নাবালকের বিয়ে দিতে এসে মুচলেকা দিল ইমাম

নাবালকের বিয়ে দিতে এসে মুচলেকা দিল ইমাম-


নিজস্ব প্রতিনিধি|ক্যানিং| রবিবার রাতে এক নাবালকের বিয়ে দিতে এসে ইমাম মুচলেকা দিল পুলিশ ও চাইল্ড লাইনের কাছে।ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং থানার পাঙ্গাসখালি গ্রামে।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে ক্যানিং রামামারি গ্রামের বাসিন্দা নাবালক ছেলের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয় পাঙ্গাসখালি গ্রামের বাসিন্দা দশম শ্রেণির ছাত্রীর।গত ১৭ ডিসেম্বর রাতে তাদের বিয়ের লগ্নছিল।নাবালক একটি গাড়ির গ্যারেজে কাজ করে।এদিন বর ও বরপক্ষের লোকজন নাবালক বর কে নিয়ে মেয়ের বাড়িতে আসে বিয়ে দেওয়ার জন্য।নাবালক ও দশম শ্রেণির ছাত্রী সবে বিয়ের পিঁড়িতে বসছে।খবর পেয়ে সেই সময় ক্যানিং থানার পুলিশ বাহিনী এবং চাইল্ড লাইনের সদস্যরা অভিযান চালায়।ছেলে ও মেয়ের বয়সের প্রমাণপত্র দেখে উভয় পরিবারের সদস্যদের বুঝিয়ে সুজিয়ে মুচলেকা নিয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করে দেয়।এদিকে ইমাম সাহেব কে পুলিশ ও চাইল্ড লাইনের সদস্যরা আইন বিষয়ে বোঝালে ইমাম সাহেব ভুল স্বীকার করে মুচলেকা দেয়।তিনি বলেন নাবালক আর নাবালিকার বিয়ে দেওয়া আইনত অপরাধ।তাই কোনদিন নাবালক আর নাবালিকার বিয়ে দেবনা।এবার থেকে বিয়ে দিতে গেলে ছেলে মেয়ে উভয়ের বয়সের প্রমাণপত্র দেখে বিয়ে দেব।ইমাম সাহেব আরও বলেন ছেলের বয়স ২১ বছর আর মেয়ের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হলে তবে বিয়ে দেওয়া যাবে এ বিষয়ে জানা ছিল না।বাল্যবিবাহ আইনত অপরাধ এটা জানতে পারলাম।এ দিকে একই বক্তব্য ছেলে ও মেয়ের পরিবারের সদস্যদের।উভয়পক্ষ মুচলেকা দিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেয়।পুলিশ ও চাইল্ড লাইন জানান এক নাবালকের বিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় বয়সের প্রমাণপত্র দেখে মুচলেকা নিয়ে।এমনকি ইমাম মুচলেকা দেয় নাবালক ও নাবালিকা বিয়ে যাতে না দেয়।তবে এ বিষয়ে মানুষকে সচেতন করে তোলা হচ্ছে      বাল্যবিবাহ আইনত অপরাধ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন