Welcome To Sundarban TV ||সুন্দরবন টিভিতে আপনাকে স্বাগত || সুন্দরবন টিভি সুন্দরবনের মানুষের জীবন কথা

রেল দুর্ঘটনায় বাসন্তীর স্বজনহারা দের পাশে রাজ্যপাল!




নুরসেলিম লস্কর, বাসন্তী : গত শুক্রবারে উড়িষ্যার বালেশ্বরে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনায় নিহত বাসন্তীর স্বজনহারা দের পাশে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শুক্রবারের ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনায় প্রত্যন্ত সুন্দরবনের বাসন্তীর ছড়ানিখালি গ্রামের বাসিন্দা তিন ভাই হারান গায়ের, নিশিকান্ত গায়েন,দিবাকার গায়েন সহ উত্তর মোকামবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা বিকাশ হালদার ও সঞ্জয় হালদাররা শুক্রবার করমন্ডল এক্সপেসে চেপে অন্ধ্রপ্রদেশে ধান রোয়ার কাজে যাওয়ার সময় নিহত হন। আর এই ঘটনার পর স্বজন হারানো পরিবার গুলির পাশাপাশি সমগ্র গ্রাম শোকস্তব্ধ হয়ে পড়ে।

    

আর মঙ্গলবার সাঁঝ  সকালে বাসন্তীর এই পাঁচ স্বজনহারা পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এদিন তিনি সকাল সাতরা নাগাত রাজভবন থেকে বের হন বাসন্তীর ছড়ানিখালী গ্রামের উদ্দেশ্যে। এরপর তিনি সকাল দশটা নাগাদ পৌঁচ্ছায় সুভদ্রা গায়েনের বাড়িতে। যিনি এই মর্মান্তিক রেল দুর্ঘটনায় ওনার তিন পুত্র কে হারিয়েছেন। রাজ্যপাল কে কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন সুভদ্রা দেবী ও তার সমগ্র পরিবার। তারপর রাজ্যপাল শোকগ্রস্ত পরিবারের গুলির সাথে কথা বলে তাদের অভাব অভিযোগের কথা শুনলেন। সুভদ্রা দেবীর পরিবারের পাশাপাশি রাজ্যপালের এদিন অন্য আরো দুই নিহত পরিবারের সঙ্গেও দেখা করলেন। সেই সঙ্গে বাসন্তীর এই স্বজনহারা পরিবার গুলিকে সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি আপাতত নিহত পরিবারদের পাশে দাঁড়াতে রাজ্যপাল ওই নিহত পরিবারদের এককালীন ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা করলেন এবং আগামী ৬ মাস ভরণপোষণার জন্য তাদের ব্যাংক একাউন্টে ২০০০ টাকা করে দেওয়ার কথাও জানালেন। সেই সঙ্গে সমস্ত গ্রামবাসীকে সঙ্গে নিয়ে  নিহতদের পরলৌকিক শ্রাদ্ধা অনুষ্ঠানের সমস্ত খরচও বহন করবে রাজভবন। এবং আগামীকালের মধ্যে ওই স্বজন হারা পরিবার গুলির জন্য ফল, জামাকাপড় ও অন্যান্য সাংসারিক জিনিসপত্র বাসন্তীর বিডিওর মাধ্যমে দ্রুত সেগুলি পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল।

     আর বাসন্তীর মানুষ রাজ্যপাল কে এদিন কাছে পেয়ে স্বজনহারা পরিবারদের পাশাপাশি তারাও পানীয় জল থেকে শুরু করে বেহাল নদী বাঁধ সহ স্থানীয় এলাকায় কর্মসংস্থানের অভাব সহ বেশ কিছু অভাব- অভিযোগের কথা তুলে ধরেন তারা। আর স্থানীয় মানুষের এই অভাব অভিযোগের কথা শুনে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস স্থানীয় বিডিও কে নির্দেশ দেন। ঐ এলাকায় যাদের জনধন যোজনার ব্যাংক একাউন্ট আছে সেই সমস্ত পরিবার গুলির একাউন্টে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়ার। সেই সঙ্গে DM কে ওই এলাকা পর্যবেক্ষণ করে কি কি সমস্যা রয়েছে? তার সম্পূর্ণ রিপোর্ট রাজভবনে জমা করার নির্দেশও দেন তিনি। এরপর পুনরায় কলকাতায় ফিরে যান রাজ্যপাল।

Post a Comment

0 Comments