বঙ্গোপসাগরের কেঁদো দ্বীপে ট্রলার ডুবি,নিখোঁজ ১০ জন মৎস্যজীবী।

বঙ্গোপসাগরের কেঁদো দ্বীপে ট্রলার ডুবি,নিখোঁজ ১০ জন মৎস্যজীবী। 


কাকদ্বীপ|বুধবার সকালে সরকারি নিষেধাজ্ঞা আমান্য করে মাঝ সমুদ্রে পাড়ি দিয়ে ছিল একটি মাছ ধরার ট্রলার আর রাতে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার সময় হঠাৎই ঝড় বৃষ্টি তে ঢেউয়ের তোড়ে ট্রলারটি ডুবে গেলে নিখোঁজ হয় ১০ জন মৎস্যজীবী।
কেনাকাটারর আনন্দ মানে INDIA SHOP
ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ মহকুমা বঙ্গোপসাগরের কেঁদো দ্বীপ দক্ষিণ এলাকায়।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে কাকদ্বীপ মহকুমা বাসিন্দা মৎস্যজীবী অর্জুন দাস, প্রসেনজিৎ দাস,সুরজিৎ দাস, মদন দাস, বাসুদেব দাস,কৃষ্ণ দাস,ঝন্টু বিশ্বাস, গোপী বিশ্বাস সহ আরও ৮ জন মৎস্যজীবী এফ বি কন্যামাতা ট্রলারে করে গোপন ভাবে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যায়।যেহতু মাছের প্রজন্ম কে বাঁচাতে এবং প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার্থে ১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত গভীর সমুদ্রে নদী খালে বিলে মাছ ধরা নিষিদ্ধ।

আর এই নিষিদ্ধ কে উপেক্ষা করে আইন কে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে ট্রলারটি গোপন ভাবে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে চলে যায়।এদিন রাতে কেঁদো দ্বীপের দক্ষিণে মাছ ধরার সময় হঠাৎই ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়।ঝড়ের তোড়ে টেউয়ের ঝাঁপটায় ট্রলারটি ডুবে যায়।আশপাশে কিছু মাছের নৌকা ছিল।তারা বিষয়টি দেখতে পেয়ে ৬ জন মৎস্যজীবী কে উদ্ধার করে।তবে এখনও পর্যন্ত ট্রলারের ১০ জন মৎস্যজীবী নিখোঁজ।


সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎস্যজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক সতীনাথ পাত্র বলেন ঝড় বৃষ্টি সমুদ্রের টেউয়ের তোড়ে এফ বি কন্যামাতা ট্রলার টি কেঁদো দ্বীপের দক্ষিণে ডুবে যায়।ট্রলারে ১৬ জন মৎস্যজীবী ছিল।তবে এদের মধ্যে একজন মাঝি আছে।আশেপাশের মৎস্যজীবীরা ৬ জন মৎস্যজীবী কে উদ্ধার করে।বাকী ১০জন মৎস্যজীবী এখনও নিখোঁজ আছে।এই ট্রলার টি গোপন ভাবে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে চলে যায়।যেহেতু ১৪ জুন পর্যন্ত মাছ ধরা নিষিদ্ধ।বিষটি বিভাগীয় দফতরে জানানো হয়েছে।যাতে বাকী মৎস্যজীবীদের এবং ট্রলার টি উদ্ধার করা যায়।পুলিশ জানান একটি ট্রলার ডুবির খবর এসেছে।ঝড় বৃষ্টি তে সমুদ্রের তোড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়।বেশ কয়েক জন মৎস্যজীবী নিখোঁজ আছে।নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের খোঁজে কোষ্টাল পুলিশ তল্লাশি শুরু করছে।বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন