নুরসেলিম লস্কর,বাসন্তী : শীতের মরশুম শুরু হতে না হতেই সুন্দরবনে বাড়ছে পর্যটকদের ভিড়। এই কয়েকমাস দেশ-বিদেশ থেকে আসা পর্যটক দের এখন প্রথম গন্তব্য স্থল হয়ে উঠছে সুন্দরবন। কারণ,সুন্দরবনের মায়াবী পরিবেশ সঙ্গে উপরি পাওনা হলো সুন্দরবনের বিখ্যাত রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার বা দক্ষিণ রায় দর্শন। আর আগামী ২৭শে নভেম্বর থেকে সুন্দরবনে শুরু হতে চলেছে সেই বিখ্যাত রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার বা বাঘ গণনার কাজ। বৃহস্পতিবার সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প কর্তৃপক্ষের অধীনে সজনেখালি রেঞ্জ অফিসে বনকর্মীদের প্রশিক্ষণ শেষে বনদপ্তরের তরফে একথা জানানো হয়েছে।বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের পাশাপাশি লাগোয়া দক্ষিণ ২৪ পরগনার বনভূমি গুলিতে হবে এই বাঘ সুমারির কাজ। তবে, প্রথম পর্যায়ে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা বনবিভাগের নির্বাচিত কয়েকটি অংশে ট্র্যাপ ক্যামেরা বসিয়ে ও পরবর্তী পর্যায়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনা বনবিভাগের অন্তর্গত অন্যান্য বাদাবন অঞ্চল গুলিতেও এই ট্র্যাপ ক্যামেরা বসিয়ে চলবে গণনার কাজ। আর এই গণনা কাজের প্রশিক্ষণের জন্য এদিন সুন্দরবনের সজনেখালিতে বনকর্মীদের নিয়ে এক প্রশিক্ষণ শিবিরেরও আয়োজন করা হয়েছিল সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা বনবিভাগের পক্ষ থেকে। যেখানে যোগ দিয়েছেন প্রায় ৫০জন বনকর্মী এবং সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বনবিভাগের আধিকারিকরা।
আর সুন্দরবনের এই বাঘ গণনার বিষয়ে জানতে চাইলে এদিন সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ফিল্ড ডিরেক্টর জোন্স জাস্টিন বলেন, ‘‘ব্যাঘ্রপ্রকল্প এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা বনবিভাগের অন্তর্গত বনাঞ্চলে মোট ৭৩২টি জায়গায় ১,৪৬৪টি ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানো হবে। প্রথম দফায় ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানো হবে ২৭ নভেম্বর। তা বসানো থাকবে ৩৫ দিন। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত টানা ছবি ওঠার পর ক্যামেরাগুলি তুলে আনা হবে জঙ্গল থেকে।’’ তার পর আবার , দ্বিতীয় দফায় ফেব্রুয়ারির ১৪ তারিখে বাঘের সন্ধান পেতে পাতা হবে ক্যামেরার ‘ফাঁদ’।তার পর সমস্ত ক্যামেরার চূড়ান্ত পর্বের প্রতিটি ছবি মিলিয়ে শরীরের ডোরাকাটা দাগের ধরণ দেখে প্রত্যেক বাঘ কে আলাদা আলাদা ভাবে শনাক্ত করা হবে। তার পর জানা যাবে সুন্দরবনে প্রকৃত বাঘের সংখ্যা “।
প্রসঙ্গত, গত বার বাঘ সুমারিতে সুন্দরবনে মোট ১০১টি বাঘের উপস্থিতি চিহ্নিত হয়েছিল।