ক্যানিং মাতলা-১ অঞ্চলে জব কার্ডের বেনিফিসারিদের পরিকল্পনা নিম গাছের চারা রোপনে,সাধুবাদ জানালো রাজ্যের বনমন্ত্রী

ক্যানিং মাতলা-১ অঞ্চলে জব কার্ডের বেনিফিসারিদের  পরিকল্পনা নিম গাছের চারা রোপনে,সাধুবাদ জানালো রাজ্যের বনমন্ত্রী


রাজ্যের বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন।

নিজস্ব প্রতিনিধি।ক্যানিং| দক্ষিণ  ২৪ পরগনার সুন্দরবনের ক্যানি-১ ব্লকের মাতলা -১ অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় নিম গাছের চারা  রোপনে জেলা ও রাজ্য  জুড়ে সাড়া ফেলে দিল জব কার্ডের   বেনিফিসারিরা।আর এই ধরনের উদ্যোগ নিয়ে কাজের বেনিফিসারিদের সাধুবাদ জানালো রাজ্যের বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন।পাশাপাশি এই ধরনের কাজের বেনিফিসারিদের উৎসাহ দিতে এবং কাজের পরিদর্শন করতে আসবেন রাজ্যের বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন এমন কথা জানালেন স্বয়ং রাজ্যের বনমন্ত্রী ।রাজ্যের বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন যে কয়েকজন জব কার্ডের বেনিফিসারিরা পরিকল্পনা করে নিম গাছের চারা রোপনের কাজ শুরু করেছে মাতলা-১ নম্বর অঞ্চলে তা খুবই প্রশংসিত।তিনি আরও বলেন খোঁজ খবর নিয়ে দেখা গিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দা তথা ভূমিপুত্র বিশ্বজিৎ পাল দেশী নিম গাছের চারা বসানোর পরিকল্পনা নিয়ে বেশ কয়েকজন এলাকার জব কার্ডের মহিলা বেনিফিসারিরা নিয়ে এই কাজ শুরু করে।

মাতলা-১ অঞ্চলের পুরাতন নৌকাঘাট রোড থেকে মাতলা ব্রীজ পর্যন্ত নিম গাছের চারা রোপন করছে জব কার্ডের বেনিফিসারিরা।

আর ইতিমধ্যেই মাত্র ১৬ দিনে ২,০০০ টি নিম গাছের চারা রোপন করছে।আমি ভূমিপুত্র বিশ্বজিৎ পাল ও বেনিফিসারি মহিলাদের সাধুবাদ জানায় এমন ধরনের উদ্যোগ নেওয়া কে।রাজ্যের বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন নিম গাছ খুবই মূল্যবান গাছ।নিম গাছ ২৪ ঘন্টা অক্সিজেন সরবরাহ করে।যা মানব সভ্যতার প্রাকৃতিক সম্পদ নিম গাছ। নিম গাছ  একটি  ঔষধি গাছ।নিম গাছের ডাল, পাতা, রস, সবই কাজে লাগে।নিম গাছের গুনাগুনের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নিম গাছ কে একুশ শতকের বৃক্ষ বলে ঘোষণা করে।মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন যাতে বেনিফিসারিরা এই কাজকে স্বার্থক করে তুলতে এবং ভালো কাজ করতে পারে বিঞ্জানভিত্তিক ভাবে তার জন্য সরকারি সব ধরনের সাহায্য করা হবে।এ দিকে  ক্যানিং-১ ব্লক সমিষ্টি আধিকারিক করন ও মাতলা-১ গ্রাম পঞ্চায়েত উদ্যোগে মাতলা-১ অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় শুর হয় দেশী নিম গাছের রোপনের কাজ।আর এই কাজ কে স্বার্থক করে তুলতে ঝড় বৃষ্টির মধ্যে কোমড় বেঁধে নেমে পড়ে জব কার্ডের বেনিফিসারিরা।জব কার্ডের বেনিফিসারিরা  পরিকল্পনা নেয় ৫ হাজার দেশী নিম গাচের চারা এবং বিভিন্ন প্রজাতির ফল ও ফুল গাছের রোপন করে প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার্থে।

ক্যানিং-১ বি ডি ও অফিস কার্যালয় থেকে নিম গাছের চারা নিয়ে যাচ্ছে জব কার্ডের বেনিফিসারিরা।

