পুলিশের তৎপরতায় ১ঘন্টার মধ্যে উদ্ধার ছিনতাই হওয়া নগদ টাকা ও রুপোর গহণা

 বড়সড় সাফল্য পেলো ঘুটিয়ারী শরীফ ফাঁড়ির পুলিশ,পুলিশের তৎপরতায় ১ঘন্টার মধ্যে উদ্ধার ছিনতাই হওয়া নগদ টাকা ও রুপোর গহণা

নিজস্ব প্রতিনিধি  ,ক্যানিং - বড়সড় সাফল্য পেলো বারুইপুর পুলিশ জেলার জীবনতলা থানার অধিনস্থ ঘুটিয়ারী শরীফ ফাঁড়ির পুলিশ।অভিযোগ পাওয়ার মাত্র এক ঘন্টার মধ্যে প্রতিবন্ধী মহিলার ছিনতাই হওয়া নগদ চার হাজার টাকা,মোবাইল ফোন এবং রুপোর গহণা উদ্ধার করলো ঘুঁটিয়ারী শরীফ ফাঁড়ির পুলিশ। 

জানাগেছে বছর পঁয়ত্রিশের এক প্রতিবন্ধী মহিলা। নাম যশোদা বর্মন।তাঁর বাড়ি দক্ষিণ কলকাতার কালিঘাট থানার ২ নম্বর হিউম রোড এলাকায়। বুধবার রাতে পরিবারের সদস্যদের সাথে বচসা করে চার হাজার টাকা,কিছু রুপোর গহণা ব্যাগের মধ্যে ভরে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন।ঘুরতে ঘুরতে বালিগঞ্জ ষ্টেশনে চলে আসেন।সামনেই পেয়ে যায় রাত ৯ টা ৩৬ মিনিটের ডাউনশিয়ালদহ-ক্যানিং লোকাল।মুহূর্তে ক্যানিং লোকাল ট্রেনে উঠে পড়েন প্রতিবন্ধী মহিলা যশোদা বর্মন।রাত প্রায় সাড়ে ১০ টা নাগাদ ট্রেন টি ঘুটিয়ারী শরীফ স্টেশনে এসে দাঁড়ায়।ট্রেনের প্রায় সমস্ত যাত্রী নেমে যায়। প্রতিবন্ধী মহিলা ভাবেন এটাই হয়তো শেষ ষ্টেশন। তিনিও নেমে পড়েন ট্রেনের কামরা থেকে।রাতের অন্ধকারে কোথায় থাকবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না। অগত্যা এক যুবক প্রতিবন্ধী মহিলাকে থাকার ব্যবস্থা করে দেবেন বলে জানায়।ঘড়ির কাঁটায় রাত তখন প্রায় ১১ টা। প্রতিবন্ধী মহিলাকে নিয়ে অপরিচিত যুবক ঘুটিয়ারীশরীফ ষ্টেশন সংলগ্ন এলাকার একটি হোটেল ঘরে ওঠেন।ইতিমধ্যে হোটেল ঘরের মধ্যে ঢুকে মহিলার কাছ থেকে জোরপূর্বক টাকা,মোবাইল এবং কিছু রুপোর গহণা নিয়ে হোটেল ঘর থেকে চম্পট দেয় অপরিচিত যুবক। সেই মুহূর্তে অসহায় প্রতিবন্ধী মহিলা চিৎকার করে কান্নাকাটি শুরু করে দেয়।খবর যায় ঘুটিয়ারী শরীফ ফাঁড়ির পুলিশের কাছে।ঘটনাস্থলে হাজীর হয় ফাঁড়ির পুলিশ কর্মীরা। পুলিশ কে কাছে পেয়ে প্রতিবন্ধী মহিলা হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলেন।ঘটনার সমস্ত বিবরণ জানায় পুলিশকে।

অভিযোগ পেয়েই নড়েচড়ে বসে ফাঁড়ির পুলিশ। তাঁরা হোটেল থেকে সিসি ক্যামেরা ফুটেজ সংগ্রহ করে খতিয়ে দেখেন।শুরু করে তদন্ত।প্রতিবন্ধী মহিলাকে অতি যত্নে থানার মহিলা পুলিশ কর্মীরা থাকার ব্যবস্থা করে দেয়।তাঁকে থানায় বসিয়েই রাতেই ফাঁড়ির ওসি রিফাজুল মন্ডলের নেতৃত্বে সঞ্জীব সরকার,রিজুজ্জামান হোসেন,দীপক মাহাতো,রবিউল ইসলাম,প্রবীর মুন্সী,জাহাঙ্গীর গাজীর মতো পুলিশ কর্মীদের কে সাথে নিয়ে রাতেই তল্লাশি অভিযানে নামেন।রাতের অন্ধকারে এলাকা জুড়ে শুরু হয় চিরুনী তল্লাশি অভিযান।এক ঘন্টার মধ্যে স্থানীয় নবপল্লী থেকে ধরা পড়ে ছিনতাইবাজ কচি ওরফে সইদুল মন্ডল।ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোন,রুপোর গহণা এবং নগদ চার হাজার টাকা।ফাঁড়ি থেকে খবর দেওয়া হয় প্রতিবন্ধী মহিলার কালিঘাটের বাড়িতে।বৃহষ্পতিবার সকালে যশোদা বর্মনের দাদা ও বৌদি ফাঁড়িতে পৌঁছায়। সেখানে তাঁদের হাতে প্রতিবন্ধী মহিলা ও ছিনতাই হওয়া চার হাজার টাকা,রুপোর গহনা এবং একটি মোবাইল ফোন তুলে দেয় ফাঁড়ির পুলিশ।দম্পতী প্রতিবন্ধী বোন এবং ছিনতাই হওয়ায় সামগ্রী ফেরত পেয়ে ফাঁড়ির পুলিশ কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। কয়েক ঘন্টার মধ্যে ফাঁড়ির পুলিশের এমন উদ্যোগের ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকার সাধারণ মানুষজন ফাঁড়ির পুলিশ কর্মীদের কে অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। 

ঘটনা প্রসঙ্গে ফাঁড়ির ওসি রিফাজুল মন্ডল বলেন “এজন পুলিশ কর্মী হিসাবে যত টুকু সহযোগিতা করার প্রয়োজন সেটা করার চেষ্টা করেছি।