হরিণের চামড়া ও মাংস নিয়ে গ্রেপ্তার চোরাশিকারি
সুন্দরবন টিভি, কাকদ্বীপ: সুন্দরবনের জঙ্গলে হরিণ হত্যার ঘটনা ফের প্রকাশ্যে এল। গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পাথরপ্রতিমার রামগঙ্গা ঘাট এলাকা থেকে এক চোরাশিকারিকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করল বন দপ্তরের রামগঙ্গা রেঞ্জের বনকর্মীরা। ধৃত তপন দাস স্থানীয় বরদাপুর গ্রামের বাসিন্দা।
বন দপ্তরের সূত্রে জানা গেছে, ধৃতের কাছ থেকে ২৭ কেজি মাংস এবং একটি হরিণের চামড়া উদ্ধার করা হয়েছে। তপন দাসের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনের একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাকে কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
ধৃত তপন দাস আদালতে দাবি করেছে, উদ্ধার হওয়া মাংস শূকরের, তবে চামড়াটি যে হরিণের, তা স্বীকার করেছে। চামড়াটি সে আদিবাসীদের কাছ থেকে পেয়েছে বলেও জানিয়েছে। বন দপ্তর জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া মাংস ও চামড়ার পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হবে।
সম্প্রতি পাথরপ্রতিমার ভগবতপুর বিট অফিসের বনকর্মীরা হরিণ ধরার ফাঁদ ও হরিণের মাংস-সহ আরও দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছিলেন। এরপর থেকেই সুন্দরবনের জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় বন দপ্তর নজরদারি বাড়িয়েছে। বন দপ্তরের কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আরও সতর্ক থাকার।
কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতের আইনজীবী সব্যসাচী দাস বলেন, “ধৃত ব্যক্তি হরিণ মেরে তার মাংস এবং চামড়া পাচার করছিল। বন দপ্তরের তৎপরতায় তাকে হাতেনাতে ধরা সম্ভব হয়েছে।”
শীতের মরশুম শুরু হতেই সুন্দরবনে চোরাশিকারি এবং পাচারকারীদের তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলা বন দপ্তর রেঞ্জ অফিসার, বিট অফিসার এবং বনকর্মীদের নজরদারি আরও বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে। বন দপ্তর জানিয়েছে, সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে তারা আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।