Welcome To Sundarban TV ||সুন্দরবন টিভিতে আপনাকে স্বাগত || সুন্দরবন টিভি সুন্দরবনের মানুষের জীবন কথা

ফেইসবুক লাইভে আত্মহত্যা বাবা-মা ও ছেলের

 ফেইসবুক লাইভে আত্মহত্যা বাবা-মা ও ছেলের



নুরসেলিম লস্কর : রবিবার সকালে গোটা বাংলা কে কাঁদিয়ে মর্মান্তিক ভাবে পৃথিবী থেকে বিদায় নিল এক পরিবার। ফেইসবুক লাইভ করে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বকখালির ঝাউ বনে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করলেন বাবা-মা ও ছেলে। মৃতদের নাম শ্যামল নস্কর (৫১) বুলা নস্কর (৪৬) ও অভিষেক নস্কর (২৬)। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ডায়মন্ড হারবারের রন্তেশর পুর গ্রামে। 



রবিবার সকালে আত্মঘাতী হওয়ার আগে ফেসবুক লাইভ করে ঐ পরিবার, এই লাইভে অভিষেক নস্কর জানান যে তার দিদির বিরুদ্ধে এক স্বনির্ভর গোষ্ঠীর টাকা তছরূপের অভিযোগ তুলছে গ্রামের মানুষজন কিন্তূ তার দিদি বা তার পরিবার এই ঘটনায় কোন ভাবে যুক্ত নয়। অভিষেক এও বলে যে সত্যিয় যদি তার দিদি বা তারা কেউ অভিযুক্ত হয় তাহলে তাদেরকে পুলিশে দেওয়া হোক। কিন্তূ গ্রামের মানুষ তা না করে তাদের উপর অত্যাচার করছে তাদেরকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে বাড়িতে থাকতে দিচ্ছে না এবং তার দিদি কে বাড়িথেকে তুলে নিয়ে গিয়ে তার হাত পা বেঁধে তার উপর ও শারীরিক অত্যাচার চালানো হচ্ছে। আত্মঘাতী হওয়ার আগে অভিষেক অভিযোগ করে যে তারা স্থানীয় নেতা থেকে শুরু করে থানা, ব্যাংক, এস. পি অফিসে গেলেও তাদের কথা না শুনে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।প্রায় ত্রিশ মিনিটের হারহিম করা ফেইসবুক লাইভে আত্মঘাতী হওয়া অভিষেকের দাবি ছিল যে তারা কেউ এই কেলেঙ্কারি তে অভিযুক্ত নন তাদেরকে ফাঁসানো হচ্ছে বরং এই কেলেঙ্কারিতে গ্রামের কয়েকজন ও ব্যাংক ম্যানেজার জড়িত বলে অভিযোগ করে সে এবং লাইভে সকলের কাছে আবেদন করে যে এই অভিযোগ থেকে তার দিদিকে মুক্তি দেওয়া হোক এবং ঐ গ্রাম থেকে তার দিদি ও দিদির ছোট মেয়ে টি কে উদ্ধার করা হোক।আত্মহত্যা করার সময় তাঁরা মোবাইলের ফেসবুক লাইভ স্ট্রিম অন করে রাখায় ঘটনা জানাজানি হয়। লাইভ ভিডিয়োটিও ভাইরাল হয়। যে ভিডিয়োতে দেখা যায় ফেসবুক লাইভে এসে ওই পরিবারের তিন জন আত্মহত্যা করছেন। এরপরেই স্থানীয় লোকেরা ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। 



পুলিসের তরফ থেকে ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। অবশেষে ফ্রেজারগঞ্জ থানার পুলিস ওই তিন জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে।প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান, এই স্বনির্ভর গোষ্ঠী সংক্রান্ত বিষয়ে মানসিক অবসাদের জেরেই এই আত্মহত্যা। যদিও এই ঘটনার পিছনে আর অন্য কোনও কারণ আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। একইসঙ্গে মৃত তিন ব্যক্তির মোবাইলের কললিস্টও খতিয়ে দেখছে পুলিস। ইতিমধ্যেই মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কাকদ্বীপ পুলিস মর্গে পাঠিয়েছে ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার পুলিস। এই ঘটনায় কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিস।

Post a Comment

0 Comments