সবুজের বার্তা পৌঁছে দিতে সাইকেল চেপে বাংলাদেশ

 

প্রশান্ত সরকার, প্রতিনিয়ত বিপর্যয় ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটে চলেছে। অস্থির হয়ে পড়ছেন পৃথিবীর সমস্ত জীবকুল।  পাহাড় থেকে সাগর সর্বত্র প্রতিমুহূর্তে ঘটে চলেছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। কোথাও বন্যা,   কোথাও দাবানল, কোথাও পাহাড়ে ধস, কোথাও আবার ভূমিকম্প, বিভিন্নভাবে ক্ষতি হচ্ছে সাজানো পৃথিবী। কারণ দিনের পর দিন পরিবেশের উপর বেড়ে চলেছে অগত্য অবিচার। যেভাবে মানুষ প্রকৃতিকে ধ্বংস করে সভ্য সমাজে নিজেদেরকে জগতের সেরা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে চলেছে আর একদিকে ধ্বংস করে চলেছে প্রকৃতির সম্পদকে। বড় বড় বিল্ডিং তৈরি করে নিজেদেরকে আধুনিক যুগের মানুষ হিসেবে পরিচিতি ঘটাচ্ছে, আর একদিকে হারিয়ে ফেলেছেন সবুজের কনা। মানুষ এতটাই সভ্য হয়ে গেছে যে সকালে আর পাখির আওয়াজে ঘুম ভাঙ্গে না মোবাইলে এলাম বাজিয়ে রাখতে হয় ঘুম ভাঙানোর জন্য। কংক্রিটের স্তুপে পরিণত হয়েছে গোটা শহর। 

কংক্রিটের স্তূপের মাঝে যাতে মানুষ একটু গাছ লাগাতে ভালোবাসে মানুষ যাতে বুঝতে পারে গাছের গুরুত্ব কত বেশি সেই সচেতন বার্তাব পৌঁছে দিতে সাইকেলে চেপে  বাংলাদেশের পাড়ি দিয়েছে এপার বাংলার নয় যুবক। পরিবেশ রক্ষার বিভিন্ন স্লোগান সাইকেলের সামনে লাগিয়ে গত ১০ অক্টোবর ইয়ুথ হোস্টেল অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া ববসিরহাট ইউনিটের একটি দল যাত্রা শুরু করেছেন। এই নয় যুবকের বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতে। দলটিতে আছেন চঞ্চল বিশ্বাস, সুদীপ্ত চ্যাটার্জী, দীপক হালদার, কমল কুমার খাঁড়া, স্বপন কুমার দাস, জয়ন্ত ঘোষ, অচিন্ত্য কুমার মন্ডল, বিদ্যুৎ গায়েন, রতন‌ দাস এবং বহ্ণিদীপ্ত মন্ডল। এই নয় সদস্যের দলটি বাংলাদেশের সাতক্ষীরা, যশোর, গোপালগঞ্জ, ঢাকা, বরিশাল, বাগেরহাট, খুলনা এই সমস্ত জায়গাগুলিতে  সবুজের সচেতন বার্তার অভিযান চালাবেন। বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তি স্বাধীনতা উপলক্ষে বাংলাদেশের সাথে ভারতের মৈত্রী সম্পর্ককে আরো ঘনিষ্ঠ করতে এই অভিযান। আগামী ১৯ শে অক্টোবর মধ্যে দলটি তাদের এই অভিযান শেষ করে ভারতে ফিরে আসবেন বলে জানিয়েছেন। দলটির এক সদস্য বিদ্যুৎ গাইন জানান “সাইকেল চালিয়ে পরিবেশ সচেতনতা করতে বেরিয়ে বাংলাদেশের মানুষ সাদরে তাদেরকে দেখে সম্বর্ধনা জানাচ্ছে। খুব ভালো লাগছে বাংলাদেশের মানুষ আমাদের এতটাই আপন করে  নিচ্ছে। আমরা সবাই খুব খুশি। ” তবে যুবকদের এই উদ্যোগেকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন