ক্যানিং হাসপাতালে চিকিৎসারত দুঃস্থ মায়েদের হাতে পুজোর উপহার তুলে দিলেন হাসপাতাল সুপার
কাকলী পাল|ক্যানিং | নাম ডাঃ অপূর্বলাল সরকার।কাজেও তিনিই অপূর্ব।ডাঃ অপূর্বলাল সরকার,তিনি সুন্দরবনের ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের সুপার।এ বছর আগস্ট মাসে ডাঃ অপূর্বলাল সরকার ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের সুপারের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে বাঙালীর বৃহত্তম উৎসব দুর্গাপূজো। দুর্গাপুজোর মহাষষ্ঠীতে হাসপাতালে চিকিৎসারত প্রায় শতাধিক দুঃস্থ মায়েদের হাতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে পুজো উপহার হিসাবে তুলেদিলেন নতুন শাড়ি।ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের সুপারের এমন অনবদ্য কর্মযঞ্জে তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের সর্পবিশেষঞ্জ চিকিৎসক সমরেন্দ্র নাথ রায় ও শিশু বিশেষঞ্জ চিকিৎসক গৌতম মন্ডল।প্রতিবছরই ডাঃ অপূর্বলাল সরকার পুজোর সময় এমন উপহার দিয়েই থাকেন।এ বছর ও তার ব্যতিক্রম হল না।কর্মসুত্রে যখন যে হাসপাতালে থাকেন তখন সেখানেই এমন কর্মকান্ডে সামিল হন ডাঃ সরকার।বৃহষ্পতিবার মহাষষ্ঠীর দিনে হাসপাতাল সুপারের হাত থেকে পুজোয় নতুন শাড়ি উপহার পেয়ে খুশি ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসারত দুঃস্থ মায়েরা।ডাঃ অপূর্বলাল সরকার এক দিকে যেমন তিনি ক্যানিং হাসপাতালের সুপারের দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করছে,তেমনি নিজেই রোগী দেখছে হাসপাতালের মধ্যে।যাতে চিকিৎসা পরিষেবায় কোন ভাবে বঞ্চিত না হয় অসহায় মানুষগুলি।সুন্দরবনের প্রত্যন্ত গ্রাম গুলি থেকে অসহায় মানুষগুলি ছুটে আসে এই ক্যানিং হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য।এমনকি উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি থেকে সাধারণ মানুষজন এই হাসপাতালে আসে চিকিৎসার জন্য।আর এই সমস্ত অসহায় মানুষগুলি স্বাস্থ্য পরিষেবা দিয়েই চলছে এই হাসপাতালে ডাক্তার,নার্স।
এমনকি করোনা ভাইরাস মহামারীতে অক্রান্ত পরিশ্রম করে চলেছে এই হাসপাতালের করোনা যোদ্ধারা।এই হাসপাতালের মধ্যে চলছে কোভিড-১৯ টেষ্ট।যাতে করোনা রোগীরা সব ধরনের চিকিৎসা পায় তার ও সজাগ দৃষ্টি রেখেছে বিভাগীয় দফতর গুলি।আর যার মূখ্য ভূমিকা পালন করে চলেছে এই হাসপাতালের সুপার ডাঃ অপূর্বলাল সরকার।তিনি এখন সুন্দরবনের মানুষের কাছে ভক্তের ভগবান।ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে সুপার ডাঃ অপূর্বলাল সরকার বলেন হাসপাতালের যে সমস্ত মেয়েরা চিকিৎসারত,তাদের হাতে শারদীয়া বস্ত্র তুলে দেওয়া হল।যাতে অসহায় মায়েদের মুখে একটু হাসি ফোটাতে পারি।আমি সুন্দরবনের রাঙ্গাবেড়িয়া হাইস্কুলে পড়াশুনা করেছি।আমার স্কুলের শিক্ষা গুরু ছিলেন পদ্মশ্রী প্রাপ্ত তুষার কাঞ্জিলাল।তার আর্দশ সামনে রেখে এই প্রয়াস।তিনি আরও বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বার বার আহ্বান জানান অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য।তার এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে বার বার চেষ্টা করি অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য।ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের পর্যাপ্ত পরিমাণে জমি আছে এবং সুন্দর পরিবেশ আছে।তাই এই হাসপাতালটি ক্যানিং মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল করার বিষয়ে বিভাগীয় দফতর গুলিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে তোলার চেষ্টা করবো।
0 Comments
Welcome