ডায়মন্ডহারবারে মহামিছিল ২১ জুলাই শহিদ স্মরনে ধর্মতলা চলো সফল করার উদ্দেশ্যে

ডায়মন্ডহারবারে মহামিছিল ২১ জুলাই শহিদ স্মরনে ধর্মতলা চলো সফল করার উদ্দেশ্যে 


ডায়মন্ডহারবার|রবিবার বিকালে দক্ষিণ ২৪পরগনার ডায়মন্ডহারবার বিধানসভা কেন্দ্র কপাটহাট থেকে স্টেশন রোড পর্যন্ত জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে এবং ডায়মন্ডহারবার-১ ও ২ ব্লক ও টাউন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের ব্যবস্থাপনায় ২১ জুলাই শহিদ স্মরনে মা মাটি মানুষের সমর্থনে মহামিছিলের আয়োজন হয়।এদিনের মহামিছিলে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক তৃণমূলের দীপক হালদার,ক্যানিং পূর্ব কেন্দ্রের বিধায়ক তথা জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি সওকাত মোল্লা,ডায়মন্ডহারবার-১ ও ২ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি উমাপদ পুরকাইত,অরুময় গায়েন প্রমূখ।মহামিছিলে প্রায় ২০ হাজার তৃণমূল কর্মী সমর্থক উপস্থিতি হয়ে ছিল।যা ছিল চোখে পড়ার মতন।
ডায়মন্ডহারবারে মহামিছিলে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা খাটিয়া করে নরেন্দ্র মোদী কুশপুতুল নিয়ে যাচ্ছে দাহ করার জন্য।

এদিনের মহামিছিলে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা খাটিয়া করে নরেন্দ্র মোদী কুশপুতুল নিয়ে আসে।যার শ্লোগান ছিল ২০১৯ মোদি তুমি ফিনিস।ডায়মন্ডহারবার স্টেশন রোডে মোদির কুশপুতুল দাহ করে।তারপর এখানে একটি পথ সভার আয়োজন হয়।পথ সভায় ক্যানিং পূর্ব কেন্দ্রের বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূলের সভাপতি সওকাত মোল্লা বলেন আগামী ২১ জুলাই শহিদ স্মরনে ধর্মতলা চলো।কানায় কানায় ভরিয়ে তুলুন শহীদ স্মরনের অনুষ্ঠানে।

ডায়মন্ডহারবারে স্টেশন রোডে মহামিছিলে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা নরেন্দ্র মোদী কুশপুতুল দাহ করছে।

যার প্রধান বক্তা দলনেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।তিনি আরও বলেন দীর্ঘ ৩৪বছরে বাম সরকারের অপশাসনের পর জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ২০১১ সালে রাজ্যে পরিবর্তন আসে।মা মাটি মানুষের সরকারের প্রিয় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সালে ২০ মে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছিলেন।তারপর থেকে একের পর এক উন্নয়ন মূলক কাজ করে চলেছে সারা বাংলা জুড়ে।বিগত বাম সরকারের আমলে উন্নয়ন চোখে দেখতে পারতো না।আর বর্তমানে মা মাটি মানুষের সরকারের উন্নয়ন বাংলার মানুষ চোখে দেখতে পারছে।ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্রের বিধায়ক দীপক হালদার বলেন ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই জননেত্রী  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই মহাকরণ অভিযান হয়।সেই অভিযানেই শান্তিপূর্ণ ও নিরস্ত্র মানুষের উপর বামফ্রন্টের পুলিশ গুলি চালায়।নিহত হন ১৩ জন যুবকর্মী।আর সেই সব শহীদের স্মরনে ২১ জুলাই ধর্মতলাচলো।তিনি আরও বলেন ১৯৯০ সালে জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে একবার নয়,বার বার হত্যা করার চেষ্টা করেছে সিপিএমের গুন্ডরা।কিন্তু তৎকালীন কংগ্রেসের অনেক নেতারাই চুপ করে থেকেছেন।এমনি পরিস্থিতির মধ্যে ১৯৯৮ সালের ১ জানুয়ারি সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস গড়েন জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।আজ তৃনমূল কংগ্রেস মা মাটি মানুষের আশীর্বাদে সরকার চালাচ্ছে।এদিনের পথসভা এছাড়া বক্তব্য রাখেন তৃনমুলের অন্যান্য নেতৃত্বরা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন