বৌদির মুন্ডু কেটে ধারালো অস্ত্র সহ হাঁটতে হাঁটতে সোজা থানায় হাজীর দেওর!

বৌদির মুন্ডু কেটে ধারালো অস্ত্র সহ হাঁটতে হাঁটতে সোজা থানায় হাজীর দেওর!


সুভাষ চন্দ্র দাশ,বাসন্তী -নিজের বৌদির কাটা মুন্ডু ও ধারলো অস্ত্র নিয়ে সাত সকালে বাসন্তী হাইওয়ে দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে সোজা থানায় হাজীর যুবক। এমন হাড়হীম করা দৃশ্য দেখে হতবাক সাধারণ মানুষজন ভয় আতঙ্কিত।মৃতের নাম সখী মন্ডল(৫৮)।শনিবার এমন হাড়হীম করা মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে ভরতগড় পঞ্চায়েতের ৬ ভরতগড় গ্রামে। 
দেখুন সেই হাড় হিম করা ঘটনার ভিডিও 

পুলিশ অভিযূক্ত কে ধারালো অস্ত্র সহ গ্রেফতার করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। 
স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, ৬ নম্বর ভরতগড় পঞ্চায়েতের বাসিন্দা গীরেন মন্ডল। তাঁর স্ত্রী সখী মন্ডল। গত প্রায় মাস পাঁচেক আগে সখী মন্ডলের সাথে বচসা করে করে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করে। দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ে। ছেলে ও মেয়ে বিবাহিত।গীরেন মন্ডল এর মৃত্যুর পর সম্পত্তি নিয়ে বচসা শুরু হয় দেওর বিমল মন্ডলের সাথে।এমনটাই চলছিল।শনিবার সকালে আম কুড়াতে গিয়েছিলেন সখী মন্ডল। সেই নিয়ে বচসা শুরু হয় দেওর-বৌদি’র। আচমকা দেওর ঘর থেকে ধারালো দা বের করে বৌদিকে কেটে ফেলে। দেহ থেকে মুন্ডু আলদা করে।অন্যদিকে প্রতিবেশীরা এমন হাড়হীম করা দৃশ্য দেখে ভয়ে কেউ উদ্ধার করতে সাহস দেখায় নি। এদিকে বৌদির কাটা মুন্ডুর চুলের মুঠি ধরে এক হাতে আর অন্যহাতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে বাসন্তী হাইওয়ে দিয়ে হাঁটতে শুরু করে বিমল। উদ্দেশ্য থানায় আত্মসমর্পণ করা।সাত সকালে রাস্তায় এমন হাড়হীম করা দৃশ্য দেখে হতবাক সাধারণ মানুষজন।পথচলিত মানুষজন কেউ কেউ এমন দৃশ্য মোবাইল বন্দি করেন। তবে সামনে যেতে কেউই সাহস দেখায়নি। অন্যদিকে খবর পৌঁছায় বাসন্তী থানায়।বিশাল পুলিশ বাহিনী তড়িঘড়ি রওনা দেয় ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্য।মাঝপথে দেখতে পায় বিমলের হাতে ধারালো অস্ত্র আর কাটা মুন্ডু। পুলিশও ভয়ে এগোতে সাহস পায়নি। দূর থেকে বিমল কে নির্দেশ দেয় অস্ত্র মাটিতে ফেলে হাত উঁচু করার জন্য। অস্ত্র মাটিতে ফেলে কাটা মুন্ডু নিয়ে আত্মসমর্পণের জন্য পুলিশের গাড়িতে ওঠে অভিযুক্ত। পুলিশ ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে গ্রেফতার করে। পরক্ষণে ঘটনাস্থল থেকে বধুর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এমন ঘটনায় সমগ্র ক্যানিং মহকুমা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে হাজীর হয় ক্যানিং মহকুমা পুলিশ আধিকারী রাম কুমার মন্ডল, বাসন্তী থানার আইসি অভিজিত পাল সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী।মৃতদেহ ময়না তদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ঘটনা প্রসঙ্গে মৃত বধুর ছেলে সৌম্যদীপ মন্ডল জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন যাবত সম্পত্তি নিয়ে কাকা বিমল মন্ডল অশান্তি করছিল। উদ্দেশ্য ছিল সমস্ত সম্পত্তি দখল করার। মা প্রতিবাদ করেছিলেন। এদিন মা আম পাড়তে গিয়েছিল।কাকা বচসা বাধায়। পরে নৃশংস ভাবে খুন করে। নৃশংস ভাবে মা কে যেমন খুন করেছে তাতে করে কাকার যেন ফাঁসি হয়। ’

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন