সুন্দরবনের ব্যাঘ্র বিধবাদের সাহায্য
গোসাবা | এবার সুন্দরবনের সম্প্রতি ব্যঘ্র বিধবা হয়েছেন এমন মহিলাদের পাশে দাঁড়ালেন বালি ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের বালি পশ্চিম পাড়ার বছর ২৮ এর যুবক সৌমিত্র মণ্ডল। তবে সৌমিত্র-এর একার পক্ষে এই কাজ করা কখনোই সম্ভব ছিল না।কারণ তিনি যে তার ব্যাঙ্কের সমূহ অর্থ ইতিপূর্বে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় ত্রাণ তহবিলে দান করেছেন। এমনকি নিজের স্ত্রীর পাঠানো ঔষধ ক্রয়ের টাকা টাও লাগিয়েছেন দুস্থ মানুষের সেবায়। তবে কথায় আছে "ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়"। তাই সে দুস্থ ও অসহায় মানুষের সাহায্যের জন্য নিজের মানবিকতার কাছে লড়ে শেষে হাত পাতলেন তার এক সময়ের ছাত্র- ছাত্রী ও বন্ধুদের কাছে। ভাগ্যক্রমে কয়েকজন বন্ধু- ভবসিন্ধু, দেবপ্রসাদ, অশোক, সঞ্জীব, হর্ষবর্ধন ও একজন ছাত্র- বিভান সাহায্যের হাত বাড়ালো। তাদের সাহায্যের সবটুকু অর্থ নিয়ে আবারো মানুষের সেবায় নেমে পড়লেন সৌমিত্র। মনস্থির করলেন সম্প্রতি যে তিনটি পরিবার এই অবস্থার শিকার হয়েছে সেই তিনটি পরিবারের জন্য ত্রাণ সামগ্রী পাঠাবেন।এদিকে লকডাউন পরিস্থিতিতে সুন্দরবনের নদী পারাপারাও যে একরকম বন্ধ। কিন্তু ঐ অসহায় পরিবার গুলিতে পাঠাতে হবে ত্রাণ সামগ্রী।এমতাবস্থায় নিরুপায় সৌমিত্র শরনাপন্ন হল রাজেশ মণ্ডল ও বন্ধু স্থানীয় মনোতোষ মিস্ত্রি এর । যে দুজনের বাড়ি ঐ পরিবার গুলির মোটামুটি কাছাকাছি। রাজেশ দাদার এক কথায় রাজী।মনোতোষও পিছিয়ে থাকার পাএ নয়। রাজেশ দাদার পাঠানো টাকায় তেল, ডাল, লবন, চিনি, সয়াবিন, বিস্কুট, হ্যাণ্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক ও সামান্য পরিমাণ নগদ অর্থ রোদ বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে পৌঁছে দিল সুজিত মণ্ডল ও রথীন সরকারের বাড়িতে। অপরদিকে মনোতোষ সৌমিত্র এর পাঠানো নগদ অর্থ নিয়ে ছোট মোল্লাখালী নবীন সরকারের বাড়ি উপস্থিত হলে নবীন বাবুর স্ত্রী ও সন্তানরা তা গ্রহন করেন নি। এ প্রসঙ্গে ওনাদের বক্তব্য- আমাদের আর্থিক অবস্থা খুব খারাপ নয়। তাই আমাদের জন্য যে অর্থ সৌমিত্র বাবু পাঠিয়েছেন তা আমাদের না দিয়ে বরং দুস্থ মানুষদের সেবায় কাজে লাগান। একথা ফোনে শোনা মাত্রই সৌমিত্র বাবু ওনাদের একথা বলে আশ্বস্ত করেন যে -আপনাদের কথামত এই অর্থ অসহায় ও দুস্থ মানুষের কাছে অবশ্যই পৌঁছে দেব।
0 Comments
Welcome