নিখোঁজ নাবালিকা কে উদ্ধার করে কলকাতা পুলিশের হাতে তুলে দিলেন আরপিএফ
নিজস্ব প্রতিনিধি ,ক্যানিং -নিখোঁজ এক নাবালিকা কে উদ্ধার করে কলকাতা পুলিশের হাতে তুলে দিলেন আরপিএফ। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার ক্যানিং রেলওয়ে ষ্টেশনে।শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার ক্যানিং রেলওয়ে ষ্টেশন সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার নামে খ্যাত।প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী সাধারণ সহ সুন্দরবন ভ্রমণের জন্য দেশ বিদেশের ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকরা যাতায়াত করেন এই ক্যানিং ষ্টেশন দিয়েই।করোনা তান্ডবে বর্তমানে লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে গত ২৩ মার্চ থেকে। যদিও চিকিৎসক,নার্স,পুলিশ এবং রেলের কর্মীদের নিয়ে যাতায়াত করার জন্য সারাদিনে মাত্র তিনবার যাতায়াত করার জন্য স্টাফ ট্রেন চালু রয়েছে।মঙ্গলবার সকালে ক্যানিং রেলওয়ে ষ্টেশনে কর্তব্যরত ছিলেন আরপিএফ হেড কনস্টেবল সমরেন্দ্র মন্ডল।তিনি ক্যানিং ষ্টেশনে বছর ১১ বয়সের এক নাবালিকা কে ঘোরাফেরা করতে দেখেন।নাবালিকা কে জিঞ্জাসাবাদ শুরু করে জানতে পারেন, কলকাতার মেটিয়াবুরুজ থানা এলাকায় তার বাড়ি।সোমবার সে তার মায়ের সাথে ঝগড়া করে বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছে।সোমবার রাতে শিয়ালদহ বজবজ শাখার কোন এক ষ্টেশনে রাত কাটিয়ে আবার ট্রেনে চড়ে বসে।শেষ পর্যন্ত ক্যানিং ষ্টেশনে এসে ভবঘুরের মতো ঘুরতে থাকার সময় আরপিএফ এর নজরে পড়ে যায়।কর্তব্যরত আরপিএফ কর্মী নাবালিকা কে জিঞ্জাসাবাদ করে তার বাড়ির ঠিকানা খোঁজখবর করে মেটিয়াবুরুজ থানায় নিখোঁজ নাবালিকা সম্পর্কে জানায়। অন্যদিকে মেয়ে কে খুঁজে না পেয়ে মেটিয়াবুরুজ থানায় সোমবার একটি অভিযোগ জানিয়েছিলেন নাবালিকার মা রঞ্জু দেবী।রঞ্জু দেবীর অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসেছিল কলকাতা পুলিশের মেটিয়াবুরুজ থানার পুলিশ। তাঁরা বিভিন্ন সোর্স মারফত খোঁজখবর শুরু করেন নিখোঁজ নাবালিকা সম্পর্কে।ইতিমধ্যে মঙ্গলবার সকালে নাবালিকা কে উদ্ধার করে মেটিয়াবুরুজ থানায় খবর দেন আরপিএফ হেড কনষ্টেবল সমরেন্দ্র মন্ডল। নিখোঁজ নাবালিকা ক্যানিং ষ্টেশনে কর্তব্যরত আরপিএফ এর হাতে ধরা পড়েছে খবর জানার পর এক মুহূর্ত দেরী না করে নিখোঁজ নাবালিকার মা রঞ্জু দেবী ও এক মহিলা সহ দুই পুলিশ কর্মী কে সাথে নিয়ে সড়ক পথে ক্যানিং ষ্টেশনের উদ্দ্যেশে রওনা দেয় কলকাতা পুলিশের মেটিয়াবুরুজ থানার এস আই সঞ্জয় কুমার লিম্বু।দীর্ঘ প্রায় সত্তর কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে ক্যানিং ষ্টেশনে পৌঁছায় কলকাতার মেটিয়াবুরুজ থানার পুলিশ টীম ও নিখোঁজ নাবালিকার মা । তাঁরা ক্যানিং রেলওয়ে ষ্টেশনের আরপিএফ সাব ইন্সপেক্টর আর কে সিং এর সাথে কথা বলেন।সরকারী বিধি মেনেই ক্যানিং আরপিএফ কলকাতা পুলিশের হাতে নিখোঁজ নাবালিকা কে হস্তান্তর করেন।আরপিএফ ও কলকাতা পুলিশে এমন অনবদ্য উদ্যোগে ২৪ ঘন্টার মধ্যে নিখোঁজ মেয়ে কে কাছে পেয়ে আনন্দে কেঁদে ফেলেন রঞ্জুদেবী।
তিনি আরপিএফ ও কলকাতা পুলিশের এমন উদ্যোগ কে কৃতঞ্জতা জানিয়ে বলেন “বাড়িতে সামান্য একটু বকাবকি করেছিলাম মেয়েকে। তাতেই রাগ করে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিল।ভেবে ছিলাম মেয়েকে হয়তো আর কোন দিনও খুঁজে পাবো না।কোন খারাপ চক্রে পড়ে পাচার হয়ে যেতে পারে। কিন্তু আরপিএফ ও কলকাতা পুলিশের সাহায্যে ২৪ ঘন্টার মধ্যে নিখোঁজ মেয়ে কে পেয়ে যাবো বিশ্বাস করতে পারছিলাম না।
তবে মেয়ে কে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে আর বকাঝকা করবে না বলে জানিয়েছেন রঞ্জুদেবী।
ঘটনা প্রসঙ্গে ক্যানিং ষ্টেশনের আরপিএফ সাব ইন্সপেক্টর আর কে সিং জানিয়েছেন “রেল সুরক্ষা বাহিনীর হাতে উদ্ধার হওয়া নিখোঁজ নাবালিকা তার পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়ায় তাঁরা খুশি”।
কর্তব্যরত ক্যানিং আরপিএফ হেড কনষ্টেবল সমরেন্দ্র মন্ডল জানিয়েছেন “রেলসুরক্ষা বাহিনী হিসাবে নিজের কর্তব্য পালন করার চেষ্টা করেছি মাত্র।”
অন্যদিকে বিভিন্ন কর্মদক্ষতা নিয়ে কলকাতা পুলিশের যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে ২৪ ঘন্টার মধ্যে নিখোঁজ নাবালিকা কে উদ্ধার করে তার পরিবারের হাতে তুলে দিতে পারার জন্য খুশি কলকাতা পুলিশের মেটিয়াবুরুজ থানার সাব ইন্সপেক্টর সঞ্জয় কুমার লিম্বু।
নিজস্ব প্রতিনিধি ,ক্যানিং -নিখোঁজ এক নাবালিকা কে উদ্ধার করে কলকাতা পুলিশের হাতে তুলে দিলেন আরপিএফ। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার ক্যানিং রেলওয়ে ষ্টেশনে।শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার ক্যানিং রেলওয়ে ষ্টেশন সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার নামে খ্যাত।প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী সাধারণ সহ সুন্দরবন ভ্রমণের জন্য দেশ বিদেশের ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকরা যাতায়াত করেন এই ক্যানিং ষ্টেশন দিয়েই।করোনা তান্ডবে বর্তমানে লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে গত ২৩ মার্চ থেকে। যদিও চিকিৎসক,নার্স,পুলিশ এবং রেলের কর্মীদের নিয়ে যাতায়াত করার জন্য সারাদিনে মাত্র তিনবার যাতায়াত করার জন্য স্টাফ ট্রেন চালু রয়েছে।মঙ্গলবার সকালে ক্যানিং রেলওয়ে ষ্টেশনে কর্তব্যরত ছিলেন আরপিএফ হেড কনস্টেবল সমরেন্দ্র মন্ডল।তিনি ক্যানিং ষ্টেশনে বছর ১১ বয়সের এক নাবালিকা কে ঘোরাফেরা করতে দেখেন।নাবালিকা কে জিঞ্জাসাবাদ শুরু করে জানতে পারেন, কলকাতার মেটিয়াবুরুজ থানা এলাকায় তার বাড়ি।সোমবার সে তার মায়ের সাথে ঝগড়া করে বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছে।সোমবার রাতে শিয়ালদহ বজবজ শাখার কোন এক ষ্টেশনে রাত কাটিয়ে আবার ট্রেনে চড়ে বসে।