রায়দিঘী কাশিনগর রবীন্দ্র ভবনে ক্যারাটে চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারীদের সম্মাননা
বাইজিদ মণ্ডল, ডায়মন্ড হারবার
রায়দিঘী কাশিনগর রবীন্দ্র ভবনে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল ক্যারাটে চ্যাম্পিয়নশিপে দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রত্যন্ত গ্রামের কিছু প্রতিভাবান ছেলেরা নজরকাড়া সাফল্য অর্জন করেছে। এই প্রতিযোগিতায় নেপাল, বাংলাদেশ ও ভারতের প্রায় ২০০ জন প্রতিযোগী অংশ নেন। তাদের মধ্যে জুনিয়ার ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান অধিকার করে ইমরান শেখ, দ্বিতীয় স্থান রোহান মোল্লা, এবং তৃতীয় স্থান আকাশ সাহা। এই অসাধারণ সাফল্যের জন্য তাদেরকে পুষ্পস্তবক, উত্তরীয় ও মিষ্টিমুখ করিয়ে বরণ করা হয়েছে।প্রত্যন্ত অঞ্চলের এই নাবালক ছেলেরা, যারা অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের সদস্য, তাদের পরিবার এবং খেলার সঙ্গীরা বাড়ি ফেরার পর তাদেরকে সম্মাননা জানায়। এদিন ডায়মন্ড হারবার ১ নম্বর ব্লক মৎসের কর্মাধ্যক্ষ রুহুল আমিন এবং উস্থি স্মার্ট ক্যারাটে কোচিং সেন্টারের পক্ষ থেকে তাদেরকে বিশেষভাবে সম্মানিত করা হয়।ইমরান শেখ, যিনি এই প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে গোল্ড মেডেল পেয়েছেন, বলেন, “আগামি দিনে আমরা ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়ে বিদেশে গিয়ে আরও পদক জয় করে আনতে চাই।” সেনসি এস. এম. অসীম ইকবাল, যিনি তাদের প্রশিক্ষক, জানান, গ্রামে প্রচুর ক্যারাটে প্রতিভা রয়েছে এবং সঠিক সুযোগ সুবিধা পেলে এই ছেলেমেয়েরা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দেশের গৌরব বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবে।
সেনসি আরও বলেন, “আমরা দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে এই গ্রামীণ এলাকার পিছিয়ে পড়া ছেলে-মেয়েদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। তাদের এই সাফল্যের জন্য আমরা গর্বিত। তবে বিদেশে খেলার জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন, এবং আমরা চাই এদের পাশে সরকার বা সমাজের বিত্তবানরা দাঁড়াক।”
ইমরানের পিতা জাহিদুল শেখ জানান, “ছেলের সাফল্যে আমরা অত্যন্ত খুশি। বিদেশের মাটিতে সে সোনা জিতে আসুক, এটাই আমার বড়ো স্বপ্ন। তবে আমরা দিনমজুর, আমাদের অর্থনৈতিক সামর্থ্য নেই। যদি কেউ আর্থিক সাহায্য করেন, তবে সেই স্বপ্ন পূরণ হতে পারে।” ব্লক মৎসের কর্মাধ্যক্ষ রুহুল আমিন জানান, এই দরিদ্র পরিবারের প্রতিভাবান ছেলেরা অর্থের অভাবে যাতে থেমে না যায়, তার জন্য সরকার ও দলের নেতৃত্বের কাছ থেকে সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন।