উম্পুনের ক্ষতিগ্রস্ত ছেলে মেয়েদের পাসে প্রখ্যাত সাহিত্যিক
নিজস্ব প্রতিনিধি , বাসন্তী
সুন্দরবনের একটি প্রত্যন্ত গ্রাম বিরিঞ্চিবাড়ি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী ব্লকের অধীন বিদ্যাধরী আর মাতলা নদীবেষ্টিত গ্রাম, যে গ্রাম থেকে আমেরিকা, ইংল্যান্ড, জাপান, সিঙ্গাপুরের দূরত্ব হাজার হাজার মাইল। তবে দূরত্ব ঘুচে যায় মানুষের হৃদয়ের কাছে। এত দূর থেকে থেকে প্রবাসী বাঙালিরা কোভিড-১৯ আর উম্পুন ঝড়ে বিপর্যস্ত মানুষের জন্য পাঠিয়েছেন এ পর্যন্ত কয়েক লক্ষ টাকা। আর এই কাজটি যাঁর হাত ধরে সম্ভব হচ্ছে তিনি হলেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও প্রবীণ প্রযুক্তিবিদ শ্রী শুভ্রেন্দু রায় চৌধুরী। তিনি কর্মসূত্রে সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়িয়েছেন। আর সেই সুবাদে তাঁর পরিচয় ঘটেছে বহু প্রবাসী বাঙালিদের সংগে। তাঁরই আবেদনে সাড়া দিয়ে সুন্দরবনের বিপর্যস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন সেই সব প্রবাসী বাঙালিরা।
কোভিড-১৯ ভাইরাসে গোষ্ঠী সংক্রমণের ভয়ে যখন লকডাইন শুরু হয়, তখন সুন্দরবনের হাজার হাজার মানুষ গৃহবন্দি হয়ে কর্মহীন হয়ে পড়ে। তখন থেকে শুরু হয় সেই সব দুর্গত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কাজ। নফরগঞ্জ, বিরিঞ্চিবাড়ি, এরপানখালি, হিরন্ময়্পুর,ঠাকুরঘেরি, জয়গোপালপুর, গরানবোস চুনাখালী গ্রামের সাড়ে পাঁচশ পরিবারের হাতে তিন লক্ষাধিক টাকার খাদ্যদ্রব্য, সাবান, মাস্ক, ফিনাইল, স্যানিটাইজার তুলে দেওয়া হয়I এরপর উম্পুন ঘূর্ণিঝড় সুন্দরবনের বুকে আঘাত হানার পর আবার পাঁচ শতাধিক পরিবারের হাতে খাদ্যদ্রব্য সাবান ইতাদি তুলে দেওয়া হয়I ২৬শে মে থেকে শুরু হয় একই সংগে বিরিঞ্চিবাড়ি ও চুনাখালী গ্রামে দুই জায়গায় দু-দুটি কমিউনিটি কিচেনI প্রতিদিন চার শতাধিক মানুষ দুবেলা খাবার খেতে পায়I দুটি কমিউনিটি কিচেন একাদিক্রমে উনিশদিন ও ষোলদিন চালানো হয়I এ সব কাজের বেশির ভাগ অর্থ শুভ্রেন্দুবাবু তাঁর দেশ বিদেশের বন্ধুবান্ধব ও প্রাক্তণ সহকর্মীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করেছেনI অর্থ সংগ্রহে যে দু'জন শুভ্রেন্দুবাবুকে সব থেকে বেশি সাহায্য করেছেন, তাঁরা হলেন, তাঁর প্রাক্তন সহকর্মী শ্রী পিনাকী দেব ও তাঁর আত্মীয়া প্রবাসী ড. টিনা দত্তগুপ্ত।
বর্তমানে আর একটি গুরুত্বপূর্ন অভিনব কাজে আত্মনিয়োগ করেছেন। সুন্দরবনের বেশ কিছু দুর্গত ছাত্রছাত্রী যাদের উম্পুন ঝড়ে ঘরের ছাদ উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছে, এখনও যারা খোলা আকাশের নীচে বসবাস করছে। তাদের বাসগৃহ পুনর্নির্মাণে হাত দিয়েছেন। সেই সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের পরিবার পিছু বারো খানা করে আট ফুট দৈর্ঘের ৪৫ এমএময়ের জেএসডব্লিউ রঙ্গিন টিন ও আটখানা কংক্রিটের পিলার কিনে দেওয়া হচ্ছেI ইতিমধ্যে বিরিঞ্চি বাড়ি গ্রামের নীলকন্ঠপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেনীর ছাত্রী কামনা বেরার এবং চুনাখালী হাটখোলা স্কুলের ছাত্র যমজ ভাই রাজদীপ ও সন্দীপ সর্দারের ঘর নির্মাণ সম্পূর্ণ হয়েছে। এছাড়া আরও বারটি বাড়ি পুনর্নির্মাণের অর্থ সংগৃহীত হয়েছে। বর্ষা শুরু হওয়ায় এই কাজে বিলম্ব