সুন্দরবন TV
ক্যানিং এ কেরলের মডেলের নারকেল বাগানে আগুন ক্ষতিগ্রস্ত বহু নারকেল গাছ
নিজস্ব প্রতিনিধি|ক্যানিং|রবিবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনের ক্যানিং-১ ব্লকের ক্যানিং এস ডি ও রোডের মাতলা নদীর পাড়ে হঠাৎই ভ্যাটে আগুন লেগে গেলে সেই আগুন ছড়িয়ে কেরলের মডেলের নারকেল বাগানের বেষ্টনী ও বহু নারকেল গাছের চারা পুড়ে ছাই হয়ে গেল।২০১৮ সালের জুলাই মাস থেকে মাতলা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের জব কার্ডের বেনিফিসারা প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার্থে এবং ক্যানিং মাতলা নদীর সৌন্দর্য্যে বৃক্ষ রোপনের কাজ শুরু করে।উল্লেখ্য ক্যানিং মাতলা নদীর পাড়ে মহত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীন কর্ম নিশ্চয়তা প্রকল্পের ১০০ দিনের কাজে জব কার্ডের মহিলা বেনিফিসারিরা কেরলের মডেলে নারকেল গাছের চারা রোপনের পাশাপাশি ম্যানগ্রোভ গাছের চারা রোপনের কাজ শুরু করে। ক্যানিং পুরাতন নৌকাঘাট রোডের এবং ক্যানিং এস ডি ও রোডের ক্যানিং মাতলা নদীর ভূমি ক্ষয় রোধে এবং প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার্থে ও সুন্দরবনের পযটকদের আর্কষন বাড়তে এই অভিনব উদ্যোগ।
ক্যানিং পুরাতন নৌকাঘাট রোড থেকে মাতলা ব্রীজ পর্যন্ত এবং ক্যানিং মাতলা নদীর পাড়ে কেরলের মডেলে নারকেল গাছের চারা রোপন করে শুধু বাংলা নয় দেশের মধ্যে এক নজির গড়েছে প্রায় ১৩ ঘন্টা কাজের শ্রম দিয়ে এই সমস্ত জব কার্ডের বেনিফিসারিরা।প্রায় ৩৫২০ টি বৃক্ষ রোপন করে ফেলেছে খুবই অল্প সময়ের মধ্যে।চারা গাছগুলি যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তার জন্য জব কার্ডের বেনিফিসারিরা চারিদিকে বাগানের পরিবেষ্ঠনী দিয়েছে বাঁশের খুঁটি, চটা এবং নেট জাল দিয়ে।তবে জব কার্ডের বেনিফিসারিরা ২ হাজার নিম গাছের চারা, ৫০০ টি নারকেল গাছের চারা, বিভিন্ন প্রজাতির ৪০০ টি ফল গাছের চারা, ২০০ টি করমচা গাছের চারা, ১৫০ টি জবা ফুল গাছের চারা, ২৫০ টি সুপারি গাছের চারা সহ মেহগনি, শিশু,কলা গাছের চারা রোপন করে।বর্তমানে জব কার্ডের বেনিফিসারিরা ইতিমধ্যে ১০০ টি সুন্দরী গাছের চারা, ৫০ টি কাঁকড়া, ৫০ টি বাইন সহ গোলপাতা গাছের চারা রোপন করেছে এবং দেখভাল করছে।
এ দিকে বেশ কিছু অসাধু জবরদখলকারী চক্রান্ত করে গাছগুলিকে ধ্বংস করে অবৈধ দোকানপাট বসানোর চেষ্টা করছে কোটি কোটি টাকা মুনাফার উদ্দেশ্যে। আগুন নেভানোর জন্য কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি মাতলা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত।ফলে ক্ষুব্দ এলাকাবাসী।আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত্র হল সরকারি সম্পত্তি।জব কাডের বেনিফিসারিরা বালতি করে জল দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে।এ দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ক্যানিং-১ বিডিও নিলাদ্রি শেখর দে।তিনি বলেন কিভাবে আগুন লাগল সে বিষয়ে পূর্ণ তদন্ত করে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এই ঘটনায় ক্ষিপ্ত ক্যানিংবাসী থেকে শুরু করে বৃক্ষ প্রেমিকরা।গ্রামবাসীরা ক্ষোভের সঙ্গে অভিযোগ করে বলেন ক্যানিং মাতলা নদীর চড়ে অপরিকল্পিত ভাবে তৈরি করা হয়েছে ভ্যাট।এখানে ফেলা হচ্ছে ক্যানিংয়ের সমস্ত ময়লা আর্বজনা।আর সেই ময়লা আর্বজনা তা চলে যাচ্ছে নদীতে।বিশেষ করে প্লাস্টিক,থার্মোকল।তারা আরও বলেন অবিলম্বে ভ্যাট পাকা ভাবে এবং বিজ্ঞানভিত্তিক তৈরি করতে হবে।নাহলে আগামী দিনে ক্যানিংবাসী এ বিষয়ে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে।জেলা পরিষদের বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ শৈবাল লাহিড়ী বলেন কারা এই ভাবে আগুন লাগালো এ বিষয়ে বিভাগীয় দফতরে বলা হয়েছে পূর্ণ তদন্ত করে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।ভ্যাটটি বিজ্ঞানভিত্তিক ভাবে পাকা করার বিষয়ে বিভাগীয় দফতরে বলা হবে।
ক্যানিং এ কেরলের মডেলের নারকেল বাগানে আগুন ক্ষতিগ্রস্ত বহু নারকেল গাছ
নিজস্ব প্রতিনিধি|ক্যানিং|রবিবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনের ক্যানিং-১ ব্লকের ক্যানিং এস ডি ও রোডের মাতলা নদীর পাড়ে হঠাৎই ভ্যাটে আগুন লেগে গেলে সেই আগুন ছড়িয়ে কেরলের মডেলের নারকেল বাগানের বেষ্টনী ও বহু নারকেল গাছের চারা পুড়ে ছাই হয়ে গেল।২০১৮ সালের জুলাই মাস থেকে মাতলা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের জব কার্ডের বেনিফিসারা প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার্থে এবং ক্যানিং মাতলা নদীর সৌন্দর্য্যে বৃক্ষ রোপনের কাজ শুরু করে।উল্লেখ্য ক্যানিং মাতলা নদীর পাড়ে মহত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীন কর্ম নিশ্চয়তা প্রকল্পের ১০০ দিনের কাজে জব কার্ডের মহিলা বেনিফিসারিরা কেরলের মডেলে নারকেল গাছের চারা রোপনের পাশাপাশি ম্যানগ্রোভ গাছের চারা রোপনের কাজ শুরু করে। ক্যানিং পুরাতন নৌকাঘাট রোডের এবং ক্যানিং এস ডি ও রোডের ক্যানিং মাতলা নদীর ভূমি ক্ষয় রোধে এবং প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার্থে ও সুন্দরবনের পযটকদের আর্কষন বাড়তে এই অভিনব উদ্যোগ।
এ দিকে বেশ কিছু অসাধু জবরদখলকারী চক্রান্ত করে গাছগুলিকে ধ্বংস করে অবৈধ দোকানপাট বসানোর চেষ্টা করছে কোটি কোটি টাকা মুনাফার উদ্দেশ্যে। আগুন নেভানোর জন্য কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি মাতলা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত।ফলে ক্ষুব্দ এলাকাবাসী।আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত্র হল সরকারি সম্পত্তি।জব কাডের বেনিফিসারিরা বালতি করে জল দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে।এ দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ক্যানিং-১ বিডিও নিলাদ্রি শেখর দে।তিনি বলেন কিভাবে আগুন লাগল সে বিষয়ে পূর্ণ তদন্ত করে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এই ঘটনায় ক্ষিপ্ত ক্যানিংবাসী থেকে শুরু করে বৃক্ষ প্রেমিকরা।গ্রামবাসীরা ক্ষোভের সঙ্গে অভিযোগ করে বলেন ক্যানিং মাতলা নদীর চড়ে অপরিকল্পিত ভাবে তৈরি করা হয়েছে ভ্যাট।এখানে ফেলা হচ্ছে ক্যানিংয়ের সমস্ত ময়লা আর্বজনা।আর সেই ময়লা আর্বজনা তা চলে যাচ্ছে নদীতে।বিশেষ করে প্লাস্টিক,থার্মোকল।তারা আরও বলেন অবিলম্বে ভ্যাট পাকা ভাবে এবং বিজ্ঞানভিত্তিক তৈরি করতে হবে।নাহলে আগামী দিনে ক্যানিংবাসী এ বিষয়ে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে।জেলা পরিষদের বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ শৈবাল লাহিড়ী বলেন কারা এই ভাবে আগুন লাগালো এ বিষয়ে বিভাগীয় দফতরে বলা হয়েছে পূর্ণ তদন্ত করে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।ভ্যাটটি বিজ্ঞানভিত্তিক ভাবে পাকা করার বিষয়ে বিভাগীয় দফতরে বলা হবে।