বাসন্তীতে বীজ উৎপাদন গ্রাম গড়তে এগিয়ে এলো শস্য শ্যমলা কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র

সুন্দরবন TV


বাসন্তীতে বীজ উৎপাদন গ্রাম  গড়তে এগিয়ে এলো শস্য শ্যমলা কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র

নিজস্ব প্রতিনিধি | বাসন্তী |দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার বাসন্তী ব্লকের কৃষকরা আগের থেকে কৃষি কাজে অনেক এগিয়ে এসেছে। বৃদ্ধি পেয়েছে কৃষিজাত ফসলের। কিন্তু যে পরিমাণে খরচ ও পরিশ্রম হয় সেই অর্থে লাভের মুখ কম দেখতে পান কৃষকরা। বেছে নিচ্ছে বিকল্প চাষের পদ্ধতি। অনেক পরিবার চাষযোগ্য জমি কে জলাশয় বানিয়ে মাছ চাষ করছেন বেশি লাভের আশায়। কিন্তু দেখা যায় যে সঠিক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করতে না পারায় ক্ষতির শিকার হয়ে পড়ছেন।

 
 শস্য শ্যমলা কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বাসন্তী ব্লকের কয়েকটি গ্রামকে বেছে নিয়েছেন। তারা গ্রামের কৃষকদের কে এই পরামর্শ দিচ্ছেন যে সাধারণ ফসল চাষের তুলনায় বীজ উৎপাদনকারী ফসল চাষ করলে কৃষকরা ফসলের মূল্য প্রায় তিন গুণ বেশি পাবে। কারণ বীজের দাম ফসলের থেকে অনেক বেশি দামে বাজারে বিক্রি হয়। ১৩ মার্চ ছোট দ্বীনদার ঘেরী ভিলেজ ডেভলপমেন্ট কমিটির আয়োজনে  ছয় নম্বর বাঘের ঘেরী রবীন্দ্রনাথ শিশু শিক্ষা কেন্দ্র গ্রামের কৃষকদের নিয়ে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করেন। এই আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন মাটি বিশেষজ্ঞ ডক্টর মনিদীপ্ত সাহা, বীজ উৎপাদক বিশেষজ্ঞ ডক্টর রাম বাবু রহমান, শিক্ষক তপন মাইতি, প্রশান্ত ডিংগাল - ওয়ার্ল্ড ভিশন ইন্ডিয়া।

এ দিনের আলোচনা সভায় কৃষকদেরকে জানানো হয় কোন পদ্ধতিতে চাষ করলে বীজ উৎপাদক ফসল চাষ করতে পারবেন।  সেই বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়। সেই সাথে কিভাবে মাটি পরীক্ষা করতে পারবেন সরকারি সাহায্যে সেই পরামর্শ ও দেওয়া হয়।এছাড়াও কৃষিকাজে জৈব সারের ব্যবহার বাড়াতে বেশি করে জোর দিতে বলা হয়েছে কৃষকদের। জৈব সার ব্যবহার করলে চাষের খরচ অনেক কম হবে সেই সাথে ফসলের গুণগত মান অনেক বাড়বে। শস্য-শ্যামলা কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের প্রচেষ্টায় আগামী দিনে বাসন্তী ব্লকের প্রতিটি কৃষক যেন এগিয়ে আসে বীজ উৎপাদন ফসলের চাষে। তাহলে কৃষকরা কম খরচে বেশি লাভের আশা দেখতে পারবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন