Welcome To Sundarban TV ||সুন্দরবন টিভিতে আপনাকে স্বাগত || সুন্দরবন টিভি সুন্দরবনের মানুষের জীবন কথা

লকডাউনে মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে ক্যানিংয়ের কয়েকজন যুবক যুবতী

লকডাউনে মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে ক্যানিংয়ের কয়েকজন যুবক যুবতী 

নুরসেলিম লস্কর, ক্যানিং |   সমগ্র দেশজুড়ে চলছে লকডাউন আর এই লকডাউন এর ফলে সাধারণ মানুষের দুর্দশা ক্রমেই বেড়ে চলেছে তার মধ্যে সমাজের কিছু ক্লাব সোসাইটি বা কিছু ধনী ব্যক্তি বর্গ এসে দাঁড়াচ্ছে এই অসহায় মানুষগুলোর পাশে কিন্তু যাদের কথা কেউ ভাবেনা তাদের কথা ভাবল। বিদিসা,রাকেশ,মনজুর রহমানরা দেশজুড়ে লকডাউন চলার ফলে সবচেয়ে সমস্যার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে সারমেয়রা। লকডাউন এর ফলে বন্ধ হোটেল-রেস্তোরাঁ সহ প্রায় সব খাবারের দোকানপাট ফলে পথ কুকুরগুলো অভক্ত হয়ে মারা যেতে বসেছে। এর মধ্যে অনেক কুকুর অসুস্থ হয়ে পড়েছে কিন্তু হঠাৎ এই সারমেয়দের দুরবস্থা চোখে পড়ে পশুপ্রেমী রাকেশ সেখের কেঁদে উঠে তার মন।  তারপর সে এই অসহায় সারমেয় দের কথা জানায় পশুপ্রেমী বিদিশা  হালদার, ষষ্ঠী দোলোই মনজুর রহমান দের তারা নিজেরা আলোচনা করে শুরু করে এই অভুক্ত সারমেয় খাওয়া ও চিকিৎসা করার কাজ। রাকেশ রা এই কাজ টি করেন ক্যানিং বাজার ও তার আশপাশ এলাকাতে তারা রোজ প্রায় দেড়শো থেকে দুশো সারমেয়দের রোজ খাওয়ায়।
 রাকেশ সেখ - পশু প্রেমী, ক্যানিং 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পশুপ্রেমী বিদিশা হালদার বলেন ' লগডাউনের ফলে সারমেয়দের অবস্থা খারাপ হবে তা বোঝার পরও কিছু করতে পারছিলাম না কিন্তু শষ্টিদা দের কাছে ওদের প্রকৃত অবস্থা জানার পর থেকে কেন যেন ঘুম আসছিল না পরে আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে এই অসহায় সারমেয় গুলির খাওয়ানোর পাশাপাশি তাদের চিকিৎসার ও ব্যবস্থা করছি আমরা রোজ,। মানুষ এখন নিজে খেয়ে বেঁচে থাকতে চাইছে আর আমরা চাইছি আমাদের পাশাপাশি ওরাও বাঁচুক কারণ ওরা না বাঁচলে তো প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাবে '।
     এ বিষয়ে আরেক পশুপ্রেমী রাকেশ সেখ বলেন ' এই অসহায় অভুক্ত সারমেয় গুলিকে শুধু খাওয়ানো নয় আমরা তাদের নিয়মিত স্বাস্থ পরীক্ষা করছি। প্রতিদিন তাদেরকে গুনে গুনে খেয়াল ও রাখছি আমরা কারণ দিন দিন মানুষের নিষ্ঠুরতার শিকার হতে হচ্ছে এদের কোথাও কেউ গাড়ি চাপা দিয়ে চলে যাচ্ছে তো কেউ ধারালো আস্তের কোপ বসাতে ও পিছপা হচ্ছে না মানুষের নিষ্ঠুরতা আজ এমন মাত্রায় পৌঁচ্ছেছে যে তাদের নিষ্ঠুরতা থেকে বাদ পড়ছে না ছোট ছোট বাচ্ছা গুলো ও, তাই যতটা সম্ভব এই সত্যি অসহায়  প্রাণী গুলোর পাশে থাকার চেষ্টা করছি'।
     আর রাকেশ, বিদিশাদের এহানো মানবিক উদ্যোগ দেখে এগিয়ে আসছে অনেকেই যতটা সম্ভব চেষ্টা করছে তাদের এই মানবিকতার অংশীদারি হওয়ার, রাকেশ, ষষ্টিদের এই কাজ করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন সৈয়দ মঞ্জুর রহমান তিনি স্বাস্থ দপ্তরের একজন কর্মী।এই কাজে তার কি ভূমিকা আছে তা জানতে চাইলে তিনি বলেন ' রাকেশ, বিদিশা, ষষ্ঠীদের মতো আরো অনেক কে আজ এগিয়ে আসতে হবে কারণ সমগ্র দেশ এক জরুরী অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, এই সময় আমাদের সকলের উচিৎ সকলের পাশে দাঁড়ানোর তাই যতটা সম্ভব হচ্ছে ওদের সাথে সঙ্গ দেবার চেষ্টা করছি মাত্র '।
বর্তমান সময়ে যখন সবাই নিজেদের নিয়ে ভাবতে ব্যাস্ত সেখানে দাঁড়িয়ে রাকেশ, মঞ্জুর, বিদিশারা যে মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে সত্যি তা আজকের দিনে দাঁড়িয়ে প্রশংসনীয়, তাই সুন্দরবন টিভির পক্ষ থেকে ওদেরকে কুর্নিশ জানাই। 

Post a Comment

0 Comments