গোসাবা ব্লকে ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছে সুন্দরবনের ভূমি পুত্র
নুরসেলিম লস্কর, গোসাবা
ষোলো টা দিন অতিক্রান্ত হয়েগিয়েছে তবুও সুন্দরবনের গোসাবা ব্লকের একের পর এক গ্রামের দিকে তাকালে চোখে পড়বে শয়ে শয়ে কাঁচা বাড়িগুলোর ধ্বংসাবশেষ। চারিদিকে পুকুরের মাছ মরে পচা দুর্গন্ধ। চাষের জমি নোনা জলের তলায় অর্থাৎ কম করে ৩ বছর বন্ধ চাষবাস। বহু স্থানে নলকূপ জলের তলায় থাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানীয় জলের অভাব। যাতায়াতের রাস্তা এমনকি বহু স্থানে নদীর ঘাট ভেঙে যাওয়ায় পৌঁছাচ্ছে না নুন্যতম স্বাস্থ্য পরিষেবা।এমনি এক কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে জলে কুমির, ডাঙায় বাঘ নিয়ে ঘর করছে সুন্দরবনবাসী।
সুন্দরবনের মানুষের জন্য যার চিন্তা সর্বক্ষণ, যিনি সদা ব্যাস্ত সুন্দরবনের উন্নয়ন কিভাবে হয় সে বিষয়ে ভাবতে, তিনি সুন্দরবনের মানুষের এই বিপদের দিনে তাদের পাশে থাকবে না কি? এই প্রশ্ন যখন সুন্দরবনের বাসন্তী, গোসাবার সাধারণ মানুষের মনে উঠতে শুরু করেছে ঠিক তখনই তাদের পাশে দাঁড়াতে হাজির সুন্দরবনের ভূমি পুত্র তথা বিশিষ্ট সমাজ কর্মী লোকমান মোল্লা। তিনি আজ সকাল সকাল ত্রাণ নিয়ে পৌঁছে যান প্রত্যন্ত সুন্দরবনের পিছিয়ে পড়া ব্লক গোসাবার আমতলি, ছোটমোল্লাখালির মতো গ্রামে। সেখানকার গৃহহীন অসহায় মানুষ গুলোর হাতে তুলে দেন ত্রিপল, বিস্কুট, মুড়ি, ছাতু,চাল, ডাল সহ পানীয়জল সঙ্গে বিভিন্ন পোশাক আশাক। এ বিষয়ে সমাজ কর্মী লোকমান বাবু বলেন ' আমরা তো এই অসহায় মানুষগুলো হাতে শুধু কিছু খাবার, জল, ত্রিপল সহ বর্তমানে গোটা বিশ্ব জুড়ে করোনা নামক যে মারণ ভাইরাস থাবা বসাচ্ছে তার হাত থেকেও বাঁচতে এই অসহায় মানুষ গুলোর হাতে ম্যাক্স সহ স্যানিটাইজার ও তুলে দিলাম। কিন্তূ এসব তো ক্ষণস্থায়ী আমরা চাই সুন্দরবনের নিপিড়িত অবহেলিত মানুষ গুলোর জন্য স্থায়ী কোন ব্যবস্থা। যেমন অবিলম্বে নদী বাঁধ গুলোকে কংক্রিটের করা, সঙ্গে প্ৰত্যেক পরিবারের মাথার উপরে ছাদের ব্যবস্থা করা। এই ব্যবস্থা গুলি না করলে আমাদের বারবার সুন্দরবনবাসীর এই করুন দৃশ্য দেখতে হবে'।
0 Comments
Welcome