হচ্ছে। দুর্দশাগ্রস্ত ছাত্রছাত্রীদের পাশে দাঁড়ানোর এই অভিনব কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করে অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এই কাজে সহায়তা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। শুধু এই কাজ নয় এর পাশাপাশি সুন্দরবনের নীলকন্ঠপুর, চুনাখালী হাটখোলা, আনন্দাবাদ বেসিক, জয়গোপালপুর আদিবাসী, রানিগড় সিএস, দেবনগর কলোনি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ ছয়টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের পুষ্টিবর্ধনের জন্য নিয়মিত মিড ডে মিলের পরে ফল ডিম দুধ হরলিক্স ইত্যাদি পুষ্টিকারক খাবার সরবরাহ করা হয়। শুধু পুষ্টিবর্ধনের কাজ নয় এর সংগে বারোটি বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাব ,অডিও ভিজুয়াল পদ্ধতিতে পাঠদানের ব্যবস্থা হয়েছে। একুশটি বিদ্যালয়ে ভূগর্ভস্থ জল অপচয় রোধের জন্য পঞ্চাশ হাজার টাকা ব্যয় করে জল সঞ্চয়ী ট্যাপ লাগিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। কয়েকটি বিদ্যালয়ে সাবমার্সিবল পাম্পও বসানো হয়েছে।
কাজটি শুরু হয়েছিল বাসন্তী ব্লকের নীলকন্ঠপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় পাঁচ বছর আগে প্রয়াত কর্নেল ভূপাল লাহিড়ি মহাশয়ের উদ্যোগে। সেদিনও পাশে ছিলেন তাঁর সুযোগ্য বন্ধু শ্রী শুভ্রেন্দু রায় চোধুরী। বছর খানেক আগে কর্নেল লাহিড়ীর মৃত্যুর পর পুরো কর্মসূচীটিকে বন্ধুর আত্মার উদ্দেশ্যে কর্নেল ভূপাল লাহিড়ি মেমোরিয়াল নিউট্রিশন এনহান্সমেন্ট প্রোগ্রাম নামে উৎসর্গ করে সুন্দরবনে নিরলস প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন শুভ্রেন্দুবাবু। কোভিড-১৯ রিলিফ ফান্ডের জন্য এ পর্যন্ত বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দেড় লক্ষাধিক টাকা এবং উম্পুন পরবর্তী পর্যায়ে দেশ বিদেশ থেকেও তিন লক্ষ টাকা সংগ্রহ করেছেন। এছাড়া বর্তমানে উম্ফুন সাইক্লোনে বিধ্বস্ত ছাত্রছাত্রীদের বিধ্বস্ত গৃহ পুনর্নির্মাণের জন্য দেশে বিদেশে বহু মানুষের কাছে যে আবেদন জানিয়েছেন, সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে তাঁর পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিচ্ছেন অনেকেই। কেউ কেউ আবার সরাসরি বিদ্যালয়ের পৃথক নিউট্রিশন একাউন্টে টাকা প্রেরণ করছেন। এই তো সেদিন শুভ্রেন্দুবাবুর আবেদনে আমেরিকা প্রবাসী তথ্যপ্রযুক্তিবিদ শ্রী সমীর কবিরাজের ব্যবস্থাপনায় নর্থ ভার্জিনিয়া বেঙ্গলি এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আমাজনের মাধ্যমে নীলকন্ঠপুর প্রাথমিক ও চুনাখালী হাটখোলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিচালিত কমিউনিটি কিচেনের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রতিটি স্কুলে ৪৫ কেজি করে বাসমতি চাল, তিরিশ কেজি করে মসুর ও মুগ ডাল এবং বিশ কেজি করে ভোজ্য তেল। এইভাবে একজন প্রবীণ দরদী মানুষের হাত ধরে সুন্দরবনের এই প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলির মানুষ আবার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। এমনই তাঁর মতো আরও কিছু মানব দরদী ব্যক্তিত্ব যদি এগিয়ে আসেন, তাহলে সুন্দরবন নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখবে।
