে কোম্পানির মালিকের কথা মতন বাবার যাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও একদিকে নদী পারাপার, অন্যদিকে সুন্দরবনের এই প্রত্যন্ত গোসাবার বালি গ্রাম থেকে পুরাতন বালিগঞ্জ পর্যন্ত একজন ৫০ উদ্ধ ব্যাক্তির জীবন বাজি রেখে হেঁটে যাওয়া সম্ভব ছিল না। তাই আমি ও মা সবদিক বিচার বিবেচনা করে বাবাকে যেতে দিইনি। বাবা যেহেতু কাজ করনি তাই বাবার পক্ষে মালিকের কাছে বেতন চাওয়া সম্ভব নয়।আমি নিজে একটু লজ্জার মাথা খেয়ে বাবার সাথে মামা ও কাজ করতেন তাই মামাকে জিজ্ঞাসা করলাম - মামা তোমাদের কি এ মাসে বেতন দিয়েছে? তখন মামা বললেন -জামাইবাবু বেতন পাইনি তাইতো? আমি কিছু বলার আগেই মামা বললেন-মালিক পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছেন -যারা কাজ করছে না, তাদের বেতন দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। ঐ টাকাটার উপর নির্ভর করে আমাদের নরেন্দ্রপুরের ভাড়াঘর ও সংসার,আমার প্রতি মাসের ঔষধ, মায়ের জন্য গ্ৰমের বাড়ি টাকা পাঠানো সবটাই কোন ক্রমে ম্যানেজ হত।এমন পরিস্থিতির শিকার আরো কত মানুষ তার ঠিক নেই। সত্যিই আমরা এক কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি।
পাঠকের চিঠি
লিখেছেন সৌমিত্র মণ্ডল - বালি, গোসাবা
বাবা গত মাসের সামান্য বেতনটা পেলো না। যা প্রতি মাসের ১০ তারিখে বাবার একাউন্টে চলে আসে।কোম্পানির মালিক সকল কর্মচারী দের বলেছিলেন লক ডাউনের মধ্যে এসে কোম্পানিতে থেকে কাজ করতে । বাকি কর্মচারীদের বাসস্থান সোনারপুর , বারুইপুর লাগোয়া বা কোম্পানির নিকটবর্তী হওয়ায় প্রত্যেকে এই অবস্থায় হেঁটে গিয়ে কোম্পানিতে থেকে কাজ করেছে। বাবা ও আমি লক ডাউনের একদিন আগে সুন্দরবনের বাড়িতে এসেছিলাম দীর্ঘ দিন বাদে বাবার দু-দিনের ছুটি নিয়ে। তবে হঠাৎ সারাদেশ জুড়ে লকডাউন ঘোষণা হওয়ায় আমরা আর ফিরতে পারিনি। এদিকে কোম্পানির মালিকের কথা মতন বাবার যাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও একদিকে নদী পারাপার, অন্যদিকে সুন্দরবনের এই প্রত্যন্ত গোসাবার বালি গ্রাম থেকে পুরাতন বালিগঞ্জ পর্যন্ত একজন ৫০ উদ্ধ ব্যাক্তির জীবন বাজি রেখে হেঁটে যাওয়া সম্ভব ছিল না। তাই আমি ও মা সবদিক বিচার বিবেচনা করে বাবাকে যেতে দিইনি। বাবা যেহেতু কাজ করনি তাই বাবার পক্ষে মালিকের কাছে বেতন চাওয়া সম্ভব নয়।আমি নিজে একটু লজ্জার মাথা খেয়ে বাবার সাথে মামা ও কাজ করতেন তাই মামাকে জিজ্ঞাসা করলাম - মামা তোমাদের কি এ মাসে বেতন দিয়েছে? তখন মামা বললেন -জামাইবাবু বেতন পাইনি তাইতো? আমি কিছু বলার আগেই মামা বললেন-মালিক পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছেন -যারা কাজ করছে না, তাদের বেতন দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। ঐ টাকাটার উপর নির্ভর করে আমাদের নরেন্দ্রপুরের ভাড়াঘর ও সংসার,আমার প্রতি মাসের ঔষধ, মায়ের জন্য গ্ৰমের বাড়ি টাকা পাঠানো সবটাই কোন ক্রমে ম্যানেজ হত।এমন পরিস্থিতির শিকার আরো কত মানুষ তার ঠিক নেই। সত্যিই আমরা এক কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি।
0 Comments
Welcome