সুন্দরবনে ইলিশ মাছের পর এবার সোদা মাটির নোনা জলের ট্যাংরা মাছ কৃত্রিম প্রজননে গবেষণা সাফল্য পেল মৎস্য বিঞ্জানীরা, চাষ হবে পুকুরের মিষ্টি জলে
সুন্দরবনে এর আগে পুকুরের মিষ্টি জলে চাষ হওয়া ইলিশ মাছ।
বিশ্বজিৎ পাল।কাকদ্বীপ।পুকুরের মিষ্টি জলে ইলিশ মাছ চাষের পর এবার সুন্দরবনের সোদা মাটির নোনা জলের নোনা ট্যাংরার কৃত্রিম প্রজনন চারা উৎপাদন ও পুকুরে চাষ পদ্ধতি উদ্ভাবনের গবেষণায় সাফল্য পেলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ গবেষনা কেন্দ্রের ভারতীয় নোনাজল জীব পালন অনুসন্ধান সংস্থার মৎস্য বিজ্ঞানীরা। দীর্ঘ ৩ বছর গবেষণার পর মিলেছে এই সফলতা।নোনা জল জীব পালন অনুসন্ধান সংস্থার কাকদ্বীপ গবেষণা কেন্দ্রর হ্যাচারি উৎপাদিত চারার মাধ্যমে প্রথম এই চাষের সফল প্রদর্শন করেছে।
গবেষণার সময় বিজ্ঞানীরা এই চাষ শুরু করেন, ৩৫ দিন বয়সী হ্যাচারিতে তৈরি চারাকে ১০ পিস/ বর্গমিটার হারে পুকুরে মজুতের মাধ্যমে। তারপর চারাগুলিকে কাকদ্বীপ গবেষণা কেন্দ্র দ্বারা উদ্ভাবিত দানা খাদ্য খাওয়ানো হয়। ৬ মাসের চাষে এই মাছ ৭০ থেকে ৮০ গ্রাম ওজন বৃদ্ধি পায়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে নোনা ট্যাংরা প্রতি হেক্টরে ১.৫- ২ টন উৎপাদন সম্ভব। প্রতি কেজি মাছের উৎপাদন খরচ মাত্র ৮০-৯০ টাকা। কিন্তু বাজারে বিক্রয় মূল্য ২৫০-৩৫০ টাকা পর্যন্ত ।ফলে নোনা ট্যাংরা চাষ যথেষ্টই লাভজনক মৎস্য চাষীদের।হেক্টর প্রতি এই ট্যারা মাছ চাষ করে ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবে মৎস্য চাষীরা এমনি মত মৎস্য বিঞ্জানীদের।সুন্দরবনের নোনা জলের এই ট্যারা মাছ দিনের পর দিন ক্রমশই হ্রাস পাচ্ছে।ফলে অভ্যন্তরীণ বাজারে এর সরবরাহ কমে যাওয়ায় বাজার মূল্যও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।যার জন্য কাকদ্বীপ মৎস্য গবেষণা কেন্দ্র প্রকৃতিতে এই মাছের সংরক্ষন ও ভবিষ্যৎ সরবরাহ বৃদ্ধির জন্য গবেষণা শুরু করে।আর এই গবেষণায় যুক্ত ছিলেন পি আই বি এ প্রধান বিজ্ঞানী দেবাশীস দে, ড: প্রেম কুমার, ড: গৌরাঙ্গ বিশ্বাস, ড: তাপস কুমার ঘোষাল ও ড: এম কৈলাসম প্রমুখ বিজ্ঞানীগণ। বিজ্ঞানীদের দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর বড় ধরনের সাফল্য এল এই গবেষণা।ফলে সুন্দরবনের সোদা মাটির নোনা জলের সভ্যতায় ইলিশের পর এবার নোনা ট্যাংরা মাছ মিশ্র প্রক্রিয়া চাষ হবে পুকুরের মিষ্টি জলে।এদিকে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই খুশির জোয়ার সুন্দরবনের মৎস্য চাষীদের মধ্যে।তাই গবেষণায় সফল হওয়ার পর এবার প্রান্তিক মৎস্য চাষীদের মধ্যে নোনা ট্যাংরা চারা উৎপাদন ও চাষ পদ্ধতি জনপ্রিয় করার উদ্যোগ নিল কাকদ্বীপ মৎস্য গবেষণা কেন্দ্র। নোনা ট্যাংরার কৃত্রিম প্রজনন, চারা উৎপাদন ও পুকুরে চাষ পদ্ধতি উদ্ভাবন বিষয়ে ৬ দিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করে কাকদ্বীপ বুদ্ধপুর গ্রামে কাকদ্বীপ মৎস্য গবেষণা কেন্দ্রে। প্রশিক্ষণে চলবে ২-৭ জুলাই পর্যন্ত।প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন রাজ্যের ৩টি জেলার উপকূলীয় অঞ্চলের মৎস্যজীবীরা।এবিষয়ে পি আই বি এ প্রধান বিজ্ঞানী দেবাশিস দে বলেন এই চাষের জন্য বাড়ি সংলগ্ন ৫- ১০ কাঠার ছোট পুকুরই উপযুক্ত। খুব কম খরচে এই চাষ খুবই লাভজনক। উপকূলীয় অঞ্চলের বিভিন্ন মাছের মধ্যে নোনা ট্যাংরা একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দেশীয় প্রজাতি। পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের কর্মসংস্থান ও পুষ্টিগত নির্ভরশীলতা নিশ্চিত করতে এই মাছ চাষ বড় ভূমিকা গ্রহণ করবে।তিনি আরও বলেন পলিক প্লাস তৈরী করা হয়েছে।যা কম খরচে বানিজ্যিক ভাবে লাভবান হবে মৎস্য চাষীরা।হেক্টর প্রতি ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবে মৎস্য চাষীরা।আর চাষের পদ্ধতি যাতে সুন্দরবনের ক্যানিং-১ ও ২,বাসন্তী, গোসাবা, কুলতলি,মথুরাপুর প্রমুখ ব্লকগুলিতে মৎস্র চাষীদের মধ্যে পৌঁছে দেওয়া যায় সে বিষয়ে বিভাগীয় দফতরে জানানো হচ্ছে।এমনকি এই জেলায় যে সমস্ত খাল সংস্কার হয়েছে সেই খালেও এই মিশ্র প্রক্রিয়া মাছ চাষ করে লাভবান হতে পারে বেনিফিসারিগন।
পুকুরের মিষ্টি জলে চাষ হওয়া নোনা ট্যাংরা।ছবি
গবেষণার সময় বিজ্ঞানীরা এই চাষ শুরু করেন, ৩৫ দিন বয়সী হ্যাচারিতে তৈরি চারাকে ১০ পিস/ বর্গমিটার হারে পুকুরে মজুতের মাধ্যমে। তারপর চারাগুলিকে কাকদ্বীপ গবেষণা কেন্দ্র দ্বারা উদ্ভাবিত দানা খাদ্য খাওয়ানো হয়। ৬ মাসের চাষে এই মাছ ৭০ থেকে ৮০ গ্রাম ওজন বৃদ্ধি পায়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে নোনা ট্যাংরা প্রতি হেক্টরে ১.৫- ২ টন উৎপাদন সম্ভব। প্রতি কেজি মাছের উৎপাদন খরচ মাত্র ৮০-৯০ টাকা। কিন্তু বাজারে বিক্রয় মূল্য ২৫০-৩৫০ টাকা পর্যন্ত ।ফলে নোনা ট্যাংরা চাষ যথেষ্টই লাভজনক মৎস্য চাষীদের।হেক্টর প্রতি এই ট্যারা মাছ চাষ করে ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবে মৎস্য চাষীরা এমনি মত মৎস্য বিঞ্জানীদের।সুন্দরবনের নোনা জলের এই ট্যারা মাছ দিনের পর দিন ক্রমশই হ্রাস পাচ্ছে।