সুন্দরবন TV
সুন্দরবন জুড়ে সতর্ক প্রশাসন ফনির আগমনে
নিজস্ব প্রতিনিধি | ক্যানিং|আগামী ৩ মে শুক্রবার উড়িষ্যা,অন্ধ্রপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ এবং উপকূল অঞ্চল গুলি দিয়ে আসতে চলেছে ঘূর্ণিঝড় ফনি। এদিকে বঙ্গোপসাগরের উপকূল অঞ্চলে অবস্থিত সুন্দরবন।ভারত ভূখন্ডের সুন্দরবনের ১০২ টি দ্বীপের মধ্যে বর্তমানে ৫৪ টি দ্বীপে গড়ে উঠেছে মানুষের বসবাস।আর বর্তমানে এই ৫৪ টি দ্বীপে প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষ বসবাস করছে।উত্তর ২৪ পরগনার ৬ টি ব্লক এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার ১৩ টি ব্লক নিয়ে সুন্দরবন গঠিত।৩৫০০ কিমি নদী বাঁধ সুন্দরবনকে ঘিরে রেখেছে।ফলে ফনি ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় সব ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন।সুন্দরবনের ঝড়খালি,সজনেখালি,বকখালি,ফ্রেজারগঞ্জ, পাথর প্রতিমা,গঙ্গাসাগর সহ বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে আসা সুন্দরবন পযটকদের ঘরে ফেরানোর জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে প্রশাসন।এমনকি এই সমস্ত এলাকায় পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে জানানো হচ্ছে সাধারণ মানুষজনকে।জঙ্গলে, নদীতে,গভীর সমুদ্রে নিজেদের জীবিকা নির্বাহের প্রয়োজনেও না যায় সেই বিষয়ে অনুরোধ ও সতর্ক করা হচ্ছে।আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে গত ৪৩ বছরের মধ্যে এত এত বড় ঘূর্ণিঝড় এই উপকূল অঞ্চলে আর হয়নি।তাই সব ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে বিভাগীয় দফতর গুলি।১৮৬৭ সালে সুন্দরবনে ভীষন ঘূর্ণিঝড়ে বিশাল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল সুন্দরবন জুড়ে।এই ঝড়ে ক্যানিং বন্দর ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল এবং মাতলা নদীতে জাহাজ ডুবে যায়।এমকি ক্যানিং ডাকের এবং রাস্তাঘাট ধুয়ে মুছে যায়,পরিকাঠামো ধ্বংস হয়ে যায়।ফলে ১৮৭১ সালে সরকার সুন্দরবনের ক্যানিং বন্দর বন্ধ ঘোষণা করেন।এর পর ১৯৫১ সাল থেকে বেশ কয়েকবার ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি হয় সুন্দরবন জুড়ে।তবে ২০০৯ সালে ২৫ মে আয়লার তান্ডব সুন্দরবনবাসী এখনও ভুলতে পারিনি।অায়লার পর সুন্দরবনের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষজন জীবনযাত্রায় কিছুটা ছন্দে ফিরলেও আয়লার তান্ডাব তা আজও তাড়া করে বেড়ায়।এদিকে ফনির মতন তীব্র ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় পুলিশ প্রশাসন কোমড় বেঁধে নেমে পড়ছে এবং সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।জেলা পুলিশ ও প্রশাসন জানান ফনি ঘূর্ণিঝড় বিষয়ে সাধারণ মানুষজনকে সতর্ক করা হচ্ছে।চলছে মাইকিং।নদী,গভীর সমুদ্রে,জঙ্গলে জীবিকা নির্বাহের প্রয়োজনেও না যায় তার জন্য অনুরোধ করে মাইকিং করে জানানো হচ্ছে।সুন্দরবনে ঘুরতে আসা সকল পযটকদের ঘরে ফেরানোর জন্য সব রকম ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।এই ঝড়ের মোকাবিলায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