শেষ পর্যন্ত ক্যানিং ষ্টেশনে এসে ভবঘুরের মতো ঘুরতে থাকার সময় আরপিএফ এর নজরে পড়ে যায়।কর্তব্যরত আরপিএফ কর্মী নাবালিকা কে জিঞ্জাসাবাদ করে তার বাড়ির ঠিকানা খোঁজখবর করে মেটিয়াবুরুজ থানায় নিখোঁজ নাবালিকা সম্পর্কে জানায়। অন্যদিকে মেয়ে কে খুঁজে না পেয়ে মেটিয়াবুরুজ থানায় সোমবার একটি অভিযোগ জানিয়েছিলেন নাবালিকার মা রঞ্জু দেবী।রঞ্জু দেবীর অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসেছিল কলকাতা পুলিশের মেটিয়াবুরুজ থানার পুলিশ। তাঁরা বিভিন্ন সোর্স মারফত খোঁজখবর শুরু করেন নিখোঁজ নাবালিকা সম্পর্কে।ইতিমধ্যে মঙ্গলবার সকালে নাবালিকা কে উদ্ধার করে মেটিয়াবুরুজ থানায় খবর দেন আরপিএফ হেড কনষ্টেবল সমরেন্দ্র মন্ডল। নিখোঁজ নাবালিকা ক্যানিং ষ্টেশনে কর্তব্যরত আরপিএফ এর হাতে ধরা পড়েছে খবর জানার পর এক মুহূর্ত দেরী না করে নিখোঁজ নাবালিকার মা রঞ্জু দেবী ও এক মহিলা সহ দুই পুলিশ কর্মী কে সাথে নিয়ে সড়ক পথে ক্যানিং ষ্টেশনের উদ্দ্যেশে রওনা দেয় কলকাতা পুলিশের মেটিয়াবুরুজ থানার এস আই সঞ্জয় কুমার লিম্বু।দীর্ঘ প্রায় সত্তর কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে ক্যানিং ষ্টেশনে পৌঁছায় কলকাতার মেটিয়াবুরুজ থানার পুলিশ টীম ও নিখোঁজ নাবালিকার মা । তাঁরা ক্যানিং রেলওয়ে ষ্টেশনের আরপিএফ সাব ইন্সপেক্টর আর কে সিং এর সাথে কথা বলেন।সরকারী বিধি মেনেই ক্যানিং আরপিএফ কলকাতা পুলিশের হাতে নিখোঁজ নাবালিকা কে হস্তান্তর করেন।আরপিএফ ও কলকাতা পুলিশে এমন অনবদ্য উদ্যোগে ২৪ ঘন্টার মধ্যে নিখোঁজ মেয়ে কে কাছে পেয়ে আনন্দে কেঁদে ফেলেন রঞ্জুদেবী।
তিনি আরপিএফ ও কলকাতা পুলিশের এমন উদ্যোগ কে কৃতঞ্জতা জানিয়ে বলেন “বাড়িতে সামান্য একটু বকাবকি করেছিলাম মেয়েকে। তাতেই রাগ করে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিল।ভেবে ছিলাম মেয়েকে হয়তো আর কোন দিনও খুঁজে পাবো না।কোন খারাপ চক্রে পড়ে পাচার হয়ে যেতে পারে। কিন্তু আরপিএফ ও কলকাতা পুলিশের সাহায্যে ২৪ ঘন্টার মধ্যে নিখোঁজ মেয়ে কে পেয়ে যাবো বিশ্বাস করতে পারছিলাম না।
তবে মেয়ে কে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে আর বকাঝকা করবে না বলে জানিয়েছেন রঞ্জুদেবী।
ঘটনা প্রসঙ্গে ক্যানিং ষ্টেশনের আরপিএফ সাব ইন্সপেক্টর আর কে সিং জানিয়েছেন “রেল সুরক্ষা বাহিনীর হাতে উদ্ধার হওয়া নিখোঁজ নাবালিকা তার পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়ায় তাঁরা খুশি”।
কর্তব্যরত ক্যানিং আরপিএফ হেড কনষ্টেবল সমরেন্দ্র মন্ডল জানিয়েছেন “রেলসুরক্ষা বাহিনী হিসাবে নিজের কর্তব্য পালন করার চেষ্টা করেছি মাত্র।”
অন্যদিকে বিভিন্ন কর্মদক্ষতা নিয়ে কলকাতা পুলিশের যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে ২৪ ঘন্টার মধ্যে নিখোঁজ নাবালিকা কে উদ্ধার করে তার পরিবারের হাতে তুলে দিতে পারার জন্য খুশি কলকাতা পুলিশের মেটিয়াবুরুজ থানার সাব ইন্সপেক্টর সঞ্জয় কুমার লিম্বু।
0 Comments
Welcome