ফলে অভ্যন্তরীণ বাজারে এর সরবরাহ কমে যাওয়ায় বাজার মূল্যও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।যার জন্য কাকদ্বীপ মৎস্য গবেষণা কেন্দ্র প্রকৃতিতে এই মাছের সংরক্ষন ও ভবিষ্যৎ সরবরাহ বৃদ্ধির জন্য গবেষণা শুরু করে।আর এই গবেষণায় যুক্ত ছিলেন পি আই বি এ প্রধান বিজ্ঞানী দেবাশীস দে, ড: প্রেম কুমার, ড: গৌরাঙ্গ বিশ্বাস, ড: তাপস কুমার ঘোষাল ও ড: এম কৈলাসম প্রমুখ বিজ্ঞানীগণ। বিজ্ঞানীদের দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর বড় ধরনের সাফল্য এল এই গবেষণা।ফলে সুন্দরবনের সোদা মাটির নোনা জলের সভ্যতায় ইলিশের পর এবার নোনা ট্যাংরা মাছ মিশ্র প্রক্রিয়া চাষ হবে পুকুরের মিষ্টি জলে।এদিকে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই খুশির জোয়ার সুন্দরবনের মৎস্য চাষীদের মধ্যে।তাই গবেষণায় সফল হওয়ার পর এবার প্রান্তিক মৎস্য চাষীদের মধ্যে নোনা ট্যাংরা চারা উৎপাদন ও চাষ পদ্ধতি জনপ্রিয় করার উদ্যোগ নিল কাকদ্বীপ মৎস্য গবেষণা কেন্দ্র। নোনা ট্যাংরার কৃত্রিম প্রজনন, চারা উৎপাদন ও পুকুরে চাষ পদ্ধতি উদ্ভাবন বিষয়ে ৬ দিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করে কাকদ্বীপ বুদ্ধপুর গ্রামে কাকদ্বীপ মৎস্য গবেষণা কেন্দ্রে। প্রশিক্ষণে চলবে ২-৭ জুলাই পর্যন্ত।প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন রাজ্যের ৩টি জেলার উপকূলীয় অঞ্চলের মৎস্যজীবীরা।এবিষয়ে পি আই বি এ প্রধান বিজ্ঞানী দেবাশিস দে বলেন এই চাষের জন্য বাড়ি সংলগ্ন ৫- ১০ কাঠার ছোট পুকুরই উপযুক্ত। খুব কম খরচে এই চাষ খুবই লাভজনক। উপকূলীয় অঞ্চলের বিভিন্ন মাছের মধ্যে নোনা ট্যাংরা একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দেশীয় প্রজাতি। পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের কর্মসংস্থান ও পুষ্টিগত নির্ভরশীলতা নিশ্চিত করতে এই মাছ চাষ বড় ভূমিকা গ্রহণ করবে।তিনি আরও বলেন পলিক প্লাস তৈরী করা হয়েছে।যা কম খরচে বানিজ্যিক ভাবে লাভবান হবে মৎস্য চাষীরা।হেক্টর প্রতি ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবে মৎস্য চাষীরা।আর চাষের পদ্ধতি যাতে সুন্দরবনের ক্যানিং-১ ও ২,বাসন্তী, গোসাবা, কুলতলি,মথুরাপুর প্রমুখ ব্লকগুলিতে মৎস্র চাষীদের মধ্যে পৌঁছে দেওয়া যায় সে বিষয়ে বিভাগীয় দফতরে জানানো হচ্ছে।এমনকি এই জেলায় যে সমস্ত খাল সংস্কার হয়েছে সেই খালেও এই মিশ্র প্রক্রিয়া মাছ চাষ করে লাভবান হতে পারে বেনিফিসারিগন।