বাঘের ডেরায় যথাযথ ভাবে পালন সুন্দরবন দিবস, মাতলেন কচিকাঁচারা
নিজস্ব প্রতিনিধি|ক্যানিং|মঙ্গলবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাঘের ডেরায় উত্তর ২৪ পরগনার ৬ টি ব্লক দক্ষিণ ২৪ পরগনার ১৩ টি ব্লকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় এবং রাজ্যের সুন্দরবন উন্নয়ন বিষয়ক, সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদের উদ্যোগে এবং প্রতিটি ব্লকের সমিষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের করন,পঞ্চায়েত সমিতির আয়োজনে যথাযথ ভাবে পালন হচ্ছে সুন্দরবন দিবস।আর এই সুন্দরবন দিবসে মেতে উঠলেন কচিকাঁচারা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষজন।
এদিন কাকদ্বীপ ব্লকে সুন্দরবন দিবসের শুভ সূচনা করেন রাজ্যের সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা।রায়দিঘী বিধানসভা কেন্দ্র শুভ সূচনা করেন এই কেন্দ্রের বিধায়ক তথা অভিনেত্রী দেবশ্রী রায়।এক দিকে জঙ্গল আর অপর দিকে বাসস্থান মাঝখানে বয়ে গেছে নোনা জলের স্রোত বিদ্যাধরী,মাতলা,দুর্গা দুয়ানী,কালিন্দী,কাঁক শিয়ালি, খোলাপটুয়া ঢাকী,কয়রা,কাপোতক,আড় পাঙ্গাসিয়া প্রমূখ নামের নদী গুলি।সুন্দরবনের আগাধ অরণ্য অসংখ্য নদী সংস্থান এই অঞ্চলকে সর্বত্র ভীষণ ও ভীত করে রেখেছে।তবে তারও চেয়ে ভয়ঙ্কর করে রেখেছে জলে কুমির ডাঙ্গায় বাঘ।
আর সেই বাঘের ডেরায় পালন হচ্ছে সুন্দরবন দিবস।ক্যানিং-১ ব্লকে সকালে সুন্দরবন দিবসের উপলক্ষে প্রভাত ফেরি তে উঠে এল সুন্দরবনের কৃষ্টি-সংস্কৃতিক।আর মাতলেন কচিকাঁচারা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষজন।প্রভাত ফেরিতে উপস্থিত ছিলেন ক্যানিং পশ্চিম কেন্দ্রের বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল, ক্যানিং-১ বিডিও নীলাদ্রি শেখর দে প্রমুখ।গোসাবা ব্লকে স্থানীয় বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর প্রদীপ প্রজ্বলন করে সুন্দরবন দিবসের শুভ সূচনা করেন।পৃথিবীর বৃহত্তম ব-দ্বীপ সুন্দরবন।গঙ্গা ব্রহ্মপুত্রে মোহনা ২৫৩০০ বর্গ কিমি এলাকা জুড়ে সৃষ্টি করেছে সুন্দরবন।ভারত ভূ-খন্ডের সুন্দরবনের ১০২ টি দ্বীপের মধ্যে বর্তমান ৫৪ টি দ্বীপের জঙ্গল প্রায় সম্পূর্ণ হাসিল করে গড়ে উঠেছে মানুষের বসতি।তবে ৪৮ টি দ্বীপ সংরক্ষিত বনাঞ্চল হিসেবে নিজের অবস্থান ধরে রেখেছে রাখতে পেরেছে।পৃথিবীর নানা দেশে নানা জাতির বাঘ দেখতে পাওয়া যায়।কিন্তু সুন্দরবনের মত এমন দৃষ্টি নন্দন রয়েল বেঙ্গল টাইগার নেই।এদিন গোসাবা সুন্দরবন দিবস অনুষ্ঠানে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ফিল্ড ডিরেক্টর নিলাঞ্জন মল্লিক বলেন সুন্দরবনের মানুষকে বাঁচাতে হলে সুন্দরবনের নদী,জঙ্গল ও বন্যপ্রাণী কে বাঁচাতে হবে। সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে এখানকার মানুষজন উপকৃত হচ্ছে।বর্তমানে সুন্দরবনে প্রায় ২ লক্ষ পযটক আসে সুন্দরবনে।আর এই পযটক শিল্পে উপর জোর দেওয়া হয় তাহলে সুন্দরবনের মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতি ঘটবে।কাকদ্বীপে সুন্দরবন দিবসের শুভ সূচনা করে রাজ্যের সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ও অনুপ্রেরণায় সুন্দরবনের ১৯ টি ব্লকে যথাযথ ভাবে পালিত হচ্ছে সুন্দরবন দিবস।দুই দিন ব্যাপী চলবে এই সুন্দরবন দিবস।বর্তমানে সুন্দরবনে প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষের বসবাস।এক দিকে যেমন জল ও জঙ্গল অপর দিকে মানুষের বাসস্থান।রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে ও অনুপ্রেরণায় সুন্দরবন জুড়ে উন্নয়নের কর্মযঞ্জ চলছে।শিক্ষা স্বাস্থ্য, পানীয় জল,ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ,সেচ,রাস্তঘাট,কৃষি,পযটক শিল্প প্রমুখ উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে।পাশাপাশি কন্যাশ্রী প্রকল্প থেকে শুরু করে যুবশ্রী, সবুজশ্রী খাদ্য সাথি সহ একাধিক প্রকল্পের মাধ্যমে সাধারণ মানুষজন উপকৃত হচ্ছে।সুন্দরবন কে বাঁচাতে পারে সুন্দরবনের মানুষ।আগামী দিনে সুন্দরবনের ছেলে মেয়েরা সার্বিক দিক দিয়ে শুধু সুন্দরবন বা রাজ্য নয়, সারা দেশের এক নতুন পথ দেখাবে।যেখানে গড়ে উঠবে সর্ব ধর্মের এক মেল বন্ধনে।এদিন সাংস্কৃতিক মঞ্চগুলিতে সুন্দরবন বিষয়ে আলোচনা সভা, সংগীত,নাটক,নৃত্য, আবৃত্তি প্রমুখ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।কচিকাঁচা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতন।
নিজস্ব প্রতিনিধি|ক্যানিং|মঙ্গলবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাঘের ডেরায় উত্তর ২৪ পরগনার ৬ টি ব্লক দক্ষিণ ২৪ পরগনার ১৩ টি ব্লকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় এবং রাজ্যের সুন্দরবন উন্নয়ন বিষয়ক, সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদের উদ্যোগে এবং প্রতিটি ব্লকের সমিষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের করন,পঞ্চায়েত সমিতির আয়োজনে যথাযথ ভাবে পালন হচ্ছে সুন্দরবন দিবস।আর এই সুন্দরবন দিবসে মেতে উঠলেন কচিকাঁচারা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষজন।
এদিন কাকদ্বীপ ব্লকে সুন্দরবন দিবসের শুভ সূচনা করেন রাজ্যের সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা।রায়দিঘী বিধানসভা কেন্দ্র শুভ সূচনা করেন এই কেন্দ্রের বিধায়ক তথা অভিনেত্রী দেবশ্রী রায়।এক দিকে জঙ্গল আর অপর দিকে বাসস্থান মাঝখানে বয়ে গেছে নোনা জলের স্রোত বিদ্যাধরী,মাতলা,দুর্গা দুয়ানী,কালিন্দী,কাঁক শিয়ালি, খোলাপটুয়া ঢাকী,কয়রা,কাপোতক,আড় পাঙ্গাসিয়া প্রমূখ নামের নদী গুলি।সুন্দরবনের আগাধ অরণ্য অসংখ্য নদী সংস্থান এই অঞ্চলকে সর্বত্র ভীষণ ও ভীত করে রেখেছে।তবে তারও চেয়ে ভয়ঙ্কর করে রেখেছে জলে কুমির ডাঙ্গায় বাঘ।
আর সেই বাঘের ডেরায় পালন হচ্ছে সুন্দরবন দিবস।ক্যানিং-১ ব্লকে সকালে সুন্দরবন দিবসের উপলক্ষে প্রভাত ফেরি তে উঠে এল সুন্দরবনের কৃষ্টি-সংস্কৃতিক।আর মাতলেন কচিকাঁচারা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষজন।প্রভাত ফেরিতে উপস্থিত ছিলেন ক্যানিং পশ্চিম কেন্দ্রের বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল, ক্যানিং-১ বিডিও নীলাদ্রি শেখর দে প্রমুখ।গোসাবা ব্লকে স্থানীয় বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর প্রদীপ প্রজ্বলন করে সুন্দরবন দিবসের শুভ সূচনা করেন।পৃথিবীর বৃহত্তম ব-দ্বীপ সুন্দরবন।গঙ্গা ব্রহ্মপুত্রে মোহনা ২৫৩০০ বর্গ কিমি এলাকা জুড়ে সৃষ্টি করেছে সুন্দরবন।ভারত ভূ-খন্ডের সুন্দরবনের ১০২ টি দ্বীপের মধ্যে বর্তমান ৫৪ টি দ্বীপের জঙ্গল প্রায় সম্পূর্ণ হাসিল করে গড়ে উঠেছে মানুষের বসতি।তবে ৪৮ টি দ্বীপ সংরক্ষিত বনাঞ্চল হিসেবে নিজের অবস্থান ধরে রেখেছে রাখতে পেরেছে।পৃথিবীর নানা দেশে নানা জাতির বাঘ দেখতে পাওয়া যায়।কিন্তু সুন্দরবনের মত এমন দৃষ্টি নন্দন রয়েল বেঙ্গল টাইগার নেই।এদিন গোসাবা সুন্দরবন দিবস অনুষ্ঠানে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ফিল্ড ডিরেক্টর নিলাঞ্জন মল্লিক বলেন সুন্দরবনের মানুষকে বাঁচাতে হলে সুন্দরবনের নদী,জঙ্গল ও বন্যপ্রাণী কে বাঁচাতে হবে। সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে এখানকার মানুষজন উপকৃত হচ্ছে।বর্তমানে সুন্দরবনে প্রায় ২ লক্ষ পযটক আসে সুন্দরবনে।আর এই পযটক শিল্পে উপর জোর দেওয়া হয় তাহলে সুন্দরবনের মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতি ঘটবে।কাকদ্বীপে সুন্দরবন দিবসের শুভ সূচনা করে রাজ্যের সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ও অনুপ্রেরণায় সুন্দরবনের ১৯ টি ব্লকে যথাযথ ভাবে পালিত হচ্ছে সুন্দরবন দিবস।দুই দিন ব্যাপী চলবে এই সুন্দরবন দিবস।বর্তমানে সুন্দরবনে প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষের বসবাস।এক দিকে যেমন জল ও জঙ্গল অপর দিকে মানুষের বাসস্থান।রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে ও অনুপ্রেরণায় সুন্দরবন জুড়ে উন্নয়নের কর্মযঞ্জ চলছে।শিক্ষা স্বাস্থ্য, পানীয় জল,ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ,সেচ,রাস্তঘাট,কৃষি,পযটক শিল্প প্রমুখ উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে।পাশাপাশি কন্যাশ্রী প্রকল্প থেকে শুরু করে যুবশ্রী, সবুজশ্রী খাদ্য সাথি সহ একাধিক প্রকল্পের মাধ্যমে সাধারণ মানুষজন উপকৃত হচ্ছে।সুন্দরবন কে বাঁচাতে পারে সুন্দরবনের মানুষ।আগামী দিনে সুন্দরবনের ছেলে মেয়েরা সার্বিক দিক দিয়ে শুধু সুন্দরবন বা রাজ্য নয়, সারা দেশের এক নতুন পথ দেখাবে।যেখানে গড়ে উঠবে সর্ব ধর্মের এক মেল বন্ধনে।এদিন সাংস্কৃতিক মঞ্চগুলিতে সুন্দরবন বিষয়ে আলোচনা সভা, সংগীত,নাটক,নৃত্য, আবৃত্তি প্রমুখ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।কচিকাঁচা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতন।