ভাঙা ঘরের চাঁদেরহাট।
অনুপ বিশ্বাস (ক্যানিং) ক্যানিং থানার পুরাতন চাঁদনীর বিদ্যালাল ভকত পেশায় একজন ঔষধ দোকানের কর্মচারী।সামান্য বেতনে কাজ করেন।তার দুই মেয়ে এক ছেলে, স্ত্রী সুমিত্রা ভকত একজন গৃহবধু।বড়মেয়ের বিয়ে হয়ে যায় আজ থেকে একবছর আগে আর এক ছেলে এক মেয়ে এবারে মাধ্যমিক পরিক্ষা দিয়ে ছিল ক্যানিং ডেভিড সেশুন হাই স্কুল ও ক্যানিং দ্বারিকানাথ বালিকা বিদ্যালয় থেকে দুই ভাই বোন এবারে মাধ্যমিক পরিক্ষায় পাশ করে।তাদের মধ্যে সৌরভ ভকত ৮৪% নম্বর পেয়েছে তার মধ্যে জীবন বিঞ্জানে-৮৫, ভৌত বিঞ্জানে-৯২, অংক-৯৩,ইতিহাসে-৮৪,ভুগোলে-৮৭,বাংলায়-৭৫ ও ইংরাজি তে-৭২ নম্বর পেয়ে তাক লাগিয়ে দিল পরিবারে।
টিউশন দেবার মত ক্ষমতা নেই পরিবারের একটা মাত্র টিউশন মাস্টার দিয়ে তাকে পড়ানো হত।বাবা বিদ্যালাল ভকতের আক্ষেপ অর্থ নৈতিক আবস্থা ভালো থাকলে ছেলে সৌরভ ও মেয়ে সুপ্রিয়া ভকত হয়ত আরো ভালো রেজাল্ট করতো।ঘর বাড়ী ভাংগাচুরা ছিল গত বছরে রাজ্য সরকারের পক্ষোথেকে থাকার জন্য একটি ঘর করে দেন।
ছেলে সৌরভের ইচ্ছা বিঞ্জান নিয়ে পরাশুনা করে চিকিৎসক হওয়ার যাতে গ্রামে গিয়ে গরিব মানুষদের চিকিৎসা করা জানি না সেই ইচ্ছা পুরণ হবে কি না।বাবা যা আয় করেন সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন তার পর চিকিৎসক? যদি মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী আমাদের পড়া শুনার জন্য একটু সহযোগিতা করেন তাহলে হয়তো ইচ্ছা পুরণ হবে।