মরশুমের প্রথম ইলিশ ভর্তির ট্রলার ঢুকলো বন্দরে ফুটলো মৎস্যজীবীদের মুখে চওড়া হাসি
নিজস্ব প্রতিবেদক:কাকদ্বীপ
ইলিশ মাছ ধরার উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর গভীর সমুদ্রে ইলিশের সন্ধানে পাড়ি দিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন উপকূল তীরবর্তী এলাকার প্রায় সাড়ে আট হাজার ট্রলার। ১৪ই জুনের মধ্যরাতে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা উঠে গিয়েছে মৎস্য দপ্তরের পক্ষ থেকে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার জন্য মৎস্যজীবীদের অনুমতিও দেওয়া হয়েছে। গভীর সমুদ্রে ইলিশ ধরতে গিয়ে এবার মৎস্যজীবীদের মুখে চওড়া হাসি ফুটলো। ইলিশ বোঝাই ট্রলার ফিরলো মৎস্য বন্দরে। নামখানা বন্দরে ১৫ থেকে ২০ টি ট্রলার ইলিশ মাছ নিয়ে ইতিমধ্যেই বন্দরে ফিরেছে। প্রতিটি ট্রলারে প্রায় ৩০ থেকে ৫০ ক্যারেট ইলিশ মাছ রয়েছে। ইলিশ মাছের ওজন ৮০০ থেকে এক কেজি। আনুমানিক ২৫ থেকে ৩০ টন ইলিশ মাছ এখনো পর্যন্ত নামখানা মৎস্য বন্দরে এসে পৌঁছেছে। এ বিষয়ে কাকদ্বীপ ফিশারম্যান ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি তিনি জানান, ইতিমধ্যে সরকারি নিষেধাজ্ঞা উঠে গিয়েছে মাছ ধরতে বেরিয়ে পড়েছে মৎস্যজীবীরা। একদিনের মাছ ধরাতে মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়েছে ইলিশ কমবেশি প্রতিটি ট্রলারেই ইলিশের দেখা মিলেছে। সোমবার নামখানা মৎস্য বন্দরে ইলিশ ভর্তির ট্রলার গুলি এসেছে। আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে আগাম মৌসুমী বায়ু রাজ্যে প্রবেশ করার কারণে ভালো ইলিশ মাছের দেখা মিলেছে। যদি এইরকম আবহাওয়া থাকে তাহলে আগামী দিনে আরো বেশি ইলিশ মাছ পাওয়া যাবে। গত বছর তেমন অর্থে ইলিশ মাছের দেখা মেলেনি এর ফলে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে ট্রলার মালিকেরা। কিন্তু এবছর মরশুমের শুরুতেই ইলিশ মাছের দেখা মিলছে, আগামী দিনেও আরো বেশি ইলিশ মাছ হবে। ইলিশ মাছ গুলির ওজন ৬০০ থেকে ৮০০ গ্রাম পর্যন্ত। এই ইলিশ মাছ গুলির ডায়মন্ড হারবার নগেন্দ্র বাজার মৎস্য আড়ৎতে আনুমানিক ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হবে। এমনই যদি আবহাওয়া থাকে তাহলে বাঙালির রসনা তৃপ্তিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ইলিশের জোগান মিলবে। দীপক দাস নামে এক মৎস্যজীবী তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে আমরা ইলিশ ধরতে গিয়েছিলাম। মোটামুটি ২৫ থেকে ৩০ ক্যারেট মাছ আমরা পেয়েছি। সমুদ্রে মাছ রয়েছে এবং সমুদ্র এখন নিম্নচাপের কারণে উত্তাল হয়ে গিয়েছে বড় বড় ঢেউ। কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে আমরা মাছ ধরে নিয়ে এসেছি। আগামী দিনে মা গঙ্গা যদি মুখ তুলে তাকায় তাহলে ভালো ইলিশ মাছ পাওয়া যাবে। অপেক্ষার অবসান এবার ভোজন রসিক বাঙ্গালীদের পাতে পড়বে রূপলি শস্য।