দক্ষিণ ২৪পরগনার জেলা পরিষদ তৃণমূলের,তৃতীয়বার সভাধিপতি হলেন সামিমা সেখ

দক্ষিণ ২৪পরগনার জেলা পরিষদ তৃণমূলের,তৃতীয়বার সভাধিপতি হলেন সামিমা সেখ



নিজস্ব প্রতিনিধি|ডায়মন্ডহারবার|বুধবার দক্ষিণ ২৪পরগনার ডায়মন্ডহারবার রবীন্দ্র ভবনে জেলা পরিষদ গঠনে জেলা পরিষদের সভাধিপতি হলেন সামিমা সেখ এবং সহকারী সহ সভাধিপতি হলেন পূর্ণিমা হাজারি নস্কর।এই দিন কড়া নিরাপত্তা বলয়ে জেলা পরিষদের বোর্ড গঠন হয়।উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও,এস ডি ও শান্তনু বসু প্রমুখ।এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলার ৮৪ টি জেলা পরিষদের আসনের সব কটি আসনে জয় লাভ করে তৃণমূলের প্রার্থীরা।এদিন সমস্ত জয়ী প্রার্থীরা সভাধিপতি পদের জন্য সমর্থন করেন সামিমা সেখ এবং জেলার সহকারী সহ সভাধিপতি পদের জন্য পূর্ণিমা হাজারি নস্কর কে সমর্থন করে।

এই নিয়ে তৃতীয়বার এই পদে বসলেন সামিমা সেখ।ফলে তিনি হাট্রিক করলেন উন্নয়ন মূলক কাজের নিরিখে।রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আর্দশকে সামনে রেখে অক্লান্ত পরিশ্রম করে জেলা জুড়ে বিগত বছর গুলিতে সার্বিক উন্নয়ন মূলক কাজ করে গেছেন সামিমা সেখ।২০০৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে  রাজ্য ২ টি জেলা পরিষদ গঠন করে ছিল তৃণমূল।পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা।আর দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা পরিষদের সভাধিপতি হয়ে ছিলেন সামিমা সেখ।কাজের নিরিখে ২০১৩ পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই জেলা পরিষদ গঠন করেন তৃণমূল।তখনও জেলা পরিষদের সভাধিপতি হয় সামিমা সেখ এবং সহকারী সহ সভাধিপতি হয় শৈবাল লাহিড়ী।এবারে জেলা পরিষদের সভাধিপতি পদটি জেনারেল হয়।ফলে তৃতীয়বার এই পদে বসে হাট্রিক করলেন সামিমা সেখ।এদিন জেলা পরিষদের সভাধিপতি পদে সামিমা সেখ নির্বাচিত হয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে বলেন এই জয় মা মাটি মানুষের জয়।রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আর্দশকে সামনে রেখে সকলে নিয়ে জেলা জুড়ে আরও উন্নয়ন মূলক কাজ করতে হবে।ভাঙরে ২৮ হাজার কৃষকে দিয়ে সবজী চাষ করানো হচ্ছে।সেই সবজী বিদেশে যাচ্ছে।ফলে কৃষকরা আর্থিক দিক দিয়ে লাভবান হচ্ছে।এই জেলা কৃষি প্রধান জেলা।তাই কৃষি ও সেচের আরও বেশী করে উন্নয়ন করতে হবে।তিনি আরও বলেন এই জেলার মধ্যে ১৩ টি ব্লক সুন্দরবনের মধ্যে পড়ে।ফলে সুন্দরীনির মাধ্যমে মহিলাদের স্বনির্ভর করে তোলা হচ্ছে।ক্যানিং-১ ব্লকের মাতলা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে ক্যানিং মাতলা নদীর পাড়ে কেরলের মডেলে নারকেল গাছের চারা রোপন করা হচ্ছে ১০০ দিনের কাজে মাধ্যমে।এই মডেল কার্যকর হলে তা সর্বস্তরে ছড়িয়ে দেওয়া হবে।যেহেতু নারকেল একটি অর্থকারী ফসল।আর এই কাজ যারা করছে সেই সমস্ত বেনিফিসারিদের  বৃক্ষ পাট্রা দেওয়া হবে।ফলে গড়ে উঠবে কর্ম সংস্থান।ক্যানিং মাতলা নদীর সৌন্দর্য বাড়বে এবং সুন্দরবন পযটকদের আর্কষন বাড়বে।পাশাপাশি প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা হবে এবং ভূমিক্ষয় রোধে কাজ হবে।এদিন তৃণমূলের সমর্থক ও কর্মীদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতন।জেলা জুড়ে সবুজ আবিরে রাঙা হয়ে উঠেছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন