সুন্দরবন TV
ক্যানিং-১ পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি পরেশরাম দাস জব কার্ডের বেনিফিসারিদের হাতে বৃক্ষ তুলে দিয়ে নজির গড়ল
নিজস্ব প্রতিনিধি|ক্যানিং|শনিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনের ক্যানিং-১ ব্লকের বাসস্ট্যান্ডে বিভিন্ন প্রজাতির ফল গাছের চারা মাতলা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের জব কার্ডের বেনিফিসারিদের হাতে তুলে দিয়ে নজির গড়ল ক্যানিং-১ পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি তথা ক্যানিং-১ ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতি পরেশরাম দাস।এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সদস্য সুশীল সরদার,মাতলা-১ প্রধান ও উপ প্রধান হরেন ঘোড়ুই,প্রদীপ দাস,বিশিষ্ট সমাজসেবক গোপাল কুন্ডু,সংকর দাস প্রমূখ।উল্লেখ্য ক্যানিং মাতলা নদীর পাড়ে মহত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীন কর্ম নিশ্চয়তা প্রকল্পের ১০০ দিনের কাজে জব কার্ডের মহিলা বেনিফিসারিরা কেরলের মডেলে নারকেল গাছের চারা রোপনের পাশাপাশি ম্যানগ্রোভ গাছের চারা রোপনের কাজ শুরু করে।
বিজ্ঞাপন
ক্যানিং পুরাতন নৌকাঘাট রোডের এবং ক্যানিং এস ডি ও রোডের ক্যানিং মাত।নদীর ভূমি ক্ষয় রোধে এবং প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার্থে ও সুন্দরবনের পযটকদের আর্কষন বাড়তে এই অভিনব উদ্যোগ জব কার্ডের মহিলা বেনিফিসারিদের। বেনিফিসারিরা গোলপাতা,সুন্দরী, কাঁকড়া, বাইন গাছের চারা নদীর পাড়ে রোপনের করে দেখভাল করছে জব কার্ডের বেনিফিসারিরা।তবে এই সমস্ত জব কার্ডের মহিলারা এস এইচ জি গ্রুপ করছে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে।আর এই মহিলাদের গ্রুপের নাম মাতলা 'বৃক্ষ বন্দনা' এস এইচ জি।১১ জন মহিলা মিলে এই এস এইচ জি গ্রুপটি করে।আর এরা সকলেই এম জি এন আর ই জি এ ওয়ারকার।মাতলা বৃক্ষ বন্দনা এস এইচ জি গ্রুপের সভানেত্রী মলিনা হালদার, সম্পাদিকা কাকলী পাল।এই মাতলা বৃক্ষ বন্দনা এস এইচ জি গ্রুপের সমস্ত মহিলারা যারা ১০০ দিনের কাজে ওয়ারকার তারা চলতি বছরে জুলাই মাস থেকে বৃক্ষ রোপনের কাজ শুরু করে ক্যানিং পুরাতন নৌকাঘাট রোড থেকে মাতলা ব্রীজ পর্যন্ত এবং ক্যানিং মাতলা নদীর পাড়ে কেরলের মডেলে নারকেল গাছের চারা রোপন করে শুধু বাংলা নয় দেশের মধ্যে এক নজির গড়েছে প্রায় ১৩ ঘন্টা কাজের শ্রম দিয়ে।প্রায় ৩৫২০ টি বৃক্ষ রোপন করে ফেলেছে খুবই অল্প সময়ের মধ্যে।চারা গাছগুলি যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তার জন্য জব কার্ডের বেনিফিসারিরা চারিদিকে বাগানের পরিবেষ্ঠনী দিয়েছে বাঁশের খুঁটি, চটা এবং নেট জাল দিয়ে।তবে জব কার্ডের বেনিফিসারিরা ২ হাজার নিম গাছের চারা, ৫০০ টি নারকেল গাছের চারা, বিভিন্ন প্রজাতির ৪০০ টি ফল গাছের চারা, ২০০ টি করমচা গাছের চারা, ১৫০ টি জবা ফুল গাছের চারা, ২৫০ টি সুপারি গাছের চারা সহ মেহগনি, শিশু,কলা গাছের চারা রোপন করে।বর্তমানে জব কার্ডের বেনিফিসারিরা ইতিমধ্যে ১০০ টি সুন্দরী গাছের চারা, ৫০ টি কাঁকড়া, ৫০ টি বাইন সহ গোলপাতা গাছের চারা রোপন করেছে এবং দেখভাল করছে।সুন্দরবনে গোলপাতা দেখতে প্রায় নারকেল গাছের পাতার মতন।গোলপাতা জঙ্গলে রয়েল বেঙ্গল টাইগার থাকতে খুব পছন্দ করে।বিভিন্ন চর্মরোগ ও পেটের অসুখের ঔষধ তৈরি তে গোলপাতা গাছের ব্যবহার আছে।এমনকি অ্যালকোহল ও ভিনিগার উৎপাদনে গোলপাতা গাছের ব্যবহার আছে।