AIFF - এর বর্ষসেরা ফুটবলার দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার 'সজল বাগ '
নুরসেলিম লস্কর, দক্ষিণ 24 পরগনা : বাবা পেশায় দিনমজুর। আয় আছে, নেই সঞ্চয়। দিন আনা, দিন খাওয়া পরিবারে জন্ম গ্রহণ করলেও একদিন ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে নিজেকে দেখতে চায় সজল বাগ। দক্ষিণ ২৪ পরগণার চামুরাট গ্রাম থেকে উঠে আসা এই তরুণ ফুটবলার রোজ আধ ঘণ্টা সাইকেল চালিয়ে গড়িয়া স্টেশন আসে। তারপর ট্রেন এবং বাসে চেপে মোহন বাগান ক্লাব। কোচ নাসিম আলির হাত ধরেই সবুজ-মেরুন জার্সি গায়ে চাপিয়েছিল সে। গত বছর অনূর্ধ্ব-১৮ আই লিগে ধারাবাহিকভাবে দুরন্ত খেলে সজল। সিনিয়র দলের বিরুদ্ধে অনুশীলন ম্যাচে তার বুদ্ধিদীপ্ত ফুটবলের প্রশংসা শোনা গিয়েছিল কোচ কিবু ভিকুনার মুখে। কথা ছিল, বেইতিয়াদের সঙ্গে অনুশীলনে যোগ দেওয়ার। অনূর্ধ্ব-১৮ আই লিগ চলায় তা আর সম্ভব হয়নি। তবে অদূর ভবিষ্যতে সবুজ-মেরুন জার্সি গায়ে প্রতিষ্ঠিত হওয়াই লক্ষ্য সজলের। এবার অনূর্ধ্ব-১৮ বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার পাওয়ার কথা শুনে খুশি সে। তবে উচ্ছ্বাসের জোয়ারে গা ভাসাতে নারাজ মেসি অনুরাগীটি। কারণ সে জানে, সবে পা ফেলা শুরু হয়েছে। যেতে হবে বহুদূর। মঙ্গলবার সজল জানায়, ‘বর্ষসেরা পুরস্কার পেয়ে বেশ ভালো লাগছে। তবে স্যারেরা বলেছেন, আরও অনেক বড় হতে হবে। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে এগতে চাই। মোহন বাগানের হয়ে সিনিয়র দলে খেলার পাশাপাশি দেশের জার্সি পরা আমার স্বপ্ন।’
বারুইপুরের দুর্বার অ্যাকাডেমিতে ফুটবলে হাতেখড়ি। তারপর বেঙ্গল জুনিয়র দলে খেলাকালীন নামিস আলির নজরে পড়েন সজল। সেখান থেকেই ২০১৭ সালে মোহন বাগান অ্যাকাডেমিতে যোগ দেওয়া। লকডাউনের সময় সংসার যেন চলছিল না সজলের। তার কথায়, ‘করোনার প্রকোপে খেলা বন্ধ ছিল। টান পড়েছিল বাবার আয়েও। কষ্ট করেই চলছে আমার। ক্লাব পাশে না দাঁড়ালে অবস্থা আরও খারাপ হত। বর্ষসেরা পুরস্কার বাবদ প্রাপ্ত অর্থ তুলে দেব বাবার হাতে। আর বাকি টাকায় কিনব ভালো বুট।’
নুরসেলিম লস্কর, দক্ষিণ 24 পরগনা : বাবা পেশায় দিনমজুর। আয় আছে, নেই সঞ্চয়। দিন আনা, দিন খাওয়া পরিবারে জন্ম গ্রহণ করলেও একদিন ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে নিজেকে দেখতে চায় সজল বাগ। দক্ষিণ ২৪ পরগণার চামুরাট গ্রাম থেকে উঠে আসা এই তরুণ ফুটবলার রোজ আধ ঘণ্টা সাইকেল চালিয়ে গড়িয়া স্টেশন আসে। তারপর ট্রেন এবং বাসে চেপে মোহন বাগান ক্লাব। কোচ নাসিম আলির হাত ধরেই সবুজ-মেরুন জার্সি গায়ে চাপিয়েছিল সে। গত বছর অনূর্ধ্ব-১৮ আই লিগে ধারাবাহিকভাবে দুরন্ত খেলে সজল। সিনিয়র দলের বিরুদ্ধে অনুশীলন ম্যাচে তার বুদ্ধিদীপ্ত ফুটবলের প্রশংসা শোনা গিয়েছিল কোচ কিবু ভিকুনার মুখে। কথা ছিল, বেইতিয়াদের সঙ্গে অনুশীলনে যোগ দেওয়ার। অনূর্ধ্ব-১৮ আই লিগ চলায় তা আর সম্ভব হয়নি। তবে অদূর ভবিষ্যতে সবুজ-মেরুন জার্সি গায়ে প্রতিষ্ঠিত হওয়াই লক্ষ্য সজলের। এবার অনূর্ধ্ব-১৮ বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার পাওয়ার কথা শুনে খুশি সে। তবে উচ্ছ্বাসের জোয়ারে গা ভাসাতে নারাজ মেসি অনুরাগীটি। কারণ সে জানে, সবে পা ফেলা শুরু হয়েছে। যেতে হবে বহুদূর। মঙ্গলবার সজল জানায়, ‘বর্ষসেরা পুরস্কার পেয়ে বেশ ভালো লাগছে। তবে স্যারেরা বলেছেন, আরও অনেক বড় হতে হবে। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে এগতে চাই। মোহন বাগানের হয়ে সিনিয়র দলে খেলার পাশাপাশি দেশের জার্সি পরা আমার স্বপ্ন।’
বারুইপুরের দুর্বার অ্যাকাডেমিতে ফুটবলে হাতেখড়ি। তারপর বেঙ্গল জুনিয়র দলে খেলাকালীন নামিস আলির নজরে পড়েন সজল। সেখান থেকেই ২০১৭ সালে মোহন বাগান অ্যাকাডেমিতে যোগ দেওয়া। লকডাউনের সময় সংসার যেন চলছিল না সজলের। তার কথায়, ‘করোনার প্রকোপে খেলা বন্ধ ছিল। টান পড়েছিল বাবার আয়েও। কষ্ট করেই চলছে আমার। ক্লাব পাশে না দাঁড়ালে অবস্থা আরও খারাপ হত। বর্ষসেরা পুরস্কার বাবদ প্রাপ্ত অর্থ তুলে দেব বাবার হাতে। আর বাকি টাকায় কিনব ভালো বুট।’
0 Comments
Welcome