প্রশান্ত সরকার , গোসাবা : কৃষকদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে ‘বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান’। এই অভিযানের অঙ্গ হিসেবে গত ১১ জুন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার গোসাবা ব্লকের মনমথনগর গ্রামে এক বিশেষ প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করে সোনারপুর শস্য শ্যামলা কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র।শিবিরে উপস্থিত ছিলেন কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের বিজ্ঞানী ও আধিকারিকরা। তারা কৃষকদের সঙ্গে সরাসরি মাঠে বসে কথা বলেন, তাদের সমস্যার কথা শোনেন এবং বাস্তবভিত্তিক সমাধানের পথ দেখান। এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য ছিল কৃষকদের কাছে সরকারের বিভিন্ন কৃষি সংক্রান্ত সুযোগ-সুবিধা, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ও কৃষিকাজে টেকসই পদ্ধতির প্রচার করা। বিশেষভাবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিজ্ঞানী ডঃ স্বাগত ঘোষ ও ডঃ অনুপম মুখার্জি । ডঃ স্বাগত ঘোষ তিনি কৃষকদের আধুনিক চাষাবাদের কৌশল, যেমন– মাটি পরীক্ষা, জৈব সার ব্যবহার, শস্য পর্যায়ক্রম, ক্ষতিকর কীট নিয়ন্ত্রণ এবং জল সংরক্ষণের মতো বিষয়গুলিতে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি জানান, “বর্তমান কৃষিকাজে বিজ্ঞানের সাহায্য না নিলে উৎপাদন ব্যয় বাড়বে আর লাভ কমে যাবে। তাই সময় এসেছে প্রযুক্তিনির্ভর কৃষিতে অভ্যস্ত হওয়ার।” শিবিরে জানানো হয়, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কৃষকদের জন্য বিভিন্ন সহায়তা প্রকল্প চালু রয়েছে। কৃষকরা যাতে সহজে এই সুবিধাগুলি পেতে পারেন, তার জন্য কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সহযোগিতার আশ্বাসও দেওয়া হয়।অনুষ্ঠানে স্থানীয় বহু কৃষক অংশগ্রহণ করেন।
তারা জানান, এই ধরনের শিবিরে অংশ নিয়ে তারা নতুন কিছু শিখতে পারছেন এবং আগের থেকে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী বোধ করছেন।সাম্প্রতিক জলবায়ু পরিবর্তন, খরার প্রবণতা ও নদীভাঙনের কারণে সুন্দরবনের কৃষকরা বহু সমস্যার মুখে পড়ছেন। সেই প্রেক্ষিতে এমন প্রশিক্ষণমূলক শিবির ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক।বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযানের মাধ্যমে কৃষকদের মাঝে প্রযুক্তিনির্ভর, পরিবেশবান্ধব ও লাভজনক কৃষিকাজের বার্তা ছড়িয়ে পড়ছে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত গ্রামেও।