পঞ্চায়েত ভোটের আগেই গোসাবাতে উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র। ধৃত চার দুষ্কৃতী
নুরসেলিম লস্কর, গোসাবা : দুয়ারে কড়া নাড়ছে পঞ্চায়েত নির্বাচন আর ঠিক তার আগেই গোসাবা থানার বেলতলী কামাখ্যাপুর এলাকা থেকে সোমবার রাত্রে আগ্নেয়াস্ত্র সহ চার দুষ্কৃতীকে আটক করে গোসাবা থানার পুলিশ। সোমবার রাত্রে গোসাবা থানার পুলিশ এক গোপন সূত্রে খবর পায় যে, কয়েকজন অজ্ঞাত দুর্বত্ত যুবক দুটি মটোর সাইকেলে আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদে স্বসজ্জিত হয়ে কামাখ্যাপুর এলাকায় কিছু অজানা অপরাধমূলক উদ্দেশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সেই খবর পেয়ে গোসাবা থানার পুলিশ কামাখ্যাপুরের আসার পথে দেখে যে,নগেনের মোড়ের কাছে দুটি মটোরবাইকে চড়ে চার আরোহী বেলতলীর দিকে আসছে এমন সময় ঐ দুষ্কৃতীদের বাইকের আলো পুলিশ গাড়ির উপরে পড়তেই তারা বাইক ঘুরিয়ে দিক পরিবর্তন করে পালানোর চেষ্টা করে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তাদের পিছনে ধাওয়া করে ঐ দুটি মটোরবাইক,আগ্নেয়াস্ত্রসহ চার দুষ্কৃতিকে ধরে ফেলতে সক্ষম হয় গোসাবা থানার পুলিশ।আর এবিষয়ে গোসাবা থানার পক্ষ থেকে জানানো হয় যে,ঐ চার দুষ্কৃতির বিরুদ্ধে এতিমধ্যে অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে এবং এই দুষ্কৃতীদের সঙ্গে কোনরকম রাজনৈতিক যোগ বা মদত আছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এছাড়াও এই আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার কে কেন্দ্র করে গোসাবার রাজনৈতিক হাওয়াও বেশ উত্তাপ ছড়িয়েছে।যেমন এবিষয়ে বিজেপি নেতা বিকাশ সরদার বলেন,’ পঞ্চায়েত ভোটের আগেই বিভিন্ন এলাকায় এভাবে অশান্তি ও গন্ডগোল পাকিয়ে সাধারণ মানুষের মনে ভয়ের সৃষ্টি করতে চাইছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তিনি আরো বলেন যে, বাম জামানার পর থেকে শাসক দল বাংলার শিক্ষা, সংস্কৃতির ভাব ধারাকে বিসর্জন দিয়ে এখন সম্পূর্ণ রাজ্যটাকে দুয়ারে আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা ও চুরির মতো নয়া শিল্পে পরিণত করেছে। আর যার ফল সাধারণ মানুষ আগামী পঞ্চায়েত ভোট থেকে শুরু করে সামনের নির্বাচন গুলিতে বুঝিয়ে দেবে শাসক দল তৃণমূলকে “।
আর এবিষয়ে বিজেপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দল গুলির আনা অভিযোগ কে অস্বীকার করে গোসাবা বিধানসভার শাসক দলের বিধায়ক সুব্রত মন্ডল বলেন, “আমি এই ঘটনা শোনার পর পুলিশ কে বলেছি, ঐ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে। আর এরকম সমাজ বিরোধীদের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কোন যোগ থাকতে পারে না। আমাদের যোগ, সংযোগ সব সাধারণ মানুষের সঙ্গে। সেটা আপনারা আগামী নির্বাচন গুলিতে দেখতে পাবেন “।