করেন্টাইনে থেকেও সমাজ কে পথ দেখাচ্ছে সুন্দরবনের কয়েকজন যুবক
নুরসেলিম লস্কর
সমগ্র পৃথিবী করোনার গ্রাসে, ইতিমধ্যে এই মারণ ভাইরাস প্রাণ কেড়ে নিয়েছে প্রায় পাঁচ লক্ষ মানুষের। এই মারণ ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচতে গত তিন মাস ধরে দেশ জুড়ে চলেছে লগডাউন যার ফলে সমস্যায় পড়তে হয়েছে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে পরিযায়ী শ্রমিক রা ও সর্বস্থরের মানুষ। কারণ এই ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচার জন্য একমাত্র পথ সামাজিক দূরত্ব বোঝায় রাখা এবং অসুবিধা বুঝলে সঙ্গে সঙ্গে করেন্টাইন করা। কিন্তূ করেন্টাইন এ থেকেও যে সমাজের জন্য কিছু করা যায় সেই পথ দেখাচ্ছে পত্তন্ত সুন্দরবনের বাসন্তী ব্লকের কয়েক জন যুবক। তারা পরিযায়ী শ্রমিক, কেউ ছিল বিহার, মধ্যপ্রদেশ বা কেউ ছিল ব্যাংঙ্গলোর। তারা অতি কষ্টে গ্রামে আসলে ও তাদের জন্য ছিলনা কোন করেন্টাইন সেন্টার বা কোন টেস্টের পর্যাবতঃ ব্যবস্থা। তা সত্ত্বেও তারা নিজেরাই স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিজেদের করেন্টাইন করে রেখেছে কারণ তারা চায়না যে যদি তারা এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকে তাহলে তাদের পরিবার থেকে শুরু করে তাদের প্ৰিয় গ্রামবাসিরা ও আক্রান্ত হবে সেই জন্য তারা স্বইচ্ছায় নিজেদের করেন্টাইন করে রেখেছে। যেখানে রোজ দেখা যাচ্ছে প্রশাসন করেন্টাইন করে রেখেছে তারাই সেখান থেকে বেরিয়ে কেউ নিজের বাড়িতে তো কেউ দিব্যি বাজার ঘাটে ঘুরে বেড়াচ্ছে সেখানে দাঁড়িয়ে সুন্দরবনে বাসন্তীর ব্লকের সৌভিক, সমীর, সৌকত দের এই সচেতনতা সত্যিই প্রসংশনিয়।
সৌভিক, রূবেন, কাত্তিকরা শুধু স্কুল ঘরে নিজেদের করেন্টাইন করে রাখেনি তারা রোজ নিয়ম করে করছে ঐ বিদ্যালয় পরিষ্কার পরিছন্ন করার কাজ। চোরাডাকাতিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রত্যেক টা ঘর থেকে শুরু করে বাচ্ছাদের খেলার পার্ক পর্যন্ত পরিষ্কার করার কাজ। কখনো ঘর ঝাঁট দেওয়া থেকে শুরু করে পার্কের গাছ গুলোর গোড়ায় মাটি দেওয়া বা গাছের ডাল পালা কেটে পরিষ্কার করার কাজ তারা প্রতিনিয়ত করে যাচ্ছে তারা। গ্রামের এই কাজ দেখে স্বাভাবিক ভাবে খুশি ঐ গ্রামের মানুষ জন থেকে শুরু করে ঐ স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারাও।
এ বিষয়ে করেন্টাইনে থাকা কার্তিক মাইতি নামের এক যুবক বলেন ' করোনা নামক ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচতে এবং আমাদের গ্রাম কে বাঁচতে আমরা নিজেদের কে এখানে আবদ্ধ রেখেছি, সেই সঙ্গে লগডাউন চলার ফলে স্কুলের ঘর গুলো ও বাগান গুলো ময়লা জমে ছিল তাই আমরা রোজ নিয়ম করে সে গুলো পরিষ্কার করে দিচ্ছি কারণ আমাদের বাড়ির বা আমাদের গ্রামের শিশুরা তো এই স্কুলে আসবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তাই '
এ বিষয়ে ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলিআকবর সরদার বলেন ' সত্যি এই যুবক দের সচেতনতা সঙ্গে তাদের এই যে মানসিকতার পরিচয় দিচ্ছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়, এবং আজকে দিনে দাঁড়িয়ে যেখানে মানুষ নিজেদের নিয়ে ভাবতে ব্যাস্ত সেখানে এই যুবকদের এই কাজ আগামী দিনে সমগ্র সুন্দরবন থেকে শুরু করে গোটা দেশ কে পথ দেখাবে বলে আমার মনে হয় '
নুরসেলিম লস্কর
সমগ্র পৃথিবী করোনার গ্রাসে, ইতিমধ্যে এই মারণ ভাইরাস প্রাণ কেড়ে নিয়েছে প্রায় পাঁচ লক্ষ মানুষের। এই মারণ ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচতে গত তিন মাস ধরে দেশ জুড়ে চলেছে লগডাউন যার ফলে সমস্যায় পড়তে হয়েছে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে পরিযায়ী শ্রমিক রা ও সর্বস্থরের মানুষ। কারণ এই ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচার জন্য একমাত্র পথ সামাজিক দূরত্ব বোঝায় রাখা এবং অসুবিধা বুঝলে সঙ্গে সঙ্গে করেন্টাইন করা। কিন্তূ করেন্টাইন এ থেকেও যে সমাজের জন্য কিছু করা যায় সেই পথ দেখাচ্ছে পত্তন্ত সুন্দরবনের বাসন্তী ব্লকের কয়েক জন যুবক। তারা পরিযায়ী শ্রমিক, কেউ ছিল বিহার, মধ্যপ্রদেশ বা কেউ ছিল ব্যাংঙ্গলোর। তারা অতি কষ্টে গ্রামে আসলে ও তাদের জন্য ছিলনা কোন করেন্টাইন সেন্টার বা কোন টেস্টের পর্যাবতঃ ব্যবস্থা। তা সত্ত্বেও তারা নিজেরাই স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিজেদের করেন্টাইন করে রেখেছে কারণ তারা চায়না যে যদি তারা এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকে তাহলে তাদের পরিবার থেকে শুরু করে তাদের প্ৰিয় গ্রামবাসিরা ও আক্রান্ত হবে সেই জন্য তারা স্বইচ্ছায় নিজেদের করেন্টাইন করে রেখেছে। যেখানে রোজ দেখা যাচ্ছে প্রশাসন করেন্টাইন করে রেখেছে তারাই সেখান থেকে বেরিয়ে কেউ নিজের বাড়িতে তো কেউ দিব্যি বাজার ঘাটে ঘুরে বেড়াচ্ছে সেখানে দাঁড়িয়ে সুন্দরবনে বাসন্তীর ব্লকের সৌভিক, সমীর, সৌকত দের এই সচেতনতা সত্যিই প্রসংশনিয়।
সৌভিক, রূবেন, কাত্তিকরা শুধু স্কুল ঘরে নিজেদের করেন্টাইন করে রাখেনি তারা রোজ নিয়ম করে করছে ঐ বিদ্যালয় পরিষ্কার পরিছন্ন করার কাজ। চোরাডাকাতিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রত্যেক টা ঘর থেকে শুরু করে বাচ্ছাদের খেলার পার্ক পর্যন্ত পরিষ্কার করার কাজ। কখনো ঘর ঝাঁট দেওয়া থেকে শুরু করে পার্কের গাছ গুলোর গোড়ায় মাটি দেওয়া বা গাছের ডাল পালা কেটে পরিষ্কার করার কাজ তারা প্রতিনিয়ত করে যাচ্ছে তারা। গ্রামের এই কাজ দেখে স্বাভাবিক ভাবে খুশি ঐ গ্রামের মানুষ জন থেকে শুরু করে ঐ স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারাও।
এ বিষয়ে করেন্টাইনে থাকা কার্তিক মাইতি নামের এক যুবক বলেন ' করোনা নামক ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচতে এবং আমাদের গ্রাম কে বাঁচতে আমরা নিজেদের কে এখানে আবদ্ধ রেখেছি, সেই সঙ্গে লগডাউন চলার ফলে স্কুলের ঘর গুলো ও বাগান গুলো ময়লা জমে ছিল তাই আমরা রোজ নিয়ম করে সে গুলো পরিষ্কার করে দিচ্ছি কারণ আমাদের বাড়ির বা আমাদের গ্রামের শিশুরা তো এই স্কুলে আসবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তাই '
এ বিষয়ে ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলিআকবর সরদার বলেন ' সত্যি এই যুবক দের সচেতনতা সঙ্গে তাদের এই যে মানসিকতার পরিচয় দিচ্ছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়, এবং আজকে দিনে দাঁড়িয়ে যেখানে মানুষ নিজেদের নিয়ে ভাবতে ব্যাস্ত সেখানে এই যুবকদের এই কাজ আগামী দিনে সমগ্র সুন্দরবন থেকে শুরু করে গোটা দেশ কে পথ দেখাবে বলে আমার মনে হয় '
0 Comments
Welcome