নিজস্ব প্রতিনিধি , বাসন্তী
সুন্দরবনের একটি প্রত্যন্ত গ্রাম বিরিঞ্চিবাড়ি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী ব্লকের অধীন বিদ্যাধরী আর মাতলা নদীবেষ্টিত গ্রাম, যে গ্রাম থেকে আমেরিকা, ইংল্যান্ড, জাপান, সিঙ্গাপুরের দূরত্ব হাজার হাজার মাইল। তবে দূরত্ব ঘুচে যায় মানুষের হৃদয়ের কাছে। এত দূর থেকে থেকে প্রবাসী বাঙালিরা কোভিড-১৯ আর উম্পুন ঝড়ে বিপর্যস্ত মানুষের জন্য পাঠিয়েছেন এ পর্যন্ত কয়েক লক্ষ টাকা। আর এই কাজটি যাঁর হাত ধরে সম্ভব হচ্ছে তিনি হলেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও প্রবীণ প্রযুক্তিবিদ শ্রী শুভ্রেন্দু রায় চৌধুরী। তিনি কর্মসূত্রে সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়িয়েছেন। আর সেই সুবাদে তাঁর পরিচয় ঘটেছে বহু প্রবাসী বাঙালিদের সংগে। তাঁরই আবেদনে সাড়া দিয়ে সুন্দরবনের বিপর্যস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন সেই সব প্রবাসী বাঙালিরা।
কোভিড-১৯ ভাইরাসে গোষ্ঠী সংক্রমণের ভয়ে যখন লকডাইন শুরু হয়, তখন সুন্দরবনের হাজার হাজার মানুষ গৃহবন্দি হয়ে কর্মহীন হয়ে পড়ে। তখন থেকে শুরু হয় সেই সব দুর্গত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কাজ। নফরগঞ্জ, বিরিঞ্চিবাড়ি, এরপানখালি, হিরন্ময়্পুর,ঠাকুরঘেরি, জয়গোপালপুর, গরানবোস চুনাখালী গ্রামের সাড়ে পাঁচশ পরিবারের হাতে তিন লক্ষাধিক টাকার খাদ্যদ্রব্য, সাবান, মাস্ক, ফিনাইল, স্যানিটাইজার তুলে দেওয়া হয়I এরপর উম্পুন ঘূর্ণিঝড় সুন্দরবনের বুকে আঘাত হানার পর আবার পাঁচ শতাধিক পরিবারের হাতে খাদ্যদ্রব্য সাবান ইতাদি তুলে দেওয়া হয়I ২৬শে মে থেকে শুরু হয় একই সংগে বিরিঞ্চিবাড়ি ও চুনাখালী গ্রামে দুই জায়গায় দু-দুটি কমিউনিটি কিচেনI প্রতিদিন চার শতাধিক মানুষ দুবেলা খাবার খেতে পায়I দুটি কমিউনিটি কিচেন একাদিক্রমে উনিশদিন ও ষোলদিন চালানো হয়I এ সব কাজের বেশির ভাগ অর্থ শুভ্রেন্দুবাবু তাঁর দেশ বিদেশের বন্ধুবান্ধব ও প্রাক্তণ সহকর্মীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করেছেনI অর্থ সংগ্রহে যে দু'জন শুভ্রেন্দুবাবুকে সব থেকে বেশি সাহায্য করেছেন, তাঁরা হলেন, তাঁর প্রাক্তন সহকর্মী শ্রী পিনাকী দেব ও তাঁর আত্মীয়া প্রবাসী ড. টিনা দত্তগুপ্ত।
বর্তমানে আর একটি গুরুত্বপূর্ন অভিনব কাজে আত্মনিয়োগ করেছেন। সুন্দরবনের বেশ কিছু দুর্গত ছাত্রছাত্রী যাদের উম্পুন ঝড়ে ঘরের ছাদ উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছে, এখনও যারা খোলা আকাশের নীচে বসবাস করছে। তাদের বাসগৃহ পুনর্নির্মাণে হাত দিয়েছেন। সেই সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের পরিবার পিছু বারো খানা করে আট ফুট দৈর্ঘের ৪৫ এমএময়ের জেএসডব্লিউ রঙ্গিন টিন ও আটখানা কংক্রিটের পিলার কিনে দেওয়া হচ্ছেI ইতিমধ্যে বিরিঞ্চি বাড়ি গ্রামের নীলকন্ঠপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেনীর ছাত্রী কামনা বেরার এবং চুনাখালী হাটখোলা স্কুলের ছাত্র যমজ ভাই রাজদীপ ও সন্দীপ সর্দারের ঘর নির্মাণ সম্পূর্ণ হয়েছে। এছাড়া আরও বারটি বাড়ি পুনর্নির্মাণের অর্থ সংগৃহীত হয়েছে। বর্ষা শুরু হওয়ায় এই কাজে বিলম্ব হচ্ছে। দুর্দশাগ্রস্ত ছাত্রছাত্রীদের পাশে দাঁড়ানোর এই অভিনব কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করে অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এই কাজে সহায়তা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। শুধু এই কাজ নয় এর পাশাপাশি সুন্দরবনের নীলকন্ঠপুর, চুনাখালী হাটখোলা, আনন্দাবাদ বেসিক, জয়গোপালপুর আদিবাসী, রানিগড় সিএস, দেবনগর কলোনি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ ছয়টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের পুষ্টিবর্ধনের জন্য নিয়মিত মিড ডে মিলের পরে ফল ডিম দুধ হরলিক্স ইত্যাদি পুষ্টিকারক খাবার সরবরাহ করা হয়। শুধু পুষ্টিবর্ধনের কাজ নয় এর সংগে বারোটি বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাব ,অডিও ভিজুয়াল পদ্ধতিতে পাঠদানের ব্যবস্থা হয়েছে। একুশটি বিদ্যালয়ে ভূগর্ভস্থ জল অপচয় রোধের জন্য পঞ্চাশ হাজার টাকা ব্যয় করে জল সঞ্চয়ী ট্যাপ লাগিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। কয়েকটি বিদ্যালয়ে সাবমার্সিবল পাম্পও বসানো হয়েছে।
কাজটি শুরু হয়েছিল বাসন্তী ব্লকের নীলকন্ঠপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় পাঁচ বছর আগে প্রয়াত কর্নেল ভূপাল লাহিড়ি মহাশয়ের উদ্যোগে। সেদিনও পাশে ছিলেন তাঁর সুযোগ্য বন্ধু শ্রী শুভ্রেন্দু রায় চোধুরী। বছর খানেক আগে কর্নেল লাহিড়ীর মৃত্যুর পর পুরো কর্মসূচীটিকে বন্ধুর আত্মার উদ্দেশ্যে কর্নেল ভূপাল লাহিড়ি মেমোরিয়াল নিউট্রিশন এনহান্সমেন্ট প্রোগ্রাম নামে উৎসর্গ করে সুন্দরবনে নিরলস প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন শুভ্রেন্দুবাবু। কোভিড-১৯ রিলিফ ফান্ডের জন্য এ পর্যন্ত বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দেড় লক্ষাধিক টাকা এবং উম্পুন পরবর্তী পর্যায়ে দেশ বিদেশ থেকেও তিন লক্ষ টাকা সংগ্রহ করেছেন। এছাড়া বর্তমানে উম্ফুন সাইক্লোনে বিধ্বস্ত ছাত্রছাত্রীদের বিধ্বস্ত গৃহ পুনর্নির্মাণের জন্য দেশে বিদেশে বহু মানুষের কাছে যে আবেদন জানিয়েছেন, সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে তাঁর পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিচ্ছেন অনেকেই। কেউ কেউ আবার সরাসরি বিদ্যালয়ের পৃথক নিউট্রিশন একাউন্টে টাকা প্রেরণ করছেন। এই তো সেদিন শুভ্রেন্দুবাবুর আবেদনে আমেরিকা প্রবাসী তথ্যপ্রযুক্তিবিদ শ্রী সমীর কবিরাজের ব্যবস্থাপনায় নর্থ ভার্জিনিয়া বেঙ্গলি এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আমাজনের মাধ্যমে নীলকন্ঠপুর প্রাথমিক ও চুনাখালী হাটখোলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিচালিত কমিউনিটি কিচেনের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রতিটি স্কুলে ৪৫ কেজি করে বাসমতি চাল, তিরিশ কেজি করে মসুর ও মুগ ডাল এবং বিশ কেজি করে ভোজ্য তেল। এইভাবে একজন প্রবীণ দরদী মানুষের হাত ধরে সুন্দরবনের এই প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলির মানুষ আবার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। এমনই তাঁর মতো আরও কিছু মানব দরদী ব্যক্তিত্ব যদি এগিয়ে আসেন, তাহলে সুন্দরবন নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখবে।
0 Comments
Welcome