করোনা ও ঘূর্ণাবর্ত সুন্দরবনে এখন দোসর
নিজস্ব প্রতিনিধি | করোনা আতঙ্ক যতই জাঁকিয়ে বসছে, আবহাওয়াও বাধ সেধেছে। গোটা বিশ্ব কোভিড-১৯ রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। সমাজের দুর্বল অংশের উপর এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি।
একে করোনায় রক্ষা নেই, ঘূর্ণাবর্ত দোসর। কোভিড-১৯ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে যখন আক্রান্তের ঝড় উঠছে রাজ্যে, সেই সময়ই প্রবল ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস বাংলার আকাশে।
করোনাভাইরাস থেকে মুক্তির কোনো সহজ পথ নেই। এই মহামারী থেকে বাঁচতে হলে আমাদের লড়াই করতে হবে, একতাবদ্ধ থাকতে হবে সক্রিয় ভাবে। বিশ্বে মন্দা শুরু হয়ে গেছে। গত তিন মাসের বিশ্ববাসী কল্পনাতীত নানা সংকটে নিপতিত, আক্রান্ত হওয়া, মৃত্যু, লকডাউনে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়া,আর্থিক সংকট, মৃত্যুভয়, গৃহবিবাদ, রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা ইত্যাদি। এর মধ্যে সর্বাধিক হচ্ছে, মৃত্যুভয় ও আর্থিক সংকট। ভয়াবহ আর্থিক সংকটের ছায়া এসে পড়েছে সুন্দরবনের দক্ষিণ পূর্বদিকের প্রান্তিক গ্রামগুলিতে।
সুন্দরবনের উনিশটি ব্লকে প্রায় পঞ্চাশ লক্ষ মানুষ থাকেন। এই মুহুর্তে চাষাবাদ বা মাছ ধরার মতো স্থানীয় জীবিকার বেহাল অবস্থা ও বিকল্প কর্মসংস্থানের অভাব তো আছেই। স্বাভাবিক ভাবে এই অঞ্চল দারিদ্রের মাপকাঠিতে বাকি জেলার তুলনায় দ্বিগুণ দুর্বল। এ মতো অবস্থায় এগিয়ে এসেছে পূর্বাশা ইকো হেল্পলাইন।
সুন্দরবনের গোসাবা ব্লকের দক্ষিণ-পূর্বের শেষতম চরঘেরী,শান্তিগাছী,পরশমনি,লাক্ সবাগান,লাহিড়ীপুর মতো গ্রামগুলিতে দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাসকারী গ্রামবাসী ও বাঘে ধরা বিধবাদের এবং প্রতিবন্ধকতা আছে এমন পরিবারকে পূর্বাশা থেকে দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় চাল,ডাল,তেল,আলু,পেঁয়াজ, সোয়াবিন,ডেটল সাবান চারশ জনকে তুলে দেন।
0 Comments
Welcome