এই গাছের শুকনো পাতা ঘর ও নৌকার ছাউনি হিসাবে ব্যবহার হয়।ফলে ঘরের ভিতর ঠান্ডা থাকে।এদিকে মহিলাদের এই বৃক্ষ রোপনের কাজে রাজ্যের বিভাগীয় দফতরের আধিকারিকরা প্রায় সময় ভিজিট করে মহিলা জব কার্ডের বেনিফিসারিদের বৃক্ষ রোপনের বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছে।আর এই বৃক্ষ রোপনের কাজ দেখে জব কার্ডের বেনিফিসারিদের পাশে দাঁড়ালেন কাজের উৎসাহ দিতে ক্যানিং-১ পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি তথা ক্যানিং-১ ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতি পরেশরাম দাস।তিনি বলেন মাতলা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকজন মহিলা জব কার্ডের বেনিফিসারি ২০১৮ সালের জুলাই মাস থেকে এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত পরিশ্রম করে যে ভাবে বৃক্ষ রোপন করে দেখভাল করছে তা এক নজির ঘটনা।প্রায় ১৩ ঘন্টা শ্রম দিয়ে জব কার্ডের বেনিফিসারিরা চারা গাছ গুলিকে লালন পালন করে বড় করে তুলছে।আর গাছ গুলি বড় হয়ে উঠলে ক্যানিং মাতলা নদীর সৌন্দর্য বেড়ে যাবে।ফলে সুন্দরবনের পযটকদের আর্কষন বাড়বে।গড়ে উঠবে কর্ম সংস্থান।তিনি আরও বলেন বৃক্ষ রোপনের এই কাজে যুক্ত থাকা সকলকে সাধুবাদ জানাই এমন ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য।বাম জামানায় বহু বৃক্ষ রোপনের কেমন কাজ হয়েছে তা সাধারণ মানুষের কাছে অজানা নয়।রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন ভালবেসে গাছ লাগান।তাই এই বৃক্ষ রোপনের কাজে সামিল হওয়া।আগামী দিনে আরও বেশী করে বিভিন্ন প্রজাতির ফল গাছের চারা তুলে দেওয়া হবে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার্থে।
ক্যানিং-১ পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি পরেশরাম দাস জব কার্ডের বেনিফিসারিদের হাতে বৃক্ষ তুলে দিয়ে নজির গড়ল
নিজস্ব প্রতিনিধি|ক্যানিং|শনিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনের ক্যানিং-১ ব্লকের বাসস্ট্যান্ডে বিভিন্ন প্রজাতির ফল গাছের চারা মাতলা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের জব কার্ডের বেনিফিসারিদের হাতে তুলে দিয়ে নজির গড়ল ক্যানিং-১ পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি তথা ক্যানিং-১ ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতি পরেশরাম দাস।এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সদস্য সুশীল সরদার,মাতলা-১ প্রধান ও উপ প্রধান হরেন ঘোড়ুই,প্রদীপ দাস,বিশিষ্ট সমাজসেবক গোপাল কুন্ডু,সংকর দাস প্রমূখ।উল্লেখ্য ক্যানিং মাতলা নদীর পাড়ে মহত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীন কর্ম নিশ্চয়তা প্রকল্পের ১০০ দিনের কাজে জব কার্ডের মহিলা বেনিফিসারিরা কেরলের মডেলে নারকেল গাছের চারা রোপনের পাশাপাশি ম্যানগ্রোভ গাছের চারা রোপনের কাজ শুরু করে।
বিজ্ঞাপন
ক্যানিং পুরাতন নৌকাঘাট রোডের এবং ক্যানিং এস ডি ও রোডের ক্যানিং মাত।নদীর ভূমি ক্ষয় রোধে এবং প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার্থে ও সুন্দরবনের পযটকদের আর্কষন বাড়তে এই অভিনব উদ্যোগ জব কার্ডের মহিলা বেনিফিসারিদের। বেনিফিসারিরা গোলপাতা,সুন্দরী, কাঁকড়া, বাইন গাছের চারা নদীর পাড়ে রোপনের করে দেখভাল করছে জব কার্ডের বেনিফিসারিরা।তবে এই সমস্ত জব কার্ডের মহিলারা এস এইচ জি গ্রুপ করছে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে।আর এই মহিলাদের গ্রুপের নাম মাতলা 'বৃক্ষ বন্দনা' এস এইচ জি।১১ জন মহিলা মিলে এই এস এইচ জি গ্রুপটি করে।আর এরা সকলেই এম জি এন আর ই জি এ ওয়ারকার।মাতলা বৃক্ষ বন্দনা এস এইচ জি গ্রুপের সভানেত্রী মলিনা হালদার, সম্পাদিকা কাকলী পাল।এই মাতলা বৃক্ষ বন্দনা এস এইচ জি গ্রুপের সমস্ত মহিলারা যারা ১০০ দিনের কাজে ওয়ারকার তারা চলতি বছরে জুলাই মাস থেকে বৃক্ষ রোপনের কাজ শুরু করে ক্যানিং পুরাতন নৌকাঘাট রোড থেকে মাতলা ব্রীজ পর্যন্ত এবং ক্যানিং মাতলা নদীর পাড়ে কেরলের মডেলে নারকেল গাছের চারা রোপন করে শুধু বাংলা নয় দেশের মধ্যে এক নজির গড়েছে প্রায় ১৩ ঘন্টা কাজের শ্রম দিয়ে।প্রায় ৩৫২০ টি বৃক্ষ রোপন করে ফেলেছে খুবই অল্প সময়ের মধ্যে।চারা গাছগুলি যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তার জন্য জব কার্ডের বেনিফিসারিরা চারিদিকে বাগানের পরিবেষ্ঠনী দিয়েছে বাঁশের খুঁটি, চটা এবং নেট জাল দিয়ে।তবে জব কার্ডের বেনিফিসারিরা ২ হাজার নিম গাছের চারা, ৫০০ টি নারকেল গাছের চারা, বিভিন্ন প্রজাতির ৪০০ টি ফল গাছের চারা, ২০০ টি করমচা গাছের চারা, ১৫০ টি জবা ফুল গাছের চারা, ২৫০ টি সুপারি গাছের চারা সহ মেহগনি, শিশু,কলা গাছের চারা রোপন করে।বর্তমানে জব কার্ডের বেনিফিসারিরা ইতিমধ্যে ১০০ টি সুন্দরী গাছের চারা, ৫০ টি কাঁকড়া, ৫০ টি বাইন সহ গোলপাতা গাছের চারা রোপন করেছে এবং দেখভাল করছে।সুন্দরবনে গোলপাতা দেখতে প্রায় নারকেল গাছের পাতার মতন।গোলপাতা জঙ্গলে রয়েল বেঙ্গল টাইগার থাকতে খুব পছন্দ করে।বিভিন্ন চর্মরোগ ও পেটের অসুখের ঔষধ তৈরি তে গোলপাতা গাছের ব্যবহার আছে।এমনকি অ্যালকোহল ও ভিনিগার উৎপাদনে গোলপাতা গাছের ব্যবহার আছে।এই গাছের শুকনো পাতা ঘর ও নৌকার ছাউনি হিসাবে ব্যবহার হয়।ফলে ঘরের ভিতর ঠান্ডা থাকে।এদিকে মহিলাদের এই বৃক্ষ রোপনের কাজে রাজ্যের বিভাগীয় দফতরের আধিকারিকরা প্রায় সময় ভিজিট করে মহিলা জব কার্ডের বেনিফিসারিদের বৃক্ষ রোপনের বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছে।আর এই বৃক্ষ রোপনের কাজ দেখে জব কার্ডের বেনিফিসারিদের পাশে দাঁড়ালেন কাজের উৎসাহ দিতে ক্যানিং-১ পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি তথা ক্যানিং-১ ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতি পরেশরাম দাস।তিনি বলেন মাতলা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকজন মহিলা জব কার্ডের বেনিফিসারি ২০১৮ সালের জুলাই মাস থেকে এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত পরিশ্রম করে যে ভাবে বৃক্ষ রোপন করে দেখভাল করছে তা এক নজির ঘটনা।প্রায় ১৩ ঘন্টা শ্রম দিয়ে জব কার্ডের বেনিফিসারিরা চারা গাছ গুলিকে লালন পালন করে বড় করে তুলছে।আর গাছ গুলি বড় হয়ে উঠলে ক্যানিং মাতলা নদীর সৌন্দর্য বেড়ে যাবে।ফলে সুন্দরবনের পযটকদের আর্কষন বাড়বে।গড়ে উঠবে কর্ম সংস্থান।তিনি আরও বলেন বৃক্ষ রোপনের এই কাজে যুক্ত থাকা সকলকে সাধুবাদ জানাই এমন ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য।বাম জামানায় বহু বৃক্ষ রোপনের কেমন কাজ হয়েছে তা সাধারণ মানুষের কাছে অজানা নয়।রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন ভালবেসে গাছ লাগান।তাই এই বৃক্ষ রোপনের কাজে সামিল হওয়া।আগামী দিনে আরও বেশী করে বিভিন্ন প্রজাতির ফল গাছের চারা তুলে দেওয়া হবে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার্থে।