বেহাল রাস্তা, হুঁশ নেই প্রশাসনের

 

নুরসেলিম লস্কর , বাসন্তী : সংস্কারের অভাবে বেহাল অবস্থা দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বাসন্তীর সোনাখালি টু কলাহাজরার দীর্ঘ কুড়ি কিলোমিটার রাস্তার। গোটা রাস্তায় পিচের আস্তরণ উঠে গিয়ে তৈরি হয়েছে অসংখ্য খানাখন্দ। সম্প্রতি কয়েকদিনের মাঝারি বর্ষণে ওই সব গর্তে জল জমে তা প্রায় ছোটখাটো ডোবায় পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাদের দাবি এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা এখন দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটি বাসন্তী ব্লকের সোনাখালী বাজার থেকে রামচন্দ্র খালি হয়ে খেরিশখালি ও কলাহাজরা বাজারে এসে মিশেছে। প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে কম বেশি ১৫/২০ হাজারেরও বেশি মানুষ যাতায়াত করেন। চলে অসংখ্য অটো,টোটো,বাইক ও ছোটখাটো মাল বোঝায় ট্র্যাক। আর এই খানাখন্দে ভরপুর রাস্তাটিতে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা। 

প্রত্যন্ত সুন্দরবনের বাসন্তী রামচন্দ্র খালি খেরিশ খালি, নেবুখালি,ছাটুই পাড়া,কলাহাজরার মতো গ্রামগুলির দিনআনা দিন খাওয়া মানুষগুলি প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই রাস্তা দিয়ে গিয়ে কলকাতায় যায় দিনমজুরের কাজ করতে। আর কলকাতায় যাওয়ার জন্য এই বেহাল অবস্থার রাস্তা দিয়ে চলাচল করা অটো টোটো তে রোজ ঝুঁকে,ঝুলে জীবনকে বাজি রেখে দৌড়াচ্ছে ট্রেন ধরতে ক্যানিং স্টেশনের উদ্দেশ্যে। যা অত্যন্ত বিপদজনক। যেকোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে বড়সড় দুর্ঘটনা। এই রাস্তা সারাইয়ের দাবি পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে সমস্ত দপ্তরে জানানোর পরেও প্রশাসনের কোন হেলদোল নেই এ ব্যাপারে বলে অভিযোগ করে স্থানীয় বাসিন্দারা।অথচ এই রাস্তা সংশ্লিষ্ট রয়েছে রামচন্দ্রখালি হাইস্কুল। যেখানে ঐ স্কুলের প্রায় তিন হাজার ছাত্র-ছাত্রী রোজ এই রাস্তাদিয়ে স্কুলে আসে যায়। আর রাস্তায় এরকম বেহাল দশার ফলে রীতিমতো প্রশাসনের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করছে অভিভাবকরা থেকে শুরু করে ঐ স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষিকারা।

আর এই বেহাল দশা রাস্তার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে দায়ী করে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে রামচন্দ্র খালি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান হায়দ্রার গাজী জানান, ” দীর্ঘদিন ধরে আমরা এই রাস্তা মেরামতের জন্য বিডিও,ডিএম সহ PWD এর সংশ্লিষ্ট দপ্তরে রাস্তা মেরামতের দাবি জানিয়ে আসছি। এদিকে এই রাস্তাটি প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনার আওতায় হওয়ায় ফলে আমরা নিজেরাও কিছু করতে পারছি না। আমাদের বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার নিজেদের নামে শুধু যোজনা বানিয়েছে, কিন্তূ তার কোন কাজ তারা করে না। এই সরকার বাংলার মানুষের ১০০ দিনের টাকা দেয় না,রাস্তা মেরামত করে না, শুধু মুখে বড় বড় ভাষণ। তিনি আরো বলেন যে, আগামী দিনে যদি আমাদের এই রাস্তা সংস্কার না হয় তাহলে আমরা এই রাস্তা সংস্কারের দাবিতে সাধারণ মানুষদের নিয়ে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করবো কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে “।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন