গোসাবায় পালিত হল মরিচঝাঁপি দিবস
ক্যানিং|রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগণার গোসাবা বিধানসভা কেন্দ্রের কুমিরমারি অঞ্চলের মরিচঝাঁপির উল্টো দিকের দ্বীপে রাজ্য বিজেপির উদ্যোগে পালিত হল মরিচঝাঁপি দিবস।এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য এসসি মোর্চার সভাপতি দুলাল বর,সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব সরকার,যুব মোর্চার জেলা সভাপতি রাজু মণ্ডল,সহ সভাপতি শম্পা সেনগুপ্তা,জেলা বিজেপির সহ সভাপতি বসন্ত শেঠিয়া, বিজেপির জেলা সম্পাদক সঞ্জয় কুমার নায়েক,শুভঙ্কর দত্ত মজুদার,অসিত মন্ডল প্রমূখ।উল্লেখ্য ১৯৭৮ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে সর্বস্ব হারানো হিন্দু উদ্বাস্তুরা দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার প্রত্যন্ত সুন্দরবনের গোসাবা ব্লকের মরিচঝাঁপি দ্বীপে আশ্রয় নেয়। প্রায় ত্রিশ হাজার হিন্দু উদ্বাস্তু জঙ্গল পরিষ্কার করে একটি বসতি গড়ে তোলেন।শুরু হয় স্কুল ও হাসপাতাল তৈরীর কাজ। তৎকালীন বামফন্টের মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু’র সরকার ঠিক করেন ওই উদ্বাস্তু মানুষগুলিকে মরিচ ঝাঁপি দ্বীপে থাকতে দেবেন না। পরে ধীরে ধীরে পুলিশ ওই দলিত তপশিলী জাতিভুক্ত দরিদ্র মানুষ গুলোর উপর অমানুষিক অত্যাচার শুরু করে। ২৪ জানুয়ারী ১৯৭৯ পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ প্রত্যন্ত ওই দ্বীপে খাদ্য,পানীয় জল,ওষুধ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়।এরপর ৩১ জানুয়ারী পুলিশ নিয়ে দ্বীপে নামে সিপিএম এর হার্মাদ বাহিনী। জমায়েত লক্ষ্য করে নির্বিচারে ছোঁড়া হয় কাঁদানে গ্যাস।১৯৭৯ সালের ৬ ফেব্রুয়ারী কলকাতা হাইকোর্টে মরিচঝাঁপি গণহত্যা মামলা দাখিল হয়(Civil order No. 371(w) of1979)। পাশবিক হত্যাকান্ডের! এই মর্মান্তিক ঘটনার জন্য বিজেপি যুবমোর্চা ৩১ শে জানুয়ারী মরিচ ঝাঁপি দিবস পালন করে আসছে। চলতি বছর ও তার অন্যথা হয়নি । বিজেপির দক্ষিণ ২৪ পরগনা পূর্ব জেলার যুব মোর্চা সভাপতি রাজু মন্ডলের দাবী আগামী দিনে সরকার কে মরিচ ঝাঁপি কান্ড নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে দোষীদের কে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান করতে হবে।তাছাড়া বিজেপি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ক্ষমতা আসছে এবং সর্ব প্রথম মরিচ ঝাঁপি কান্ডের তদন্ত শুরু হবে।”
0 Comments
Welcome