এই কাজ কে বাস্তবে রুপান্তরিত করতে কাজে নেমে পড়ে জব কার্ডের বেনিফিসারি কাকলী পাল, মলিনা হালদার, ভাস্বতী সরদার,রানী বালা পাল,সন্ধ্যা মন্ডল,নীলা বিশ্বাস,পিন্টু সরদার,মিনা পাল,মমতা বোস,সুর্পনা দত্ত,ঝুম্পা মন্ডল প্রমুখ।ইতিমধ্যে জব কার্ডের বেনিফিসারিরা পরিকল্পনাকে বাস্তবে রুপান্তরিত করতে ২,০০০ টি নিম গাছের চারা রোপন করে ফেলেছে ক্যানিং পুরাতন নৌকাঘাট রোড, এস ডি রোড,ক্যানিং নিউ বাসট্রামিন্যাল,মাতলা ব্রীজ রোড এলাকায়।এছাড়া আম,জাম, আমলকি, জামরুল,নারকেল,লিচু সহ বিভিন্ন প্রজাতির ফল গাছের ছাড়া রোপন করে।পাশাপাশি মেহগনি, সোনাঝুড়ি এবং সুন্দরী,কাঁকড়া ম্যানগ্রোভ গাচের চারা রোপন করে প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার্থে।বেনিফিসারিদের উদ্দেশ্য ১০০ মধ্যে ১০০ শতাংশ কাজের বজায় রাখা।তাই জব কার্ডের বেনিফিসারিরা পরিকল্পনা কে বাস্তবে রুপান্তরিত করতে নিম গাছের চারা রোপন করে বৃক্ষ কে দেখভাল করতে শুরু করে দিয়েছে এবং লালন-পালন করে নিম গাছের চারা গুলিকে কে বড় করে তুলতে দিনে ও রাতে দেখভালের খামতি রাখছে না জব কার্ডের বেনিফিসারিরা।গত ৯ জুলাই এই পরিকল্পনা কাজের শুভ সূচনা করেন ক্যানিং-১ যুগ্ম বিডিও জয়প্রকাশ মন্ডল।আর এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডাব্লু ডি ও উমা দাস, পিএও পায়েল বারিক, মাতলা রেঞ্জ বনবিভাগের বনকর্মীরা, মাতলা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য হরেন ঘোড়ুই, অহল্যা কয়াল, ভি এল ই কমলাকান্ত সাহা প্রমুখ।গত ২১ জুলাই বিকালে এই কাজের পরিদর্শন করতে আসেন ক্যানি-১বিডিও নীলাদ্রি শেখর দে।তিনি সমস্ত কাজ গুলি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখেন এবং জব কার্ডের বেনিফিসারিদের সঙ্গে নিম গাছের চারা রোপন বিষয়ে কথা বলেন ও আলোচনা করেন।তিনি বেনিফিসারিদের সঙ্গে নিম গাছের চারা রোপন করে দেখিয়ে দেন কি ভাবে রোপন করতে হবে।ফলে উৎসাহিত হয় জব কার্ডের বেনিফিসারিরা।ক্যানিং-১ বিডিও নীলাদ্রি শেখর দে  বলেন মাতলা-১ অঞ্চলে নিম গাছের চারা রোপনের কাজ চলছে।একটি গাছ একটি প্রান।প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার্থে বৃক্ষ রোপন খুব প্রয়োজন তা সকলের কাছে অজানা নয়।জব কার্ডের বেনিফিসারিরা বলেন  নিম গাছ বহু বর্ষজীবি ও চির হরিত বৃক্ষ। আকৃতিতে ৪০-৫০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। এর কান্ড ২০-৩০ ইঞ্চি ব্যাস হতে পারে। ডালের চারদিকে ১০-১২ ইঞ্চি যৌগিক পত্র জন্মে। পাতা কাস্তের মত বাকানো থাকে এবং পাতায় ১০-১৭ টি করে কিনারা খাঁজকাটা পত্রক থাকে। পাতা ২.৫-৪ ইঞ্চি লম্বা হয়।তারা আরও বলেন নিম গাছের বহুবিধ উপকারিতা।নিম রক্তের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণ করে এবং উজ্জ্বল সুন্দর ও দৃষ্টি নন্দন চুল পেতে নিম পাতার অবদান অপরিসীম।দাঁতের সুস্থতায় নিমের ডাল দিয়ে মেসওয়াক করার প্রচলন রয়েছে সেই প্রাচীনকাল থেকেই।এমনকি ওজন কমাতে নিমের ফুলের জুস খুব উপকারি।রক্ত পরিস্কার করা,ম্যালেরিয়া, ব্রন দূর করে,অ্যালার্জী, একজিমা প্রমূখ বিষয়ে উপকারি নিম গাছ।এমনকি নিমের অক্সিজেন স্বাস্থ্যে পক্ষে উপকারি।।তাই নিম চারা গাছের রোপন করা পরিকল্পনা এবং তাকে বাস্তবে রুপান্তরিত করতে এই প্রচেষ্টা।
নিম গাছ বসাতে ব্যাস্ত জব কার্ড বেনিফিসারিরা। 

এক দিকে প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার্থে বৃক্ষ রোপন।অন্যদিকে নিম গাছ বিষয়ে মানুষজনকে সচেতন করে তোলা।পাশাপাশি বিনা অনুমতিতে গাছ কাটা দন্ডনীয় অপরাধ সে বিষয়ে ও সচেতন করে তোলা হচ্ছে।বৃক্ষ আইনে শর্ত লঙ্ঘন করে কোন ব্যক্তি গাছ কাটলে বা মূলোৎপাটন করলে বা ভূপতিত গাছ বিক্রি করে দিলে তার জেল ও জরিমানা উভয় হতে।সে বিষয়ে সচেতন করে তোলা এলাকার মানুষজন কে।মাতলা-১ অঞ্চলের বিভিন্ন রোডে ২,০০০ টি নিম গাছের চারা রোপন করা হয়েছে এবং পাশাপাশি ফল ও ফুল গাছ রোপনের কাজ চলছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন