নুরসেলিম লস্কর, ক্যানিং : রবিবার ভোররাতে ক্যানিংয়ের গার্লস হাই স্কুল পাড়া থেকে উদ্ধার হল এক বিশালাকার কেউটে। এদিন ক্যানিং গার্লস হাই স্কুলপাড়া এলাকার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ ঘরামী তার পোষা পাখিদের চিৎকারে ঘুম ভেঙ্গে উঠে লক্ষ্য করেন যে, তার পাখি-পোষার ঘরের ভিতরে কোন একটা কিছু শব্দ হচ্ছে, সঙ্গে পাখিরাও চিৎকার করছে খুব। বিশ্বজিৎ বাবু ভালো করে লক্ষ্য করতেই চক্ষু ছানাবড়া হয়ে যায়। তিনি তখন কি করবেন?তা বুঝতে না পেরে খবর দেন ক্যানিং যুক্তিবাদী সংস্থার কর্মী জয়দেব পল্লীর বাসিন্দা, এলাকায় নাগরাজ নামে পরিচিত নিরঞ্জন সরদার কে। তিনি সেই খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ ছুটে আসেন বিশ্বজিৎ বাবুর বাড়িতে সেখানে এসে দেখেন একটি বিশালাকার কেউটে সাপ ইটের পাঁচিল দেওয়া পাখি পোষার ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়েছে। তারপর তিনি সেখান থেকে সাপটিকে ধরে একটি কৌটোতে বন্দী করে বিশ্বজিৎবাবুর হাতে তুলে দিয়ে বনদপ্তরের হাতে তুলে দেওয়ার পরামর্শ দেন। সেই পরামর্শ মতো সকাল দশটা নাগাদ ক্যানিং ফরেস্ট অফিসে গিয়ে বিশ্বজিৎ বাবু ওই বিষধর কেউটে সাপটিকে ফরেস্ট অফিসের আধিকারিকদের হাতে তুলে দেন।
বিজ্ঞাপন
এদিনের এই ঘটনার সম্পর্কে যুক্তিবাদী সংস্থার কর্মী নিরঞ্জন সরদার বলেন, ” আমরা ক্যানিং,বাসন্তী সহ আশপাশের এলাকায় যেখানে এরকম ঘটনার খবর পাই সেখানে ছুটে যায়। সেখানে গিয়ে বন্যপ্রাণী গুলিকে উদ্ধার করে বনদপ্তরের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করি। এবং যদি কোথাও কোন ব্যক্তি কে সাপে কামড়ানোর খবর আমরা পাই তাকে তৎক্ষণাৎ হসপিটালে আসার পরামর্শ থেকে শুরু করে তাদের চিকিৎসার সুব্যবস্থাও করি আমরা। আর আজকের বিশ্বজিৎবাবুর বাড়ি থেকে যে সাপটিকে উদ্ধার হল সেটি কেউটে প্রজাতির একটি সাপ।
সাপটি প্রায় সাড়ে চার ফুটের উপর লম্বা হবে। আমি সেই সাপটিকে সেখান থেকে উদ্ধার করে কৌটাতে বন্দী করে বিশ্বজিৎবাবুর হাতে তুলে দিয়ে ফরেস্ট অফিসে বা বনদপ্তরের কর্মীদের হাতে তুলে দেওয়ার কথা বলি। কারণ বিশ্বজিৎবাবু একজন সাধারন মানুষ হিসাবে সাপটিকে না মেরে যে বনদপ্তরের হাতে তুলে দিচ্ছে, এটি একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে আগামী দিনে বলে আমার মনে হয়েছে এবং বিশ্বজিৎ বাবুর মতো অন্যরাও যাতে এই বন্যপ্রাণী গুলি কে না মেরে তাদেরকে বনদপ্তরের হাতে তুলে দেয় তার জন্য “।