পাথর প্রতিমায় স্ত্রীর মাথা কেটে স্কুল ব্যাগে ঢুকিয়ে থানায় আত্মসমর্পণ স্বামীর

সুন্দরবন TV

পাথর প্রতিমায় স্ত্রীর মাথা কেটে স্কুল ব্যাগে ঢুকিয়ে থানায় আত্মসমর্পণ স্বামীর

নিজস্ব প্রতিনিধি| পাথর প্রতিমা|সোমবার সকাল ৬ টা সময় এক যুবক স্বাভাবিকভাবে থানায় ঢুকে ডিউটি অফিসারের কাছে জানতে চান থানার বড়বাবু কোথায়।আমি তার সাথে দেখা করতে চাই।থানার ডিউটি অফিসার বলেন কি দরকার,অভিযুক্ত যুবক অভিজিৎ দাস বলেন আমি আমার স্ত্রীর মাথা কেটে নিয়ে আপনার থানায় এসেছি, আমাকে এ্যারেস্ট করুন।থানার ডিউটি অফিসার তার কথা শুনে হতভম্ব হয়ে যায়।তখন তিনি অভিজিৎ দাসকে বসতে বলে।

অভিজিৎ দাস স্বাভাবিকভাবে পিছনে থাকা স্কুল ব্যাগ থেকে তার স্ত্রীর কাটা মুন্ডুটি বার করে ডিউটি অফিসার কে দেখান।আর এই দৃশ্য দেখে থানার মধ্যে হইচই পড়ে যায়।মৃত স্ত্রীর নাম অম্বা দাস(২৪)।ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথর প্রতিমা থানার। লক্ষ্মী জনার্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েত ১৩১ নাম্বার বুথ এলাকায়।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে লক্ষ্মী জনার্দনপুর এলাকার বাসিন্দা অভিজিৎ দাস দিল্লীতে একটি রেস্টটুডেন্টে কাজ করে।প্রায় ৬ বছর হলো সে অম্বাকে বিয়ে করে।তাদের সাড়ে তিন বছরের একটি ছোট মেয়ে আছে।প্রায় সময় দুজনের মধ্যে অশান্তি লেগে ছিল।এবারের নির্বাচনের সময় অভিজিৎ দাস দিল্লী থেকে বাড়ি আসে।সে বাড়ি আসার পর বেশ কিছু দিন ধরে অম্বা দাসের সঙ্গে অশান্তি চলছিল।এদিন ভোরে অঅভিজিৎ দাস তার স্ত্রী অম্বা দাসের হাত পা, মুখ বেঁধে হাসুয়া দিয়ে কোপ দিয়ে মুন্ডু কেটে নেয়।তারপর সে তার স্ত্রী মুন্ডুটি একটি স্কুলের ব্যাগে ঢুকিয়ে থানায় নিয়ে গিয়ে আত্মসমর্পণ করে।এরপর পাথরপ্রতিমা পুলিশ বাহিনী তৎপরতার সাথে ঘটনাস্থলে আসে।বাড়ির পাশে ফাঁকা মাঠ থেকে মুন্ডুহীন দেহটি পুলিশ উদ্ধার করে।দেহটি ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।এই ঘটনায় পুলিশ মৃতের স্বামী অভিজিৎ দাসকে গ্রেফতার করে।এদিকে এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।মৃতের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন আগামী দিন মৃত অম্বার বোনের বিয়ে রয়েছে।জামাই অভিজিৎ দাসকে ৯০ হাজার টাকা দিয়ে রাখা হয়ে ছিল।এদিন সেই টাকা নিয়ে এবং অম্বাকে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল।কিন্তু গত ২৬ মে থেকে বারবার ফোন করার পর অভিজিৎ ও অম্বা মেয়ে কেউই ফোন তুলছে না।আর ফোন ধরছে না দেখে এখানে আমরা চলে আসি।আর এসে দেখেছি এই ঘটনা।এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।পুলিশ জানান এক ব্যক্তি তার স্ত্রীর মুন্ডু কেটে সেই মুন্ডু নিয়ে থানায় এসে আত্মসমর্পণ করে।এ বিষয়ে মৃতের পরিবার অভিযোগ দায়ের করে।মুন্ডুহীন দেহটি উদ্ধার করা হয়।তবে কি কারনে এমন ধরনের ঘটনা ঘটলো সে বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।মৃতের স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন