আম্ফান দুর্গতদের ত্রাণ দিয়ে স্বনির্ভর করার চেষ্টায় এগিয়ে এলেন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা
নিজস্ব প্রতিনিধি ,ক্যানিং - প্রত্যন্ত সুন্দরবনের চুনাখালি পঞ্চায়েতের বারুইচক আদিবাসী গ্রামে আম্ফান দুর্গতদের ত্রাণ দিয়ে স্বনির্ভর করার চেষ্টায় এগিয়ে এলেন হুগলী জেলার স্মাইল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশান ও গরলগাছা বিবেকানন্দ সমাজসেবা কেন্দ্র।দীর্ঘদিন ধরে চলা লকডাউন আর সুপার সাইক্লোন আম্ফান ঝড়ে বিধ্বস্ত সাধারণ মানুষজন।আম্ফান তার তান্ডবলীলা চালিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছে সমগ্র সুন্দরবন।প্রত্যন্ত সুন্দরবন এলাকার পিছিয়ে পড়া একটি ব্লক বাসন্তী।বাসন্তী ব্লকেও ব্যাপক তান্ডব চালিয়েছে আম্ফান। এই বাসন্তী ব্লকের চুনাখালি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় অধিকাংশ সংখ্যালঘু ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের দরিদ্র মানুষের বসবাস।নদীতে মাছ কাঁকড়া ধরে কিংবা ভিনরাজ্যে গিয়ে কাজ করে উপার্জন করতে হয়,সংসার চালানোর জন্য।
লকডাউন চলায় এই বাসন্তী ব্লকের অধিকাংশ পরিবার গুলো রয়েছে চরম সংকটে। পাশাপাশি আম্ফান তার দাপটে শেষ করে দিয়েছে এই সমস্ত দরিদ্র মানুষের আশা ভরসার বাড়িঘর,গাছপালা,কৃষিজমির ফসল থেকে পুকুরের মাছ পর্যন্ত।সবকিছু ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে।চুনাখালি গ্রামপঞ্চায়েতের আম্ফান বিধ্বস্ত আদিবাসী পাড়া বারুইচক। সেখানে রবিবার দুপুরে অসহায় আম্ফান বিধ্বস্ত ৩৫০ পরিবারের হাতে তুলে দিলেন ত্রিপল সহ পর্যাপ্ত পরিমান খাদ্য সামগ্রী। তুলে দিলেন হুগলী জেলার ‘স্মাইল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশান’ ও ‘গরলগাছা বিবেকানন্দ সমাজসেবা কেন্দ্রে’র সদস্যরা।এদিন ত্রাণ বিতরণে উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্য শ্রীনিবাস অধিকারী,দক্ষিণা অধিকারী,এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবী দেবাশীষ বৈরাগী সহ অন্যান্য বিশিষ্টরা।ত্রাণ বিতরণের পর ক্ষান্ত থাকেননি এই দুই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্য শ্রীনিবাস আধিকারী ও দক্ষিণা অধিকারী সহ অন্যান্যরা । তাঁরা পিছিয়ে পড়া বাসন্তী ব্লকের এই বারুইচক গ্রামের মানুষজনদের কে স্বনির্ভর করে তোলার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন। তাঁরা জানিয়েছেন “সামান্য ত্রাণ একদিনের জন্য। কিংবা ভিনরাজ্যে গিয়ে কাজকর্ম করে সংসার নির্বাহ করার চিন্তা ভাবনা করলে চলবে না। নিজেদের কে স্বনির্ভর হতে হবে। তার জন্য সমস্ত রকম প্রয়াস এবং সহযোগিতা করার জন্য তাঁরা প্রস্তুত।পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যরা গ্রামের আদিবাসী মহিলাদের কে প্রস্তাব দেন যে “এই মুহূর্তে ন্যাপকিন,স্যানিটাইজার কিংবা মাস্কের চাহিদা রয়েছে সর্বত্র। তাঁরা এগিয়ে আসলে তাঁদের কে প্রশিক্ষণ দিয়ে এই সমস্ত প্রয়োজনীয় জিনিস উৎপন্ন করে স্বনির্ভর হওয়া সম্ভব।কিংবা জ্যাম,জেলি আচার সহ অন্যান্য কুটির শিল্প তৈরি করে অর্থনৈতিক ভাবে ঘুরে দাঁড়ানো যেতে পারে।স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যদের আহ্বানে এগিয়ে আসতে বদ্ধ পরিকর আদিবাসী অধুষ্যিত চুনাখালির বারুইচক গ্রামের আরতি সরদার,কমলা সাঁওতাল,মিনু সিংয়েরা।
এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবী দেবাশীষ বৈরাগী বলেন “দুটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আম্ফান দুর্গত বারুইচক গ্রামে আদিবাসীদের যে ভাবে ত্রাণ দিয়ে সাহায্য করলেন তা অনন্য।পাশাপাশি এলাকার অসহায় আদিবাসী মহিলাদের স্বনির্ভর করে অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ এক অনন্য অসাধারণ প্রয়াস।এমন কাজে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাদ্বয় কে স্বাগত।
নিজস্ব প্রতিনিধি ,ক্যানিং - প্রত্যন্ত সুন্দরবনের চুনাখালি পঞ্চায়েতের বারুইচক আদিবাসী গ্রামে আম্ফান দুর্গতদের ত্রাণ দিয়ে স্বনির্ভর করার চেষ্টায় এগিয়ে এলেন হুগলী জেলার স্মাইল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশান ও গরলগাছা বিবেকানন্দ সমাজসেবা কেন্দ্র।দীর্ঘদিন ধরে চলা লকডাউন আর সুপার সাইক্লোন আম্ফান ঝড়ে বিধ্বস্ত সাধারণ মানুষজন।আম্ফান তার তান্ডবলীলা চালিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছে সমগ্র সুন্দরবন।প্রত্যন্ত সুন্দরবন এলাকার পিছিয়ে পড়া একটি ব্লক বাসন্তী।বাসন্তী ব্লকেও ব্যাপক তান্ডব চালিয়েছে আম্ফান। এই বাসন্তী ব্লকের চুনাখালি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় অধিকাংশ সংখ্যালঘু ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের দরিদ্র মানুষের বসবাস।নদীতে মাছ কাঁকড়া ধরে কিংবা ভিনরাজ্যে গিয়ে কাজ করে উপার্জন করতে হয়,সংসার চালানোর জন্য।
লকডাউন চলায় এই বাসন্তী ব্লকের অধিকাংশ পরিবার গুলো রয়েছে চরম সংকটে। পাশাপাশি আম্ফান তার দাপটে শেষ করে দিয়েছে এই সমস্ত দরিদ্র মানুষের আশা ভরসার বাড়িঘর,গাছপালা,কৃষিজমির ফসল থেকে পুকুরের মাছ পর্যন্ত।সবকিছু ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে।চুনাখালি গ্রামপঞ্চায়েতের আম্ফান বিধ্বস্ত আদিবাসী পাড়া বারুইচক। সেখানে রবিবার দুপুরে অসহায় আম্ফান বিধ্বস্ত ৩৫০ পরিবারের হাতে তুলে দিলেন ত্রিপল সহ পর্যাপ্ত পরিমান খাদ্য সামগ্রী। তুলে দিলেন হুগলী জেলার ‘স্মাইল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশান’ ও ‘গরলগাছা বিবেকানন্দ সমাজসেবা কেন্দ্রে’র সদস্যরা।এদিন ত্রাণ বিতরণে উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্য শ্রীনিবাস অধিকারী,দক্ষিণা অধিকারী,এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবী দেবাশীষ বৈরাগী সহ অন্যান্য বিশিষ্টরা।ত্রাণ বিতরণের পর ক্ষান্ত থাকেননি এই দুই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্য শ্রীনিবাস আধিকারী ও দক্ষিণা অধিকারী সহ অন্যান্যরা । তাঁরা পিছিয়ে পড়া বাসন্তী ব্লকের এই বারুইচক গ্রামের মানুষজনদের কে স্বনির্ভর করে তোলার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন। তাঁরা জানিয়েছেন “সামান্য ত্রাণ একদিনের জন্য। কিংবা ভিনরাজ্যে গিয়ে কাজকর্ম করে সংসার নির্বাহ করার চিন্তা ভাবনা করলে চলবে না। নিজেদের কে স্বনির্ভর হতে হবে। তার জন্য সমস্ত রকম প্রয়াস এবং সহযোগিতা করার জন্য তাঁরা প্রস্তুত।পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যরা গ্রামের আদিবাসী মহিলাদের কে প্রস্তাব দেন যে “এই মুহূর্তে ন্যাপকিন,স্যানিটাইজার কিংবা মাস্কের চাহিদা রয়েছে সর্বত্র। তাঁরা এগিয়ে আসলে তাঁদের কে প্রশিক্ষণ দিয়ে এই সমস্ত প্রয়োজনীয় জিনিস উৎপন্ন করে স্বনির্ভর হওয়া সম্ভব।কিংবা জ্যাম,জেলি আচার সহ অন্যান্য কুটির শিল্প তৈরি করে অর্থনৈতিক ভাবে ঘুরে দাঁড়ানো যেতে পারে।স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যদের আহ্বানে এগিয়ে আসতে বদ্ধ পরিকর আদিবাসী অধুষ্যিত চুনাখালির বারুইচক গ্রামের আরতি সরদার,কমলা সাঁওতাল,মিনু সিংয়েরা।
এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবী দেবাশীষ বৈরাগী বলেন “দুটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আম্ফান দুর্গত বারুইচক গ্রামে আদিবাসীদের যে ভাবে ত্রাণ দিয়ে সাহায্য করলেন তা অনন্য।পাশাপাশি এলাকার অসহায় আদিবাসী মহিলাদের স্বনির্ভর করে অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ এক অনন্য অসাধারণ প্রয়াস।এমন কাজে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাদ্বয় কে স্বাগত।
0 Comments
Welcome