ডেঙ্গু,ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে ও করোনা ভাইরাস সচেতনে গাছ,সাবান,মাক্স বিতরণ কয়েক হাজার জেলে সম্প্রদায়কে
কাকলি পাল | ক্যানিং |সুন্দরবনের ক্যানিং রেড জোন।দিনের পর দিন ক্যানিং মহকুমা করোনা ভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে।বাড়ছে মৃত্যুরও সংখ্যা।পাশাপাশি থাবা বসিয়ে ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া।বর্ষার সময় বিভিন্ন স্থানে জল জমে মশার উপদ্রব বাড়ে।মশা থেকে ছড়িয়ে পড়ে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া।তাই শুক্রবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনের ক্যানিং-১ ব্লকের মাতলা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজারলাট ও পুরাতন চাঁদনী গ্রামে পঞ্চায়েত সদস্য বিকাশ মজুমদারের উদ্যোগে এবং মিলন সংঘের পরিচালনায় কয়েক হাজার জেলে সম্প্রদায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয় মাক্স, সাবান, গাছ স্বাস্থ্য বিধির নিয়ম কানুন মেনে।পাশাপাশি তাদের সচেতন করে তোলা হয় ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, করোনা ভাইরাস বিষয়ে।এদিন জেলে সম্প্রদায়ের মহিলা শঙ্খ বাজিয়ে,উলুধ্বনি দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কে মাক্স পড়িয়ে পুজো করে যাতে তাড়াতাড়ি করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয় এবং স্বাস্থ্য বিষয়ে মানুষজন সচেতন হয়।ঔষধের উৎস গাছ,গাছই এই সভ্যতাকে বাঁচিয়ে রেখেছে।তাই জেলে সম্প্রদায়ের মহিলারা গাছকে মাক্স পড়িয়ে পুজো দিয়ে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া,করোনা ভাইরাস বিষয়ে সচেতন করে তোলা এলাকার মানুষজনকে।
বিকাশ মজুমদার পঞ্চায়েত সদস্য মাতলা-২ গ্রাম পঞ্চায়েত
এদিন এলাকার বিভিন্ন রাস্তাঘাট,জল নিকাশি,ঝোঁপঝাড় স্থানে স্প্রে করা হয় জীবাণু ধ্বংস করা জন্য।ছড়ানো হয় ব্লিচিং পাউডার।এমনকি সংঘের সদস্যরা পথ চলতি মানুষের মুখে পড়িয়ে দেয়া মাক্স।গাছের গায়ে বাঁধা মাক্স তুলে দেওয়া হয় সাধারণ মানুষ জনকে স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতন করে তুলতে।মাতলা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য বিকাশ মজুমদার বলেন একটি গাছ একটি প্রাণ।ঔষধের উৎস গাছ।এই পৃথিবীর সৃষ্টি কর্তা গাছ।গাছ এই সভ্যতাকে বাঁচিয়ে রেখেছে।তাই গাছকে মাক্স পড়িয়ে পুজো দিয়ে ডেঙ্গু,ম্যালেরিয়া,করোনা ভাইরাস বিষয়ে সচেতন করে তোলা হচ্ছে।কয়েক হাজার জেলে সম্প্রদায়ের মধ্যে মাক্স বাঁধা গাছ,সাবান বিভিন্ন সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।পাশাপাশি রাস্তাঘাট,ড্রেন ঝোঁপঝাড় পরিস্কার করে এবং স্প্রে করে জীবাণু মুক্ত করা হয়।ব,বর্ষাকালে বিভিন্ন স্থানে জল জমে থাকে।সেখানে মশা বাসা বাঁধে।ফলে ডেঙ্গু ম্যালেরিয়া ছড়িয়ে পড়ে।সেই জন্য এই অভিনব উদ্যোগ।
0 Comments
Welcome