দুমুঠো ভাতের জন্য বাঘে নিয়ে গেলো তাজা প্রান, ঝড়খালীর মৎস্যজীবী কৃষ্ণপদ মণ্ডলের।

দুমুঠো ভাতের জন্য বাঘে নিয়ে গেলো তাজা প্রান, ঝড়খালীর মৎস্যজীবী কৃষ্ণপদ মণ্ডলের।


বিজ্ঞাপন - আপনি কি বেকার?  আপনার স্মার্ট ফোন আছে? তাহলে আপনি প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা আয় করুন নিজের মোবাইলে বিজ্ঞাপন দেখে। কোনো ডিপোজিট লাগেনা। এখুনি যুক্ত হতে ক্লিক করুন click here... 





নিজস্ব প্রতিনিধি,  ঝড়খালী, ২ মার্চঃ কথায় বলে ধরিবো মাছ খাইবো সুখে।সুখের স্বপ্ন দেখেছিল দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার বাসন্তী ব্লকের ঝড়খালী অঞ্চলের ত্রিদিব নগর গ্রামের বাসিন্দা কৃষ্ণপদ মণ্ডল (৫৫)। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার মা বনবিবির নাম নিয়ে দুই সঙ্গী বিরেন্দ্র মণ্ডল ও শঙ্কর সরকারকে নিয়ে সুন্দরবনের ন-বাকির গাড়াল নদীর খাঁড়িতে কাঁকড়া ধরতে। আজ ২ মার্চ  সকালে কাঁকড়া ধরার প্রস্তুতি চলছে খাঁড়ির ভিতর হঠাৎ জঙ্গলের ভিতর থেকে বাঘ লাফিয়ে পরে নৌকার উপর।  কৃষ্ণপদ ছিলো নৌকার সামনে বসে, চোখের পলকে বাঘ তুলে নিয়ে গেলো কৃষ্ণপদ কে। সঙ্গীরা চেষ্টা করে বাঁচানোর কিন্তু কোনো ভাবে বাঁচাতে পারেনি। সঙ্গী বিরেন্দ্র পা ধরে টানাটানি করেছেন গায়ের শক্তিভরে তাতেও শেষ রক্ষা হইনি।জীবন সংগ্রামের লড়াইয়ে কেবল মাত্র দুমুঠো ভাতের জন্য তাজা প্রান ছিনিয়ে নিল নর খেকো বনরাজ। কৃষ্ণপদর মৃত্যু সংবাদ শুনে স্ত্রী সন্ধ্যা মণ্ডল কান্নায় ভেঙে পড়েন। গ্রাম প্রতিবেশী ও কাছের আত্ত্বিয় স্বজনদের মধ্যে নেমে আসে শোকের ছায়া।কৃষ্ণপদ মণ্ডলের দুই ছেলে ও এক মেয়ে প্রত্যেকের বিয়ে হয়ে গেছে। দুই ছেলে অভাবের তারনায় ভীনরাজ্য কেরালায় গেছেন জোগারের কাজ করতে। কৃষ্ণপদর রোজগারে কোনো রকম চলতো সংসার। এবার ভেসে গেলো সংসার টা।কৃষ্ণপদ দের বৈধ অনুমতি ছিলো। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন কে জানিয়েছেন। ঝড়খালী গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান দিলীপ মণ্ডল জানান ঐ পরিবার যাতে সরকারী সমস্ত সুযোগ সুবিধা পায় তার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন