সুন্দরবনের উদ্বাস্তু কলোনী পরিদর্শনে রাজ্য উদ্বাস্তু উন্নয়ন সেলের চেয়ারম্যান

 

নুরসেলিম লস্কর ও পলাশ তরফদার

ঝড়খালি : দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রত্যন্ত সুন্দরবনের ঝড়খালির বিভিন্ন উদ্বাস্তু কলোনী পরিদর্শন করলের রাজ্য ভূমি ও ভূমি সংস্কার এবং উদ্বাস্তু ত্রাণ ও পুনর্বাসন দপ্তরের চেয়ারম্যান রঞ্জিত সরকার। দীর্ঘদিন ধরে সুন্দরবনের বিভিন্ন কলোনীর সাধারণ মানুষের বিভিন্ন দাবিদবার আর্জি তাঁর কাছে আসছিলো। যেমন ঝড়খালির মৎসজীবি সমবায় কলোনীর ৯৩টি পরিবার বার বার অভিযোগ জানাচ্ছিলেন যে,যেখানে তাঁদের আশপাশের সমস্ত কলোনীর বাসিন্দারা আরআর এর সিডিউল অনুসারে কেউ ৭বিঘা তো কেউ আবার ৯বিঘা পর্যন্ত জমি নিয়ে বসে আছে সেখানে তারা মাত্র ১০কাটা করে জমি পেলেও বাকি চাষের জমি পাচ্ছে না। সেই সঙ্গে তাদের কলোনীতে রাস্তা ঘাটেরও তেমন কোন উন্নয়ন হচ্ছে না।২০১৯-২০অর্থে বর্ষে একটি রাস্তার কাজ শুরু হলেও তার কাজ আজও সম্পূর্ণ হয়নি। আর এরকম শত অভাব অভিযোগ পেয়ে শুক্রবার স্বরজমিনে সুন্দরবনের উদ্বাস্তু কলোনী গুলি পরিদর্শনে করতে দেখা গেল রাজ্য ভূমি ও ভূমি সংস্কার এবং উদ্বাস্তু ত্রাণ ও পুনর্বাসন দপ্তরের চেয়ারম্যান রঞ্জিত সরকার কে।

     

দেশ ভাগের পর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান তথা বর্তমান বাংলাদেশ থেকে আগত শরণার্থীদের আগমন ভারতের ইতিহাসে একটি বড়ো অধ্যায়।তার পর এই উদ্বাস্তু পরিবার গুলির জন্য সরকার জমি অধিগ্রহণ ও জমি ক্রয়, বায়াননামা প্রকল্প, কৃষি, গৃহনির্মাণ, ছোট বাণিজ্য, পাশাপাশি শিক্ষামূলক ও চিকিৎসা প্রশিক্ষণ এবং কর্মসংস্থানের সুবিধাসহ বিভিন্ন প্রকল্প অনুমোদিত করেছে। তাহলে কেন এখনো বঞ্চিত সুন্দরবনের এই উদ্বাস্তু পরিবার গুলি? সেই প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।

       

আর রাজ্য ভূমি ও ভূমি সংস্কার এবং উদ্বাস্তু ত্রাণ ও পুনর্বাসন দপ্তরের চেয়ারম্যান রঞ্জিত সরকারের এই পরিদর্শনের পর বললেন , ‘ আমরা এখানে এসে আজ দুটি কলোনী পরিদর্শন করলাম।এখনকার সাধারণ মানুষদের সাথে কথা বললাম তাদের সুবিধা অসুবিধার কথা শুনলাম। তাদের এখনো কিছু জায়গার ও রাস্তার সমস্যা আছে তাও দেখলাম। আর আমি আগামী কালকেও আরও কয়েকটি উদ্বাস্তু কলোনী পরিদর্শন করবো এবং ওদের সমস্ত সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করবো। এতিমধ্যে আমরা SDO, BLRO সহ আমাদের ডিপারমেন্ট কেও জানিয়েছি আশাকরছি খুব তাড়াতাড়ি ওদের সমস্ত সমস্যা মিটে যাবে বলে ‘।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন