Welcome To Sundarban TV ||সুন্দরবন টিভিতে আপনাকে স্বাগত || সুন্দরবন টিভি সুন্দরবনের মানুষের জীবন কথা

অসহায় আম্ফান দুর্গতদের দরিদ্র পরিবারের বাড়িতে বাড়িতে নগদ অর্থ পৌঁছে দিলেন শারীরিক ভাবে অক্ষম যুবক

অসহায় আম্ফান দুর্গতদের দরিদ্র পরিবারের বাড়িতে বাড়িতে নগদ অর্থ পৌঁছে দিলেন শারীরিক ভাবে অক্ষম যুবক 


নিজস্ব প্রতিনিধি  ,ক্যানিং -আম্ফান দুর্গতদের অসহায় দরিদ্র ২০ টি পরিবারের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে নগদ অর্থ পৌঁছেদিলেন শারীরিক ভাবে অক্ষম প্রতিবন্ধী যুবক খোকন মন্ডল।বৃহষ্পতিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বাসন্তী ও ক্যানিং ১ ব্লকের প্রত্যন্ত গ্রামে পৌঁছে যায়।সেখানে অসহায় আম্ফান দুর্গত মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তাদের হাতে তুলেদিলেন নগদ অর্থ।কেন এমন নগদ অর্থ প্রদান?এ প্রসঙ্গে শারীরিক ভাবে অক্ষম প্রতিবন্ধী যুবক খোকন মন্ডল জানিয়েছেন গত ২০ মে আম্ফান ঘুর্ণিঝড়ে সুন্দরবন সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে প্রচুর নদীবাঁধ,বাড়িঘর,গাছপালা,বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে তছনছ করে দিয়েছে। অসহায় হয়ে পড়েছে দরিদ্র পরিবারের লোকজন।করোনার শুরু থেকেই এবং আম্ফান পরবর্তী সময়ে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত গ্রাম্য এলাকায় খাদ্যসামগ্রী,পানীয় জল,শুকনো খাবার,ওষুধপত্র এবং ত্রিপল পৌঁছে দিয়েছিলাম প্রায় দুহাজার দুঃস্থ পরিবারের হাতে।পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন দুর্গত এলাকায় গিয়ে জানতে পারলাম “দুর্গত মানুষজন সরকারী ভাবে প্রচুর রেশন সামগ্রী পাচ্ছেন। দুবেলা দুমুঠো খেতে পাচ্ছেন। কিন্তু অসংখ্য দরিদ্র পরিবার নগদ অর্থের অভাবে ধুঁকছে। অনেকেই আবার দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত। টাকার অভাবে ওষুধও কিনতে পারছেন না। আবার কেউ কেউ কোন প্রকার ত্রাণ না পেয়ে খোলা আকাশের নীচে অসহায় ভাবে বসবাস করছেন।এমন পরিস্থিতিতে দেখে দুঃস্থ অসহায় পরিবার গুলোর পাশে দাঁড়িয়ে নগদ অর্থ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। আমার এমন সিদ্ধান্তের কথা জানতে পেরে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন অধ্যাপক ডঃ সুধাময় মন্ডল,অধ্যাপক অনিন্দ শেখর পুরকায়স্থ,অধ্যাপক অভীক মুখার্জী,অধ্যাপক রুপক গোস্বামী,অধ্যাপক দীপক গায়েন ও বিঞ্জানী কুতুবুদ্দিন মোল্ল্যা।তাঁদের দেওয়া সেই অর্থ এবং বেশকিছু খাদ্যসামগ্রী বাসন্তী ও ক্যানিং ১ ব্লকের ২০ টি অসহায় আম্ফান দুর্গত পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছি।ইচ্ছা আছে আগামী দিনে আরো ১০০ দুঃস্থ পরিবারের পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া।”


উল্লেখ্য দীর্ঘ প্রায় বছর তিনেক ধরে প্যারালাইজড আক্রান্ত হয়ে বিছানায় শুয়ে রয়েছেন ক্যানিংয়ের দিঘীরপাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের কুমারশা গ্রামের বিমল মিস্ত্রী ও বাসন্তী ব্লকের মোকামবেড়িয়ার হাড়ভাঙ্গী গ্রামের নকুল সরদার। অর্থের অভাবে ওষুধপত্র কিনতে পারছেন না। তারপর আম্ফানে সাইক্লোনে বাড়িঘর ভেঙে পড়েছে। আচমকা বৃহষ্পতিবার সকালে প্রতিবন্ধী যুবক খোকন মন্ডলের হাত থেকে নগদ পাঁচশো টাকা ও খাদ্য সামগ্রী পেয়ে খুশি।খুশি অন্যান্যরা দুর্গত অসহায় পরিবারগুলোও।

Post a Comment

0 Comments