সুন্দরবনে ১ হাজার কন্যা শিশুকে গাছের চারা,খাতা,পেন তুলে দিলেন গ্রামের কয়েকজন যুবক
নিজস্ব প্রতিনিধি | ক্যানিং|প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেন সুন্দরবনকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে।ছয় মাসের মধ্যে প্রথমে বুলবুল তারপর ঘূর্ণিঝড় আমফানের তান্ডবে ধ্বংস স্তূপে পরিণত হয় সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ অঞ্চল।তবে একটু একটু করে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে সুন্দরবন রাজ্য সরকারের উদ্যোগে।সুন্দরবনে প্রত্যন্ত গ্রামে গুলিতে এখনও অনেক শিশু আছে যাদের পরণে কোন মতে এক টুকরো বস্ত্র।আমফানে বহু মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।হাজার হাজার মূল্যবান গাছ পড়ে যায়।আর তারমধ্যে ধেয়ে এল বিশ্ব জুড়ে করোনা ভাইরাস মহামারী।মহামারী ফলে টানা লকডাউন দেশ জুড়ে।বহু মানুষ কাজ হারিয়ে ঘরে বসে আছে।দুবেলা দুমুঠো ভাত জোগাড় করতে এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্তে ছুটে চলেছে সুন্দরবনের অসহায় মানুষ গুলি।আর এরই মধ্যে যথাযথ ভাবে পালিত হল আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস।রবিবার সুন্দরবনের ক্যানিং-১ ব্লকের গোপালপুর অঞ্চলে মোল্লা পাড়া গ্রামের বাসিন্দা হাসান মোল্লা,সাবির আলি সেখ,আনজেন মন্ডল,সোরাব মোল্লা,হাবিবুর সেখরা এগিয়ে এসে ১ হাজার কন্যা শিশুর হাতে তুলে দিলেন বিভিন্ন প্রজাতির ফল গাছের চারা,খাতা,কলম সহ পড়াশুনার বিভিন্ন সামগ্রী।
পাশাপাশি গ্রামের ৫০০ অসহায় মহিলাদের হাতে তুলে দেন বস্ত্র,রান্নার বিভিন্ন সামগ্রী।ঘূর্ণিঝড় আমফানের তান্ডবে এই গোপালপুর অঞ্চলের ৯০ শতাংশ মানুষের ক্ষয়ক্ষতি হয়।এমনকি নদীর নোনা জল ঢুকে চাষের জমি এবং মিষ্টি জলের মাছ চাষের ক্ষতি হয়।আর এই সমস্ত ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ালেন গ্রামের এই কয়েকজন যুবক।২০১২ সালে ১১ অক্টোবর প্রথম কন্যা শিশু দিবসটি পালন হয় পৃথিবী জুড়ে নারী পুরুষ বৈষম্য দূর লক্ষ্য।আর এই শিশু কন্যা দিবসে শিশু কন্যাদের হাতে গ্রামের যুবকরা তুলে দিলেন গাছের চার,পড়াশুনার সরঞ্জাম।গ্রামের বাসিন্দা তথা তৃণমূলের বুথ সভাপতি হাসান মোল্লা বলেন আজ আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস।
এক দিকে আমফানের তান্ডব,অপরদিকে করোনা ভাইরাস ও লকডাউনে সুন্দরবনের বহু মানুষ বহু শিশু অসহায়।তাই তাদের পাশে দাঁড়াতে এই উদ্যোগ।আর কন্যা শিশু দিবস ১ হাজার কন্যা শিশুকে বিভিন্ন প্রজাতির ফল গাছের চারা,পড়াশুনা সামগ্রী এবং গ্রামের ৫০০ মহিলাকে বস্ত্র, রান্নার যাবতীয় সরঞ্জাম তুলে দেওয়া হয়।
0 Comments
Welcome