ক্যানিং এ জল জঙ্গলে ক্রেতা সেজে ফিল্মী কায়দায় গ্রেফতার অস্ত্র ব্যবসায়ী, উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র সহ কার্তুজ।
বিজ্ঞাপন - আপনি কি বেকার? আপনার স্মার্ট ফোন আছে? তাহলে আপনি প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা আয় করুন নিজের মোবাইলে বিজ্ঞাপন দেখে। কোনো ডিপোজিট লাগেনা। এখুনি যুক্ত হতে ক্লিক করুন click here...
বিজ্ঞাপন - আপনি কি বেকার? আপনার স্মার্ট ফোন আছে? তাহলে আপনি প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা আয় করুন নিজের মোবাইলে বিজ্ঞাপন দেখে। কোনো ডিপোজিট লাগেনা। এখুনি যুক্ত হতে ক্লিক করুন click here...
নিজস্ব প্রতিনিধি।জল-জঙ্গলের মাঝে বাড়ি।চারিদিকে ফাঁকা এলাকা।যে কোন মানুষজন এখানে ঢুকতে ভয় পাবে।আর এই জল জঙ্গলের মাঝে দীর্ঘ দিন ধরে গোপনে চলছিল অস্ত্রের রমরমা ব্যবসা।এমনি তথ্য উঠে আসে বারুইপুর জেলা পুলিশের কাছে।জেলা পুলিশের নির্দেশে রণকৌশল তৈরী করে ক্যানিং থানা।দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনের ক্যানিং-১ ব্লকের ইটখোলা অঞ্চলের মধুখালি গ্রামের বাসিন্দা সিদ্দিক মোল্লা।আর তার বাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে বেলেডোনা নদী।এই নদীটি গিয়ে মিশেছে মাতলা নদীর সঙ্গে।নদীর পাড়ে ঘন ম্যানগ্রোভ জঙ্গল।জল জঙ্গলে বসে দীর্ঘ দিন ধরে গোপনে অস্ত্রের ব্যবসা চালাছিল।বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ক্যানিং থানার এস আই সামায়ন বাসার ক্রেতা সেজে সঙ্গে এক মহিলা কনস্টেবল জয়শ্রী মন্ডল সহ আরও ৫ জন পুলিশ কর্মী নিয়ে ফিল্মী কায়দায় পাকড়াও করে অস্ত্র ব্যবসায়ী সিদ্দিক মোল্লা কে।স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ক্যানিং থানার এস আই সামায়ন বাসার একজন টিপার কে সঙ্গে নিয়ে ক্রেতা সেজে অস্ত্র কেনার জন্য অস্ত্র ব্যবসায়ী সিদ্দিক মোল্লার সঙ্গে কথা বলে কিছুদিন আগে।কথা বলে বেশ কিছু টাকা অ্যাডবান্স দেয় অস্ত্র ব্যবসায়ী কে।সিদ্দিকী মোল্লা আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ দেওয়ার কথা বলে গত ২৯ মার্চ রাতে।তাই যথা সময়ে ক্যানিং থানার এস আই সামায়ন বাসার ক্রেতা সেজে একজন মহিলা কনস্টেবল ও ৫ জন পুলিশ কর্মী নিয়ে রওনা দেয়।রাতের অন্ধকারে জঙ্গলে পজিশন নিয়ে মহিলা পুলিশ সহ ৫ জন পুলিশ কর্মী।
নদীতে জোয়ারে জল ঢুকছে।চারিদিকে সুনশান থমথমে।নদীর একা দাঁড়িয়ে আছে ক্রেতা সেজে এস আই অন্ধকারে।কিছুক্ষণ পর আসে অস্ত্র ব্যবসায়ী সিদ্দিক মোল্লা আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ নিয়ে।কিছুক্ষণ কথা বলার পর অস্ত্র ব্যবসায়ী বুঝতে পারে পুলিশের লোক ক্রেতা সেজে অস্ত্র কিনতে এসেছে।সঙ্গে সঙ্গে সিদ্দিক মোল্লা পালাতে যায়।সেই সময় এস আই সামায়ন বাসার সাহসের সঙ্গে এক ঝাঁটকা মারে।ঝাঁটকায় ছিঁটকে নদীর চড়ে পড়ে সিদ্দিক মোল্লা।চলে দুই জনের মধ্যে লড়াই।জঙ্গলে থাকা পুলিশ টিম সংকেত পেয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে পাকড়াও করে অস্ত্র ব্যবসায়ী সিদ্দিক মোল্লা কে।এদিকে জামিনের মোড়ে থাকা ক্যানিং থানার ও সি আর্শীষ দাসের নেতৃত্বে পুলিশ টিম খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে গ্রেফতার করে অস্ত্র ব্যবসায়ী সিদ্দিক মোল্লা কে।ধৃতের কাছ থেকে পুলিশ উদ্ধার করে ২ টি উন্নত মানের বড় একনালা বন্দুক,৩৩ রাউন্ড কার্তুজ।পুলিশ ধৃতের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে।যার কেস নম্বর ১৮০|১৮,তারিখ-২৯|৩|২০১৮,ইউ|সি ২৫ (১) (এ)(বি),২৭,৩৫,আই পি সি।এদিকে পুলিশ এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে।পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসে অস্ত্র ব্যবসায়ী সিদ্দিক মোল্লা জেলার বিভিন্ন এলাকায় এবং সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় অস্ত্র বিক্রি করছিল বাইরে থেকে অস্ত্র নিয়ে এসে।এই ব্যবসার সাথে আর কারা কারা জড়িত আছে এবং কাদের কাছে অস্ত্র বিক্রি করছিল সে বিষয়ে ধৃতকে জিঞ্জাসাবাদ করছে পুলিশ।এদিকে যে ভাবে ক্রেতা সেজে পুলিশ এক অস্ত্র ব্যবসায়ী কে পাকড়াও করলো ফিল্মী কায়দায়,তাতে এলাকায় ব্যাপক সাড়া পড়ে পুলিশের প্রশংসা নিয়ে।