Welcome To Sundarban TV ||সুন্দরবন টিভিতে আপনাকে স্বাগত || সুন্দরবন টিভি সুন্দরবনের মানুষের জীবন কথা

বাসন্তীতে আমফানের তান্ডবে কেড়ে নিয়েছে ঘরবাড়ি,শিশুদের পরনে নেই বস্ত্র,অসহায় মানুষের সাহায্যার্থে এগিয়ে এলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক কার্ত্তিক বোস

বাসন্তীতে আমফানের তান্ডবে কেড়ে নিয়েছে ঘরবাড়ি,শিশুদের পরনে নেই বস্ত্র,অসহায় মানুষের সাহায্যার্থে এগিয়ে এলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক কার্ত্তিক বোস

বাসন্তী|দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনের ক্যানিং মহকুমায় গত ২০ মে ঘূর্ণিঝড় আমফানের দাপটে উড়ে যায় কাউর ঘরের চাল,পড়ে যায় বহু ঘরবাড়ি,গাছপালা,বিদ্যুতের পোল,ছিঁড়ে যায় ইলেকট্রিক তার।এমনকি ভেঙে যায় বিভিন্ন অঞ্চলের নদীর বাঁধ।আবার সুন্দরবনে নদী গুলিতে জলের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় বাঁধ ছাপিয়ে ঢুকে যায়  লোকালয়ে নোনা জল।ফলে হাজার হাজার বিঘের জমি হয়েছে নষ্ট।নোনা জলে নষ্ট হয়েছে পুকুরের মাছ।ফলে অসহায় সুন্দরবনে সাধারণ মানুষজন থেকে শুরু করে কৃষক, মৎস্যজীবীদের।ফলে ঘূর্ণিঝড় আমফানের তান্ডবে ধ্বংস স্তূপের চেহারা নিয়েছে সুন্দরবনে ক্যানিং-১ ও ২,বাসন্তী,গোসাবা ব্লক সহ বিভিন্ন ব্লকের বিভিন্ন অঞ্চল গুলি।বর্তমানে ক্যানিং মহকুমা ১৮ লক্ষ মানুষের বসবাস।১৯ টি ব্লক নিয়ে সুন্দরবন গঠিত।এক দিকে জলে কুমির ডাঙায় বাঘ এই নিয়ে সুন্দরবনবাসীর সহাবস্থান।ঘূর্ণিঝড় আমফানের দাপটে বাঁধ যায়নি ম্যানগ্রোভ জঙ্গল।

বস্ত্র পেয়ে খুশি শিশু কন্যা

ঝড়ের দাপটে পড়ে গেছে সুন্দরী,কেওড়া,গরাণ,হোগল, গোলপাতা সহ বিভিন্ন প্রজাতির হাজার হাজার গাছ।এমনকি নষ্ট হয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের প্রজন্ম।সাধারণ এই সময় মাছে ডিম ছাড়ে।আর সেই সময়ে এই ঘূর্ণিঝড়ে বহু নোনা জলের মাছের প্রজন্ম এবং নোনা জল লোকালয়ে ঢুকে মিষ্টি জলের মাছের প্রজন্ম নষ্ট হয় এমনি মতামত বিভিন্ন মহলে।তবে প্রশাসন সূত্রে জানা যায় ঘূর্ণিঝড় আমফানের দাপটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলার ১০ লক্ষের বেশী ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।এদিকে ঘূর্ণিঝড় আমফানের তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় এখনও পর্যন্ত ঠিক মতন ত্রাণ পৌঁছায়নি।ফলে অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে বহু ক্ষতিগ্রস্ত  মানুষজন।


বাসন্তী ব্লকের আমঝাড়া অঞ্চলে শিকারি পাড়া,তালদা,সাত নম্বর বটতলা,হালদারপাড়া,মাইতিপাড়া,বাঙালপাড়া,সরদারপাড়া,পাকাপোল পাড়া সহ বিভিন্ন গ্রাম গুলি এখন ধ্বংস স্তূপে পরিণত হয়েছে।এখনও পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্তরা পায়নি সরকারি কোন সুযোগ সুবিধা এমনি অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীদের।ফলে ঘূর্ণিঝড় আমফানে দাপটে কেড়ে  নিয়েছে ঘরবাড়ি,শিশুদের পরনে নেই বস্ত্র।আর এই সব অসহায় মানুষের সাহায্যার্থে এগিয়ে এলেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক কার্ত্তিক বোস।তিনি আমফানে ক্ষতিগ্রস্তের পাশে গিয়ে দাঁড়ালেন।বাড়িয়ে দিলেন সাহায্যের হাত।অসহায় মানুষগুলির হাতে তুলে দিলেন চাল,আলু,সাবান,মাক্স সহ খাদ্য সামগ্রী।
কার্ত্তিক বোস বিশিষ্ট সমাজসেবক

আবার তুলে দিলেন বিধবা,বৃদ্ধা,বৃদ্ধ,গৃহবধূ এবং শিশুদের বস্ত্র।এক দিকে লকডাউন,অপর দিকে ঘূর্ণিঝড় আমফানের তান্ডব।যা অসহায় করে তুলেছে সুন্দরবনবাসীকে।সোদা মাটির নোনা জলে জালের ফাঁক থেকে স্বপ্ন দেখাটা এখন তাদের কাছে অতীত হয়ে গেছে।এখন তাদের কাছে দু মুঠো ভাত,আর পরনে সামান্যটুকু পোষাক অনেক মূল্যবান।একের পর এক ঘূর্ণিঝড় কখনও আয়লা,কখনও বুলবুল,এবার আমফান কেড়ে নিয়ে জমে থাকা বহু স্বপ্ন।পিছিয়ে পড়া সুন্দরবন,আর পিছিয়ে পড়লো প্রকৃতির নিয়মে।বিশিষ্ট সমাজসেবক  কার্ত্তিক বোস বলেন সারা বিশ্ব জুড়ে করোনা ভাইরাস থাবা বসিয়েছে।সারা দেশ জুড়ে চলছে লকডাউন।ফলে ঘরবন্দি বহু মানুষ।কাজ নেই লকডাউনে।তারপর ঘূর্ণিঝড় আমফানের দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত সুন্দরবনের বহু মানুষজন।তাই ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে এমন ধরনের উদ্যোগ।বাসন্তী ব্লকের আমঝাড়া,ফুলমালঞ্চ পানিখালি সহ বিভিন্ন এলাকায় কয়েকশো ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের হাতে বস্ত্র তুলে দেওয়া হয়।বিশেষকরে শিশু,বৃদ্ধ বৃদ্ধা,গৃহবধূ,বিধবাদের শাড়ি, ধূতি,জামা, পান্ট তুলে দেওয়া হয়।এছাড়া যেদিন থেকে লকডাউন শুরু হয়েছে তখন থেকে কয়েকশো অসহায় পরিবার গুলিকে চাল,ডাল,আলু,সরষের তেল,সাবান,মাক্স সহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হয় সম্পূর্ণ ভাবে লকডাউনের নিয়ম কানুন মেনে।

Post a Comment

0 Comments