ঘূর্ণিঝড় 'ডানা' আতঙ্ক! ৬৫ জন অন্তঃসত্ত্বাকে সুন্দরবনের বিভিন্ন দ্বীপ থেকে নিয়ে আসা হল সাগর হাসপাতালে।
নুরসেলিম লস্কর, সাগর : ডানার প্রভাবে প্রাণ ও সম্পত্তিহানি রুখতে তৎপরতা বাড়াচ্ছে প্রশাসন। ইতিমধ্যেই উপকূল এলাকা থেকে সরানো হচ্ছে মানুষজনকে। সুন্দরবনের সাগরদ্বীপ থেকে ৬৫ জন অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে সরিয়ে নিয়ে আসা হল সাগর গ্রামীণ হাসপাতালে।ডানার প্রভাবে যাতে কোনও মা ও সদ্যোজাত শিশুর ক্ষতি না হয় তার জন্যই এই ব্যবস্থা বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের নির্দেশিকা মেনে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই কাজ শুরু করেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। গঙ্গাসাগর এলাকার প্রত্যন্ত গ্রামগুলি থেকে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের নিরাপদ স্থান হিসাবে সাগর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসার কাজ শুরু হয়।
অতীতের ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবের অভিজ্ঞতা থেকে এবার আগেই তৎপর হয়েছে প্রশাসন। ডানার তাণ্ডবে যাতে কোনওভাবে সদ্যোজাত শিশু ও মায়েদের কোনও ক্ষতি না হয়, তারজন্য আগাম ব্যবস্থা হিসেবে গ্রামে গ্রামে ঘুরছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। তাঁরা জানান, দুর্যোগের কবলে পড়লে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের সরিয়ে নিয়ে আসায় ঝুঁকি থাকবে। তাই আগাম ব্যবস্থা নিচ্ছেন তাঁরা।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার বুলেটিনে আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এই মুহূর্তে পারাদ্বীপ থেকে ২৬০ কিলোমিটার, ধামারা থেকে ২৯০ কিলোমিটার এবং সাগরদ্বীপ থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে এটি তীব্র ঘূর্ণিঝড় হিসেবেই ওড়িশা উপকূলে ল্যান্ডফল করবে। ওড়িশার ভিতরকণিকা ও ধামারার কাছে ল্যান্ড ফল করার প্রবল সম্ভাবনা। পুরী থেকে সাগরদ্বীপ পর্যন্ত বিস্তৃত হবে এর প্রভাব। ল্যান্ডফলের সময় ঘণ্টায় এর গতিবেগ সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার হতে পারে।