সুন্দরবন TV
সচ্ছতা অভিযানে এগিয়ে এলেন স্কুল পড়ুয়ারা
অকারণ মুখোপাধ্যায়
ক্যানিং- আনুমানিক সাল টা ১৯২৯।তখন চলছে ইংরেজ শাসন কাল। লর্ড ক্যানিং মাতলা তীরবর্তী ক্যানিংয়ে বসে শাসন কার্য্য পরিচালনা করছেন।তৎকালীন সময়ে পারস্য (পর্তুগীজ)দেশের জনৈক শিক্ষাবিদ ডেভিড সেশুন ক্যানিংয়ে ছিলেন ইংরেজদের কর্মচারী হিসাবে।তৎকালীন শিক্ষাবিদ শ্যামা প্রসাদ পাত্র এলাকায় উচ্চ শিক্ষার আলো প্রসারের জন্য ডেভিড সেশুন সাহেবের সাথে আলোচনা করে আড়াই একর জমি একটি স্কুল নির্মাণের জন্য দান করেন। তৎকালীন সময়ে দরমার বেড়া দিয়ে তৈরী হয় স্কুলটি।সাহেবের নামেই নামকরণ হয় ডেভিড সেশুন হাইস্কুল নামে।তখন অবশ্য স্কুলের সরকারি ভাবে স্বীকৃতি মেলেনি।ইতিমধ্যে বেশ কয়েক বছর পর হ্যামিলটন সাহেবের ডাকে সাড়া দিয়ে ১৯৩২ সালে ২৯ ডিসেম্বর সকাল ১০ টা ৩০ মিনিটে বিশ্বকবি রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর ক্যানিং হয়ে নদীপথে গোসাবা দ্বীপে যান।ক্যানিং থেকে কবিগুরু গোসাবা যাওয়ার সময় তৎকালীন ডেভিড সেশুন স্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্যামাপ্রসাদ পাত্র অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকা সহ ছাত্র ছাত্রীদের কে নিয়ে কবিগুরুর যাত্রা পথে দাঁড়িয়ে ফুল ছুড়ে সংবর্ধনা দিয়েছিলেন।
কবিগুরু পদধূলি পেয়ে ইংরেজ সরকার ১৯৩৩ সালে সরকারি ভাবে একমাত্র এবং ক্যানিং এলাকায় সর্বপ্রথম ডেভিড সেশুন স্কুল কে সরকারী ভাবে স্বীকৃতি দেয়।
বিদ্যালয়ে সেই ঐতিহাসিক ভাবধারা অক্ষুন্ন ভাবে আজও বিরাজমান।
উল্লেখ্য এই ডেভিড সেশুন উচ্চমাধ্যমি হাইস্কুলে বেশ কিছুদিন প্রধান শিক্ষক পদ শূণ্য হয়ে পড়েছিল। গত ১৮ জুলাই প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব ভার গ্রহন করেন কৃষ্ণ কুমার ভকত।
প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব ভার নেওয়ার পর থেকেই বিদ্যালয়ে সেই ঐতিহাসিক ঐতিহ্য কে বজায় রাখার জন্য স্কুলের ছাত্র ছাত্রী,শিক্ষক শিক্ষিকা এবং স্কুল পরিচালন সমিতির সদস্যদের একত্রিত করে স্কুল সহ স্কুল লাগোয়া এলাকায় স্বচ্ছতা অভিযান শুরু করেন বুধবার সকালে।
এদিন সচ্ছতা অভিযানে নেমে বিদ্যালয় এলাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করেন।পাশাপাশি স্কুলের শিক্ষার মান উন্নয়ণ এবং স্বচ্ছ সবুজ পরিবেশ নিয়েও সচেতন করা হয়।
বিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণ কুমার ভকত বলেন “রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর এই বিদ্যালয়ে না আসলেও তাঁর পাদস্পর্শে ধন্য এবং ঐতিহাসিক সাক্ষ্য বহন করে চলেছে বিদ্যালয়ের একমাত্র যাতায়াতের রাস্তাটি।সেই ইতিহাস যাতে করে নোংরা আবর্জনায় মলিন হয়ে না পড়ে তার জন্য বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এমন স্বচ্ছতা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে”।অন্যদিকে বিদ্যালয়ের প্রবীণ শিক্ষক যাদব চন্দ্র বৈদ্য বলেন - ’”শিক্ষা আনে চেতনা, চেতনা আনে বিপ্লব,আর বিপ্লব থেকে আসে স্বাধীনতা। যাতে করে আগামী দিনে শিক্ষার মধ্যে দিয়ে ইতিহাস কে ধরে রাখা এবং স্বচ্ছতা অভিযানের বিপ্লব সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে পারি তার জন্য বিদ্যালয় থেকে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়ে। এবং আগামী দিনে বৃক্ষরোপণ সহ আরো অন্যান্য কর্মীসূচি গ্রহণ করা হয়েছে ।”
সচ্ছতা অভিযানে এগিয়ে এলেন স্কুল পড়ুয়ারা
অকারণ মুখোপাধ্যায়
ক্যানিং- আনুমানিক সাল টা ১৯২৯।তখন চলছে ইংরেজ শাসন কাল। লর্ড ক্যানিং মাতলা তীরবর্তী ক্যানিংয়ে বসে শাসন কার্য্য পরিচালনা করছেন।তৎকালীন সময়ে পারস্য (পর্তুগীজ)দেশের জনৈক শিক্ষাবিদ ডেভিড সেশুন ক্যানিংয়ে ছিলেন ইংরেজদের কর্মচারী হিসাবে।তৎকালীন শিক্ষাবিদ শ্যামা প্রসাদ পাত্র এলাকায় উচ্চ শিক্ষার আলো প্রসারের জন্য ডেভিড সেশুন সাহেবের সাথে আলোচনা করে আড়াই একর জমি একটি স্কুল নির্মাণের জন্য দান করেন। তৎকালীন সময়ে দরমার বেড়া দিয়ে তৈরী হয় স্কুলটি।সাহেবের নামেই নামকরণ হয় ডেভিড সেশুন হাইস্কুল নামে।তখন অবশ্য স্কুলের সরকারি ভাবে স্বীকৃতি মেলেনি।ইতিমধ্যে বেশ কয়েক বছর পর হ্যামিলটন সাহেবের ডাকে সাড়া দিয়ে ১৯৩২ সালে ২৯ ডিসেম্বর সকাল ১০ টা ৩০ মিনিটে বিশ্বকবি রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর ক্যানিং হয়ে নদীপথে গোসাবা দ্বীপে যান।ক্যানিং থেকে কবিগুরু গোসাবা যাওয়ার সময় তৎকালীন ডেভিড সেশুন স্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্যামাপ্রসাদ পাত্র অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকা সহ ছাত্র ছাত্রীদের কে নিয়ে কবিগুরুর যাত্রা পথে দাঁড়িয়ে ফুল ছুড়ে সংবর্ধনা দিয়েছিলেন।
কবিগুরু পদধূলি পেয়ে ইংরেজ সরকার ১৯৩৩ সালে সরকারি ভাবে একমাত্র এবং ক্যানিং এলাকায় সর্বপ্রথম ডেভিড সেশুন স্কুল কে সরকারী ভাবে স্বীকৃতি দেয়।
বিদ্যালয়ে সেই ঐতিহাসিক ভাবধারা অক্ষুন্ন ভাবে আজও বিরাজমান।
উল্লেখ্য এই ডেভিড সেশুন উচ্চমাধ্যমি হাইস্কুলে বেশ কিছুদিন প্রধান শিক্ষক পদ শূণ্য হয়ে পড়েছিল। গত ১৮ জুলাই প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব ভার গ্রহন করেন কৃষ্ণ কুমার ভকত।
প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব ভার নেওয়ার পর থেকেই বিদ্যালয়ে সেই ঐতিহাসিক ঐতিহ্য কে বজায় রাখার জন্য স্কুলের ছাত্র ছাত্রী,শিক্ষক শিক্ষিকা এবং স্কুল পরিচালন সমিতির সদস্যদের একত্রিত করে স্কুল সহ স্কুল লাগোয়া এলাকায় স্বচ্ছতা অভিযান শুরু করেন বুধবার সকালে।
এদিন সচ্ছতা অভিযানে নেমে বিদ্যালয় এলাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করেন।পাশাপাশি স্কুলের শিক্ষার মান উন্নয়ণ এবং স্বচ্ছ সবুজ পরিবেশ নিয়েও সচেতন করা হয়।
বিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণ কুমার ভকত বলেন “রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর এই বিদ্যালয়ে না আসলেও তাঁর পাদস্পর্শে ধন্য এবং ঐতিহাসিক সাক্ষ্য বহন করে চলেছে বিদ্যালয়ের একমাত্র যাতায়াতের রাস্তাটি।সেই ইতিহাস যাতে করে নোংরা আবর্জনায় মলিন হয়ে না পড়ে তার জন্য বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এমন স্বচ্ছতা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে”।অন্যদিকে বিদ্যালয়ের প্রবীণ শিক্ষক যাদব চন্দ্র বৈদ্য বলেন - ’”শিক্ষা আনে চেতনা, চেতনা আনে বিপ্লব,আর বিপ্লব থেকে আসে স্বাধীনতা। যাতে করে আগামী দিনে শিক্ষার মধ্যে দিয়ে ইতিহাস কে ধরে রাখা এবং স্বচ্ছতা অভিযানের বিপ্লব সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে পারি তার জন্য বিদ্যালয় থেকে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়ে। এবং আগামী দিনে বৃক্ষরোপণ সহ আরো অন্যান্য কর্মীসূচি গ্রহণ করা হয়েছে ।”