সুন্দরবন জুড়ে সতর্ক প্রশাসন ফনির আগমনে
২০০৯ সালে আয়লার তান্ডবে ক্যানিং মাতলা নদী।
নিজস্ব প্রতিনিধি | ক্যানিং|আগামী ৩ মে শুক্রবার উড়িষ্যা,অন্ধ্রপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ এবং উপকূল অঞ্চল গুলি দিয়ে আসতে চলেছে ঘূর্ণিঝড় ফনি। এদিকে বঙ্গোপসাগরের উপকূল অঞ্চলে অবস্থিত সুন্দরবন।ভারত ভূখন্ডের সুন্দরবনের ১০২ টি দ্বীপের মধ্যে বর্তমানে ৫৪ টি দ্বীপে গড়ে উঠেছে মানুষের বসবাস।আর বর্তমানে এই ৫৪ টি দ্বীপে প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষ বসবাস করছে।উত্তর ২৪ পরগনার ৬ টি ব্লক এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার ১৩ টি ব্লক নিয়ে সুন্দরবন গঠিত।৩৫০০ কিমি নদী বাঁধ সুন্দরবনকে ঘিরে রেখেছে।ফলে ফনি ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় সব ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন।সুন্দরবনের ঝড়খালি,সজনেখালি,বকখালি,ফ্রেজারগঞ্জ, পাথর প্রতিমা,গঙ্গাসাগর সহ বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে আসা সুন্দরবন পযটকদের ঘরে ফেরানোর জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে প্রশাসন।এমনকি এই সমস্ত এলাকায় পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে জানানো হচ্ছে সাধারণ মানুষজনকে।জঙ্গলে, নদীতে,গভীর সমুদ্রে নিজেদের জীবিকা নির্বাহের প্রয়োজনেও না যায় সেই বিষয়ে অনুরোধ ও সতর্ক করা হচ্ছে।আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে গত ৪৩ বছরের মধ্যে এত এত বড় ঘূর্ণিঝড় এই উপকূল অঞ্চলে আর হয়নি।তাই সব ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে বিভাগীয় দফতর গুলি।১৮৬৭ সালে সুন্দরবনে ভীষন ঘূর্ণিঝড়ে বিশাল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল সুন্দরবন জুড়ে।এই ঝড়ে ক্যানিং বন্দর ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল এবং মাতলা নদীতে জাহাজ ডুবে যায়।এমকি ক্যানিং ডাকের এবং রাস্তাঘাট ধুয়ে মুছে যায়,পরিকাঠামো ধ্বংস হয়ে যায়।ফলে ১৮৭১ সালে সরকার সুন্দরবনের ক্যানিং বন্দর বন্ধ ঘোষণা করেন।এর পর ১৯৫১ সাল থেকে বেশ কয়েকবার ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি হয় সুন্দরবন জুড়ে।তবে ২০০৯ সালে ২৫ মে আয়লার তান্ডব সুন্দরবনবাসী এখনও ভুলতে পারিনি।অায়লার পর সুন্দরবনের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষজন জীবনযাত্রায় কিছুটা ছন্দে ফিরলেও আয়লার তান্ডাব তা আজও তাড়া করে বেড়ায়।এদিকে ফনির মতন তীব্র ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় পুলিশ প্রশাসন কোমড় বেঁধে নেমে পড়ছে এবং সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।জেলা পুলিশ ও প্রশাসন জানান ফনি ঘূর্ণিঝড় বিষয়ে সাধারণ মানুষজনকে সতর্ক করা হচ্ছে।চলছে মাইকিং।নদী,গভীর সমুদ্রে,জঙ্গলে জীবিকা নির্বাহের প্রয়োজনেও না যায় তার জন্য অনুরোধ করে মাইকিং করে জানানো হচ্ছে।সুন্দরবনে ঘুরতে আসা সকল পযটকদের ঘরে ফেরানোর জন্য সব রকম ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।এই ঝড়ের মোকাবিলায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।