পরিবেশ সচেতনতার বার্তা নিয়ে ৮০০ কিলোমিটার পথ পায়ে হাঁটা শুরু করলেন ওড়িষ্যার এই যুবক

পরিবেশ সচেতনতার বার্তা নিয়ে ৮০০ কিলোমিটার পথ পায়ে হাঁটা শুরু করলেন  ওড়িষ্যার এই যুবক 

প্রশান্ত সরকার – প্রচন্ড গরমে আপনি আমি যখন একটু শীতল বাতাসের খোঁজে আশ্রয় খোঁজার চেষ্টা করছি বা নিজেকে সুস্থ রাখার চেষ্টা করছি সেই সময় দাঁড়িয়ে প্রচন্ড রৌদ্রের মধ্যে ৮০০ কিলোমিটার পথ পায়ে হাঁটা শুরু করলেন ওড়িষ্যার এক যুবক । যেভাবে পরিবেশে দিনের পর দিন গরম বেড়ে চলেছে , প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটে চলেছে, অস্থির হয়ে পড়েছে প্রকৃতি যে কোন মুহূর্তে ঘটছে  প্রাকৃতিক দুর্যোগ। কারণ প্রকৃতির বিরুদ্ধে মানুষ যেভাবে কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে  এই ভাবে যদি আগামী দিনেও চলতে থাকে তাহলে আমাদের বেঁচে থাকা দায় । এই যুবক পরিবেশকে ধ্বংশের হাত থেকে রক্ষা করা ও সুন্দর পরিবেশ গড়ে তোলার সচেতনতার বার্তা নিয়ে পায়ে হাঁটা শুরু করেন । গত ৪ ফেব্রুয়ারি  ওড়িষ্যার গঞ্জাম জেলার সোনাপুর গ্রাম থেকে  জলেন্দ্র মহালি  পায়ে হাঁটা শুরু করেন । 

এই যুবকের লক্ষ্য গঞ্জাম, পুরী, জগৎসিংহপুর, কেন্দ্রপাড়া এবং ভদ্রক  ৫টি জেলার উপর দিয়ে পায়ে হেঁটে বালেশ্বর জেলার উদয়পুর পর্যন্ত  পৌঁছানোর । এই লম্বা পথ পায়ে হাঁটতে তার সময় লাগবে ৬৮ দিন এবং সব মিলিয়ে তিনি প্রায় ৮০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করবেন । তার এই উদ্দ্যোগের একটি নামকরণ করেছেন “ইকো ওয়ালক ” । এই যুবক সুন্দরবন টিভিকে জানান –  ছোট থেকে তার খুব ইচ্ছা গাছ লাগানো্র । তাই তিনি সময় পেলে গাছ লাগানোর কাজ করেন । তিনি তার এলাকাতে সাগরের পাড়ে একটি ছোট্ট ম্যানগ্রোভের জঙ্গল গড়ে তুলেছেন ।  এবার এই যুবক  জলেন্দ্র মহলি পায়ে হেটে  নজির গড়তে শুরু করলেন । জলেন্দ্র মহলী এখনো পর্যন্ত প্রায় ৬০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে চলে এসেছেন বালেশ্বর জেলায় । 

এই চলার পথে তিনি যেমন দুহাত দিয়ে সাগরের পাড়ে ও গ্রামগঞ্জে পড়ে থাকা প্লাস্টিক  কুড়াচ্ছেন আবার অন্যদিকে চলতি মানুষ থেকে শুরু করে  স্কুল , কলেজ , ক্লাব / সমিতি বা বিভিন্ন কমিউনিটির মানুষদের সাথে তার এই উদ্যোগের কথা শেয়ার করছেন ।  তিনি এখনো পর্যন্ত প্রায় ৩০০ টির বেশি সংস্থার সাথে পরিবেশ নিয়ে সচেতনতার শিবিরে অংশ গ্রহণ করেছেন । এদের মধ্যে বেশিরভাগ স্কুল , কলেজ , ক্লাব সহ বিভিন্ন সংগঠন আছে । মাঝেমধ্যে তার একলা পথ চলার পথে গ্রামের বিভিন্ন মানুষ সামিল হয়ে তার সাথে পথ চলতে ও  প্লাস্টিক কুড়াতে শুরু করেছেন । ৮০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম হওয়ার পর তিনি একটি প্রতিবেদন তৈরি করে ওড়িষ্যা সরকার ও ভারত সরকারকে জমা করবেন । আগামীদিনের সবুজ পৃথীবি গড়ে তোলার লক্ষ্যে তার উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছন অনেক বিশিষ্ট মানুষেরা । 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন